ঠাকুরনগর, 28 জানুয়ারি : শনিবার অর্থাৎ 30 জানুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন অমিত শাহ ৷ জোরকদমে চলছে সভাস্থান ও হেলিপ্যাড তৈরির কাজ । অন্যদিকে, রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া শাসক দলও । গোটা ঠাকুরনগর ছেয়ে গেছে তৃণমূলের পতাকায় । বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঠাকুরনগর-সহ পার্শ্ববর্তী চাঁদপাড়া ও গাইঘাটার বিভিন্ন রাস্তায় দলীয় পতাকা লাগাতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মীদের ৷ আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ।
মনে করা হচ্ছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কবে চালু হবে, তা নিয়ে শনিবারের সভায় বার্তা দেবেন অমিত শাহ ৷ বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে সেদিন তিনি নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে । আর এই সভা সফল করতে বিজেপি ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে । সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, অমিত শাহের সভায় দুই লাখ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ।
অমিত শাহের সভার আগে শক্তি প্রদর্শনে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলও । বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঠাকুরনগর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা পোস্টার, ফ্লেক্স লাগাতে শুরু করেন । বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে । বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, "দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসবেন । তার আগে দেখলাম, তৃণমূল গোটা ঠাকুরনগর পোস্টারে ছেয়ে গেছে । এই ধরনের অপসংস্কৃতি তৃণমূল নামক রাজনৈতিক দল বিশ্বাস করে । যারা পতাকা লাগাচ্ছে, তারা ভাড়াটে মাতাল ।"
আরও পড়ুন, ‘কান ধরে হিন্দি শিখিয়ে দেব’, নাম না করে মোদিকে আক্রমণ মমতার
পালটা তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ লোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান গোবিন্দ দাস বলেন, "আমাদের দলের কোনও কর্মসূচির আগে বিজেপিও তাদের পোস্টার মেরেছে । এই রকম সংস্কৃতি অবশ্য আগে ছিল না ৷ সম্প্রতি শুরু হয়েছে । পতাকা লাগানোটা রাজনীতির বাইরে নয় । রাজনৈতিক সভা সমিতি যে দলেরই হোক, সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর জন্য ফ্লেক্স, পতাকা লাগানো হয় । " বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর । তিনি বলেন, "কিছুদিন পরে তৃণমূল দলটা তো শুধু ব্যানারেই পরিণত হবে । তাই সেটাই ওরা আগে থেকে করে রাখছে । ও সব নিয়ে আমরা ভাবছি না ।"