হাবরা, 5 এপ্রিল: আজ রাত 9টায় 9 মিনিটের জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি বা টর্চ জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই কর্মসূচির প্রচারে নেমে বিপাকে পড়লেন দমকল কর্মীরা। প্রচারের মাঝেই তাঁদের গাড়ি আটকে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার ঘটনা। শেষে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল প্রচার।
রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দমকলের হাবরা কেন্দ্র থেকে একটি গাড়ি নিয়ে বের হন দপ্তরের কয়েকজন কর্মী। প্রচার করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে রাত ন'টায় বাড়ির আলো নিভিয়ে রাখার কথা। সঙ্গে ওই সময় ঘরে মোমবাতি জ্বালানোর কথাও বলা হচ্ছিল। যদিও দমকলের প্রচার গাড়িটি বেশি দূর এগোতে পারেনি। হাবরা দেশবন্ধু পার্কের কাছে পৌঁছাতেই প্রাক্তন পৌরপ্রধান নীলিমেশ দাস সেই গাড়িটি আটকান। দমকল কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন, কার নির্দেশ তাঁরা প্রচারে বেরিয়েছেন? তাঁরা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের কথা জানাতেই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করেন নীলিমেশবাবু । তারপর তিনি সেই প্রচারের গাড়িটি ফেরত পাঠিয়ে দেন।
নীলিমেশবাবু বলেন, "কাউকে জোর করে ঘরের আলো বন্ধ রাখার কথা বলা যায় না। দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এমন কোনও নির্দেশ দমকল বিভাগকে দেননি। তাই, প্রচারের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।" সুজিত বসু বলেন, "হাবরায় দমকলকর্মীরা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। পরে তাঁরা সেই প্রচার বন্ধ করে দেন। "মিস কমিউনিকেশন" থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।"
দমকলের প্রচারের গাড়ি আটকানোয় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়। বলেন, 'বিপদের দিনে দেশের ঐক্য ও সংহতি বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘরের আলো বন্ধ রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আমাদের তা মানা উচিত। দমকলকর্মীরা কোনও ভুল কাজ করেননি। কিন্তু তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দমকলের প্রচারের গাড়ি আটকে দিয়েছে।'