বনগাঁ, 28 অগাস্ট : বনগাঁর বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক শ্রমদপ্তরের SLO ( Self Employed Labour Organiser) কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে কর্মহীন । কাজ মিলছে না । বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ ও অন্নসংস্থানের জোগাড় না করতে পেরে তাঁরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । তাই বেতন-সহ কর্ম নিশ্চয়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা । অন্যথায় স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি করেন তাঁরা ৷ শুক্রবার দুপুরে প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে বনগাঁর পোস্ট অফিসে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র জমা দেন SLO-রা ।
2017 সালে থেকে বনগাঁর মহকুমার 38 জন SLO কর্মী কাজ করতেন ৷ তাঁরা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের অসংগঠিত শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা 2017’’-র নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ, পরিবহণ সহ 61 ধরনের পেশায় কর্মরত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণ সচেতনতা প্রচারের কাজ করেছিলেন । কিন্তু সাম্প্রতিক অসংগঠিত শ্রমিকদের বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা ঘোষণা করে রাজ্যের শ্রমদপ্তর । সেই কারণে অসংগঠিত শ্রমিকদের আর টাকা জমা দিতে হচ্ছে না । ফলে SLO কর্মীদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।
উপার্জন বন্ধ হওয়ার কারণে তাঁরা পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন । তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বেতন ও কর্মনিশ্চয়তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন করেন । অথবা তাঁদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন তাঁরা ৷
স্বনিযুক্ত শ্রম সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সইদুল মোল্লা বলেন, ‘‘কোনও অসংগঠিত শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লে আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিই । কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তে আজ আমরাই কর্মহীন । আমরা আমাদের সমস্যার কথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছি । কিন্তু কোনও ফল হয়নি । পাঁচ মাস আমাদের কাজ নেই । পরিবার নিয়ে আমরা অনহারে দিন কাটাচ্ছি । তাই, বাধ্য হয়ে আমরা স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছি । আমরা বলেছি, হয় আমাদের কাজ দেওয়া হোক । না হলে আমাদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন মঞ্জুর করা হোক ।’’ যদিও এবিষয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷