কচুয়া, 23 অগাস্ট : প্রশাসন ও মন্দির কমিটি একটু সতর্ক হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত । কচুয়া ধামে দুর্ঘটনার পর এমনটাই উঠে আসছে । রাজ্যের মন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, প্রশাসনের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত মন্দির কমিটি মানেনি । সঠিকভাবে পূর্ব পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মতিথি উপলক্ষে জন্মাষ্টমীতে বিশেষ পুজোয় প্রতিবারের মতো এবারও কচুয়া ধামে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা ৷ পুজো ঘিরে মন্দিরে যখন ভক্তদের ঢল তখনই অত্যধিক চাপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচিল ৷ মন্দিরের মূল গৃহে প্রবেশের মুহূর্তে পাঁচিল ভেঙে যায় । পদপিষ্ট হয়ে আহত হন কমপক্ষে 33 জন । সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা 3, তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের । আহতদের ধান্যকুড়িয়া, বসিরহাট, আরজি কর, SSKM, ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় । ইতিমধ্যেই মৃত, আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এদিকে দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে । রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্মীর দাবি, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লোক এসেছিলেন । সেই তুলনায় ছিল না কর্মীর সংখ্যা । মাত্র 10 জন কর্মী মোতায়েন ছিল বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী । তিনি আরও জানান, মন্দিরে ঢেকার সংকীর্ণ রাস্তার জন্যও নানা সমস্যা হয় । তার উপর রাস্তার দু'ধারে অস্থায়ী দোকান বসানো হয় । তাতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে যায় ।
এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে মন্দির কমিটির যোগসূত্রে ফাঁক থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । তিনি বলেন, "যে শর্ত প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল তা মন্দির কমিটি মানেনি । প্রশাসনের সঙ্গে মন্দির কমিটির যোগসূত্রে ফাঁক ছিল ।" পাশাপাশি দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ।