বারাসত, 2 জুলাই: অন্ধকারে রাস্তা আগলে বিজেপির শিক্ষক নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ঘটনার পর থেকে দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি বিজেপি নেতা সুকান্ত বিশ্বাস । রীতিমতো পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর। নিরাপত্তা ও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে পোস্টার হাতে নিয়ে রবিবার সুভাষনগরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা । ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি শাসক শিবিরের । উলটে ,'ধান্দাবাজ'-বলে আক্রমণ করেছে ওই শিক্ষক নেতাকে।
জানা গিয়েছে, সুকান্ত বিশ্বাস নামে বিজেপির ওই নেতা বারাসত সাংগঠনিক জেলার তপশিলি মোর্চার সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন । এছাড়াও তিনি স্কুলের শিক্ষকে । শনিবার রাতে পাড়ারই একটি দোকানে ওই বিজেপি নেতা গিয়েছিলেন বাড়ির কিছু সামগ্রী আনতে । ফেরার সময় আচমকাই তাঁর পথ আগলে হম্বিতম্বি শুরু করে দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী । এর মধ্যে স্থানীয় বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্তের এক আত্মীয়ও ছিল বলে অভিযোগ । এরপর, দুষ্কৃতীরা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলে, বিজেপি করলে দেখে নেওয়া হবে । শিক্ষক যেন শিক্ষকের মতো থাকেন।এমন হুমকি শোনার পর থেকেই আতঙ্কিত বিজেপি নেতা সুকান্ত বিশ্বাস।
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "বাড়িতে স্ত্রী,সন্তান রয়েছে । ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । পুলিশকে বলব, দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । নইলে এই ধরণের ঘটনা আরও বাড়বে ।" বিজেপির নীলগঞ্জ-খিলকাপুর মণ্ডলের সভাপতি সাগর বিশ্বাস বলেন,"12 বছরের বেশি সময় ধরে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা তৃণমূলের দখলে রয়েছে । তা সত্ত্বেও ওদের মনে ভয় কাজ করছে । যদি এখানে বিজেপি ক্ষমতায় আসে, সেই ভয় থেকেই বিজেপির কার্যকর্তাদের হুমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে । তৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি করলেও আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের রাজনীতি করব ।"
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনে চাঞ্চল্য ঠাকুরনগরে
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিদায়ী প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, "ওই শিক্ষক একজন সুবিধাবাদী । যে যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তার দিকে ভিড়ে যায় । ওকে লোকে দলবদলু ভাবতেই বেশি ভালোবাসে । সেখানে কোনও সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে । তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই এই ঘটনার সঙ্গে ।"