দত্তপুকুর, 28 অগস্ট: দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "এনআইএ তদন্ত করাবই, হাইকোর্টে মামলা হয়েছে ৷" যতদ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু ৷ তিনি আরও বলেন, "গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই চাইছেন এনআইএ তদন্ত হোক, তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি ।" তিনি এদিন আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দত্তপুকুর থানার আইসি দু'জন মিলিত হয়ে এই বেআইনি বাজি ব্যবসা চালাচ্ছিলেন । ওই বিস্ফোরণস্থলে আরডিএক্স মজুত ছিল বলেও তাঁর দাবি ৷ খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের ইস্তফাও দাবি করেন তিনি ৷
এদিন বিস্ফোরণস্থলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গেলে তাঁর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকাবাসী ৷ মহিলারাও তাঁদের অভিযোগ জানান ৷ মূল অভিযোগ, পুলিশ তদন্তের নামে গ্রামবাসীদের হেনস্থা করছে, হুমকি দিচ্ছে ৷ সবরকম সহযোগিতা করা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এই আচরণ করছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ৷ রবিবার সকালে দত্তপুকুরের ওই বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 9 জনের ৷ আহত হয়েছেন বেশকয়েকজন ৷ সোমবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ-র একটি দল ৷
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণস্থলে এনআইএ, আইএসএফের ঘাড়েও দোষ চাপালেন পুলিশ সুপার
দত্তপুকুরের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার পুলিশে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ রবিবার এলাকায় গিয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে, পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ করেছিলেন ৷ এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা ৷ তবে মন্ত্রীর দাবি, তিনি এই কারখানার কথা জানতেন না ৷