বারাসত, 12 মে: কুন্তল ঘোষের চিঠিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশের উপর আপাতত কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেননি বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ এবার সেই ইস্যুতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে আক্রমণ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ এমনকী "অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কী লাটের বাট ?" বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে ৷
শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেখানেই এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অবশ্য এই মামলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের উপর আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ দেননি বিচারপতি সিনহা। ফলে বেঞ্চ বদলালেও এখনই এই মামলায় রক্ষা কবচ মিলল না তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। আর এনিয়েই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এদিন বিকেলে বারাসতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে বসে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সুজন। তিনি বলেন, "উনি কী লাট সাহেব? তদন্তের মুখোমুখি হতে পারবেন না !"
অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বাজারে এত গরম কথাবার্তা বলেন কেন উনি ! আমি কোনও অপরাধ করে থাকলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়ব ! মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক আমাকে ! এসব লম্বা চওড়া ভাষণ দেওয়া বন্ধ করুক উনি। এসব ফেরেব্বাজদের কথাবার্তা।" এরপরই দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, "সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যে যুক্ত তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষ নিজেই। এদিনও কুন্তল ঘোষ আদালতে অভিষেকের স্বপক্ষে মুখ খুলেছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। অপরাধী অপরাধ করার পরও বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে চাইছে না। আসলে উনি রেহাই পেতে চাইছেন। লুঠ করে যাব! কিন্তু তদন্ত করা যাবে না ! লাটের বাট সব।"
এদিকে,পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই মামলার নির্দেশ বহাল রেখেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি স্পষ্টতই জানান, এরপর প্রয়োজন হলে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যেতে হবে এঁদের। তাঁর কথায়, "রাজ্য সরকারের অপদার্থতার শেষ নেই। চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যে দুর্নীতির রমরমা। সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে।"
আরও পড়ুন: 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের