বারাসত, 11 অক্টোবর: এলাকায় একের পর এক আবর্জনা ফেলার গাড়ি উধাও হয়ে যাচ্ছিল রাতারাতি ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শেষপর্যন্ত চোরকে হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয়রা ৷ কিন্তু তারপর যেটা হল সেটা কাম্য নয় মোটেই ৷ আইন কার্যত নিজের হাতে তুলে নিয়ে চোরকে উত্তম-মধ্যম দিলেন আমজনতা। শুধু চোরকেই নয়, চোরাই বিক্রেতাকেও ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ (Thief allegedly Beaten by Mass in Barasat) । ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বারাসতের সরোজিনী পল্লী (Barasat Sarojini Palli) এলাকায় ৷ গণধোলাইয়ের পর চুরি ও চোরাই গাড়ি কেনার দায় স্বীকার করে নেন দু'জনেই। পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে গ্রেফতার করা হয় তাদের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই বারাসতের বেশকিছু এলাকা থেকে ভ্যাটের গাড়ি উধাও হয়ে যাচ্ছিল। কিছুতেই চোরের হদিশ মিলছিল না। সম্প্রতি সরোজিনী পল্লী উন্নয়ন সমিতির নিজস্ব ময়লা ফেলার একটি গাড়িও চুরি হয়ে যায়। সেই চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে দেখা যায়, এক যুবক গেটের তালা ভেঙে ময়লা ফেলার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপরই সজাগ করা হয় ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের । সিসিটিভিতে দেখতে পাওয়া যুবকের বিষয়েও তথ্য দেওয়া হয় তাঁদের । সেইমত চোরের সন্ধান পেতে রাতজাগা শুরু করেন সাফাই কর্মীরা ৷
এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে বারাসতের বয়েজ স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে পৌরসভার একটি ভ্যাটের গাড়ি চুরি করে পালায় সেই যুবক। সেই গাড়ি নিয়ে সরোজিনী পল্লী এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে চিনতে পারেন স্থানীয় লোকজন । হাতেনাতে ধরে চোরাই গাড়িতেই হাত-পা বেঁধে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় চোরকে ৷ মারধরে চোরাই গাড়ির বিক্রেতার নাম বলে দেয় সে। এরপর ময়না থেকে সেই বিক্রেতাকে ধরে নিয়ে আসে সরোজিনী পল্লী এলাকার লোকজন। সেখানেও তাকে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।অভিযোগের ভিত্তিতে পরে গ্রেফতারও করা হয় দু'জনকে।
আরও পড়ুন: বেআইনি প্রোমোটিংয়ের প্রতিবাদ করে 'প্রহৃত' বিজেপিকর্মী
এ বিষয়ে কার্তিক কর্মকার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "চুরির পরপরই তক্কে তক্কে ছিলাম আমরা। আজ তারই সাফল্য মিলেছে হাতেনাতে। ধরা পড়ার পর যুবক স্বীকার করেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত পাঁচটি ভ্যাটের গাড়ি চুরি করেছে সে। সেগুলো আবার কয়েক হাজার টাকায় বিক্রিও করে দিয়েছে সেই চোর। চোরাই বিক্রেতাও অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।বাকিটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার।তারাই যা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন।"