বারাসত, 9 জানুয়ারি: বারাসত শহরে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই,সংক্রমণ রুখতে এবার সেখানে বাজার-দোকানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটল প্রশাসন। সপ্তাহে তিনদিন বারাসতের সমস্ত বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে (Market Closed In Barasat)। আগামী মঙ্গলবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে বলে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে বিভিন্ন বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মাইকিং করে প্রচার চালানো হবে। যাতে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বুঝতে কোনও অসুবিধে না হয়। তবে, জরুরি পরিষেবাকে এর বাইরে রাখা হয়েছে।
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই এই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যের যে দুটি জেলা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রেখেছে স্বাস্থ্য ভবনকে, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও। সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে কলকাতার পরেই রয়েছে এই জেলা। গত সাতদিনে প্রায় 20 শতাংশ এই জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃত্যুর তালিকাও ক্রমশ লম্বা হচ্ছে সেখানে। জেলা সদর বারাসতের পরিস্থিতিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পৌরসভার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত সাতদিন আগেও বারাসতে যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে ছিল, সেটাই সাতদিন পর বেড়ে হয়েছে প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি। এতকিছুর পরও মানুষের কিন্তু সচেতনতা ফেরেনি। বিধি অমান্য করেই বারাসতের বিভিন্ন বাজার এবং দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন অসচেতন কিছু মানুষ। পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলেও হুঁশ ফিরছে না কিছুতেই। যার ফলে চিন্তা বাড়ছে। তাই, সংক্রমণ রুখতে এবার বাজার এবং দোকানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রুপোর গয়না পাচারের ছক ভেস্তে দিল বিএসএফ
আপাতত 14 দিন বারাসতের সমস্ত বাজার ও দোকানপাট সপ্তাহে চারদিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিন অন্তর বাজার এবং দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। সেই নিরিখে সপ্তাহে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার বারাসতের ছোট-বড় সমস্ত বাজার এবং দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে। এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতেও একশ্রেণীর মানুষের হুঁশ ফিরছে না। অসেচতনভাবেই তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করোনা মোকাবিলার একমাত্র অস্ত্র হল মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা। এত প্রচারের পরও কিছু মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। তাই, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে তিনদিন সমস্ত বাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। "