বসিরহাট, 14 জানুয়ারি: কোভিড পরিষেবায় ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটে সদস্যদের মাঠে নামিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মাঠে নেমে পরিষেবা দেওয়ার কাজও শুরু করে দিয়েছেন 'গ্রিন ভলান্টিয়ার'(TMC Green Volunteer)-এর সদস্যরা। মূলত,বসিরহাট মহকুমায় করোনা সংক্রামিতদের পাশে দাঁড়াতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে, তৃণমূল। তাহলে কি সিপিএম প্রভাবিত 'রেড ভলান্টিয়ার'-এর পাল্টা হিসেবে 'গ্রিন ভলান্টিয়ার'-এর ভাবনা? যদিও তা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির।
এই দলে অন্তত 12-13 জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। যারা বয়সে নবীন। এই 'গ্রিন ভলান্টিয়ার' বসিরহাট মহকুমার শহর ও প্রত্যন্ত এলাকায় সংক্রামিতদের তালিকা ধরে তাঁদের দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দেবেন। বিশেষ করে যে সমস্ত সংক্রামিত রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। যে সমস্ত পরিবার প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরতে পারছে না। সেই সমস্ত পরিবারের কারও কোনও প্রয়োজন হলেই যাবতীয় পরিষেবা নিয়ে 'গ্রিন ভলান্টিয়ার'-এর সদস্যরা পৌঁছে যাবেন বাড়ির দোরগোড়ায়। তা খাবার হোক কিংবা অক্সিজেন-ওষুধপত্র। অক্সিমিটার যন্ত্রের প্রয়োজন হলে তাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সংক্রামিত রোগীর বাড়িতে। এভাবেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শাসকদলের এই স্বেচ্ছাসেবকরা কোভিড পরিষেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। শুধু তাই নয়,সংক্রামিতের বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মারণ ভাইরাসের জীবাণু মুক্ত করার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছে গ্রিন ভলান্টিয়ার। এই কাজে অবশ্য তাঁরা সাহায্য নিয়েছেন দমকল বিভাগের।
জেলার সীমান্তবর্তী বসিরহাট মহকুমাতেও করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। গত সাতদিনে শতাধিক মানুষ সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মারণ এই ভাইরাসে। এর মধ্যে শহরের বেশকিছু প্রাইমারি এবং হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন। যার সংখ্যা কমপক্ষে 20 জন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে একদিকে যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। অন্যদিকে,তেমনই সংক্রামিতের দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে 'গ্রিন ভলান্টিয়ার'-এর তরফে।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুর হাটে উধাও করোনা বিধি
এই বিষয়ে সংগঠনের বসিরহাট মহকুমার সভাপতি শম্ভু সাহা বলেন,"বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই মূলত এই স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলা হয়েছে। সংক্রামিত রোগীদের পাশে দাঁড়াতে দিন-রাত আমরা কাজ করে চলেছি। যখনই কারও সাহায্যের দরকার হচ্ছে, তখনই 'গ্রিন ভলান্টিয়ার'-এর সদস্যরা পৌঁছে যাচ্ছে সংক্রামিতের দুয়ারে। প্রয়োজনীয় সব রকমের সহযোগিতায় করা হচ্ছে তাঁদের। এমনকি দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্যানিটাইজও করছি আমরা। কোভিডকালে আগেও আমরা এভাবে মাঠে নেমে কাজ করেছি। আবারও তা শুরু করলাম।"