হাবড়া, 31 মার্চ: স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার যুবতি বেলেঘাটা ID হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার বিকেলে ঘরে ফিরলেন । তাঁকে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয় আজ । বাড়ি ফিরেই দেশবাসীর উদ্দেশে তাঁর আবেদন, 'সবাই লকডাউন মানুন । ঘরে থাকুন । না হলে কোরোনার বড় বিপদ ধেয়ে আসবে । আমরা কেউ বাঁচব না ।'
গত 18 মার্চ লন্ডন থেকে বিমানে উঠেছিলেন হাবড়ার এই যুবতি । স্কটল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার শেষ বিমানে ফেরেন তিনি । আসার সময় লন্ডন বিমানবন্দরে রীতিমতো ভিড় ছিল বলে জানান । তাঁর অনুমান, সেখান থেকেই তাঁর শরীরে কোরোনা সংক্রমণ হয় । ভারতের মাটিতে নামার পর মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা বলা হয়েছিল । এরপর দমদম বিমানবন্দরে নেমে সোজা বেলেঘাটা ID-তে চলে যান তিনি । ভরতি হয়ে যান হাসপাতালে । বলেন, "বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে বাবা বেলেঘাটা ID-তে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে । বাবা ও গাড়ির চালককে পরে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয় ।"
13 দিন হাসপাতালে ছিলেন হাবড়ার স্কটল্যান্ড ফেরত যুবতি । তিনি জানান, চিন ও ইতালির খবরে মানসিক চাপ বাড়ছিলই । চিকিৎসকরাই তাঁকে প্রতিদিন মনোবল জুগিয়েছেন । হাসপাতালে আমিষ খাবার খেয়েছেন । সোমবার চিকিৎসকরা তাঁর রিপোর্ট কোরোনা নেগেটিভ জানানোর পর হাফ ছেড়ে বাঁচেন।
এরপর মঙ্গলবার বিকেলে ওই যুবতি হাবড়ার বাড়িতে ফেরেন । বাড়ি ফেরার সময় প্রাক্তন পৌরপ্রধান নীলিমেশ দাস তাঁকে স্বাগত জানান । আত্মীয়পরিজন, পড়শিরা উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁকে বরণ করে ঘরে তুলে নেন । কোরোনা সচেতনতা ও দেশে লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে ওই যুবতি বলেন, "কোরোনা ভাইরাস সংক্রামক । সবাইকে সতর্ক হতে হবে । সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে । প্লিজ সবাই মেনে চলুন। না হলে সবার বিপদ হবে।"
দেশবাসীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "আপনারা সবাই ঘরে থাকুন। বাইরে বেরোবেন না। তা হলেই সবাই বাঁচব ।"