ETV Bharat / state

বনগাঁয় আচমকাই রেশন দোকান পরিদর্শন জেলা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের - বনগাঁয় রেশন দোকান পরিদর্শন

বনগাঁ ও বাগদার রেশন দোকানে আচমকা পরিদর্শন জেলা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের। বরাদ্দের কম দেওয়ার প্রমাণও মিলল।

Surprise visit in ration shop
বনগাঁ
author img

By

Published : Apr 7, 2020, 11:19 PM IST

বনগাঁ, 7 এপ্রিল: লকডাউনের জেরে জরুরি পরিস্থিতিতে রেশনে খাদ্য সামগ্রী বন্টন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ছয় মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা। কিন্ত, এরই মধ্যে আসছে রেশনে কারচুপির অভিযোগ। যে খবর পৌঁছায় জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষের কাছে। অবশেষে, মঙ্গলবার আচমকাই তিনি একাধিক রেশন দোকান পরিদর্শন করলেন।

দেশে কোরোনা পরিস্থিতিতে টানা লকডাউনে বহু মানুষের রুটিরুজি বন্ধ গিয়েছে। অনাহার বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে বহু পরিবার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দু'টাকা কেজি দরের চাল ও আটা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে মূলত এইসব নিম্নবিত্তের মানুষগুলির জন্যেই। তাছাড়া রেশনের অন্য প্রকল্পগুলিও নিয়মিত দেওয়ার কথা। বর্তমানে একটা বড় অংশের মানুষ রেশনের চাল-আটার উপর নির্ভরশীল। ফলে, প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রেশন দোকানগুলিতে ভিড় হচ্ছে। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না বহু ক্ষেত্রেই। এরমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অভিযোগ উঠছিল, রেশনে বরাদ্দ জিনিস দেওয়া হচ্ছে না। সেই খবর পৌঁছায় জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষের কাছে।

Surprise visit in ration shop
রেশন দোকান পরিদর্শনে জেলা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ।

এরপরই মঙ্গলবার বনগাঁ এলাকার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে আচমকা পরিদর্শন আসেন রতনবাবু। লাইনে দাঁড়নো সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এদিকে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের আচমকা পরিদর্শনে রেশন ডিলাররা ঘাবড়ে যান। কয়েকটি রেশন দোকানে মাল কম দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে আজই বাগদা ব্লকের রামনগর গ্রামের কয়েকটি রেশন দোকান সকাল থেকে বন্ধ বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। রতনবাবু ওই গ্রামে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে সেই সব দোকান খুলিয়ে মালপত্র বিলির ব্যবস্থা করেন।

পরিদর্শন শেষে রতন ঘোষ বলেন, 'গোটা দেশে লকডাউন চলছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো আমাদের রাজ্যেও বহু মানুষের রুটিরুজি বন্ধ। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু রেখেছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে এই সময় দোকান বন্ধ রেখেছেন বা খাদ্য সামগ্রী কম দিচ্ছেন যাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বনগাঁ, 7 এপ্রিল: লকডাউনের জেরে জরুরি পরিস্থিতিতে রেশনে খাদ্য সামগ্রী বন্টন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ছয় মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা। কিন্ত, এরই মধ্যে আসছে রেশনে কারচুপির অভিযোগ। যে খবর পৌঁছায় জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষের কাছে। অবশেষে, মঙ্গলবার আচমকাই তিনি একাধিক রেশন দোকান পরিদর্শন করলেন।

দেশে কোরোনা পরিস্থিতিতে টানা লকডাউনে বহু মানুষের রুটিরুজি বন্ধ গিয়েছে। অনাহার বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে বহু পরিবার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দু'টাকা কেজি দরের চাল ও আটা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে মূলত এইসব নিম্নবিত্তের মানুষগুলির জন্যেই। তাছাড়া রেশনের অন্য প্রকল্পগুলিও নিয়মিত দেওয়ার কথা। বর্তমানে একটা বড় অংশের মানুষ রেশনের চাল-আটার উপর নির্ভরশীল। ফলে, প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রেশন দোকানগুলিতে ভিড় হচ্ছে। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না বহু ক্ষেত্রেই। এরমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অভিযোগ উঠছিল, রেশনে বরাদ্দ জিনিস দেওয়া হচ্ছে না। সেই খবর পৌঁছায় জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষের কাছে।

Surprise visit in ration shop
রেশন দোকান পরিদর্শনে জেলা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ।

এরপরই মঙ্গলবার বনগাঁ এলাকার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে আচমকা পরিদর্শন আসেন রতনবাবু। লাইনে দাঁড়নো সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এদিকে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের আচমকা পরিদর্শনে রেশন ডিলাররা ঘাবড়ে যান। কয়েকটি রেশন দোকানে মাল কম দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে আজই বাগদা ব্লকের রামনগর গ্রামের কয়েকটি রেশন দোকান সকাল থেকে বন্ধ বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। রতনবাবু ওই গ্রামে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে সেই সব দোকান খুলিয়ে মালপত্র বিলির ব্যবস্থা করেন।

পরিদর্শন শেষে রতন ঘোষ বলেন, 'গোটা দেশে লকডাউন চলছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো আমাদের রাজ্যেও বহু মানুষের রুটিরুজি বন্ধ। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু রেখেছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে এই সময় দোকান বন্ধ রেখেছেন বা খাদ্য সামগ্রী কম দিচ্ছেন যাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.