বিধাননগর, 14 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখন একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলার পালা চলছে ৷ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এখন বাঁচার জন্য় কুন্তল ঘোষের নাম করেছে। তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না ৷ মঙ্গলবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে এই ভাষাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে তীব্র শ্লেষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bjp leader sukanta majumdar)৷ পাশাপাশি এদিন নাম না-করে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উদ্দেশেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত ৷ তিনি বলেন, "ধরা পড়ে গিয়ে কুন্তল ঘোষের ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ কেউ দুর্নীতির স্পর্শ ছাড়া নেই তৃণমূল কংগ্রেসে। একে অপরের কাঁধে বন্ধুক রেখে ফাটাতে চাইছে।"
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য়ে কার্যত জোড়া ফলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি ৷ প্রাইমারি, এসএসসি সব ক্ষেত্রেই দুই তদন্তকারি সংস্থার জালে ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ের শাসকদল ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্য়ক্তি ধরা পড়েছে ৷ যার জেরে বারবার বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজ্য়ের শাসকদলের অভিযোগ, কার্যত কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে সিবিআই-ইডি ৷ এর মাঝেই ফের একবার বোমা ফাটালেন বিজেপি রাজ্য় সভাপতি ৷ এদিন নাম না-করে ফের একবার মমতা এবং অভিষেককে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ করেন ৷ তিনি বলেন, "আসল চোর কালীঘাটে বসে আছে। আসল পালের গোদা তিনি ৷ ছোট বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আর বড় বন্দ্য়োপাধ্য়ায়দেরকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে ৷ বড় বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম বললেই সব মিটে যায়। গোড়াটা কেটে দিলে আর কোনও দুর্নীতি থাকবে না।"
অন্য়দিকে কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুল রায়-সহ যাঁরা বিজেপি-র টিকিটে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ী হয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্য়েই আদালতে মামলা করেছে শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত জানান, পার্টির নির্দেশেই তিনি মামলা করেছেন ৷ এক দল থেকে, এক প্রতীকে জিতে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। যতক্ষণ না এই বিষয়ে আদালতের রায় দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবে তাঁরা লুকোচুরি খেলতে পারেন ৷
আরও পড়ুন: শহিদ পরিবারের সদস্যদের পা ধুয়ে দেওয়ায় শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ চন্দ্রিমার