ETV Bharat / state

মতুয়া সম্প্রদায় আজ মাতৃহারা : শান্তনু ঠাকুর - north 24 paraganas

মরদেহ ঠাকুরবাড়ি পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর বড়মার স্মৃতিচারণা করে বলেন, "বড়মার চলে যাওয়ায় সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায় আজ মাতৃহারা, নেতৃত্বহারা।"

শান্তনু ঠাকুর
author img

By

Published : Mar 6, 2019, 3:27 PM IST

ঠাকুরনগর, ৬ মার্চ : "বড়মার চলে যাওয়ায় সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায় আজ মাতৃহারা, নেতৃত্বহারা।" বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলল তাঁর নাতি শান্তনু ঠাকুর। গতকাল রাত ৮টা ৫২ মিনিটে কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় বড়মার। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কল্যাণী JNM হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায় ৩ মার্চ তাঁকে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকাল থেকে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে।

মরদেহ ঠাকুরবাড়ি পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর বড়মার স্মৃতিচারণা করে বলেন, "আমার এই বয়সে যতটা মনে পড়ে তিনি সবসময় চাইতেন উদবাস্তু আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রেখে মতুয়া সমাজকে এবং সমগ্র উদবাস্তু সম্প্রদায়কে ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দিতে। শেষ বয়সে আমাকে অনেকবার উনি বলেছিলেন বাংলাদেশ যাব। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।"

ঠাকুমা হিসাবে বড়মা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাকে উনি অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে পাঠিয়েছেন। তার জন্য আমি ওঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ঠাকুমার জীবিত থাকা উচিত ছিল। তাহলে মতুয়ারা আরও অনেক কিছু পেত। ঠাকুমা সবসময় আমাদের স্নেহ করতেন কিন্তু বুঝতে দিতেন না। যাতে আমি ঠিকভাবে মানুষ হই।"

undefined

ঠাকুরনগর, ৬ মার্চ : "বড়মার চলে যাওয়ায় সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায় আজ মাতৃহারা, নেতৃত্বহারা।" বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলল তাঁর নাতি শান্তনু ঠাকুর। গতকাল রাত ৮টা ৫২ মিনিটে কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় বড়মার। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কল্যাণী JNM হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায় ৩ মার্চ তাঁকে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকাল থেকে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে।

মরদেহ ঠাকুরবাড়ি পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর বড়মার স্মৃতিচারণা করে বলেন, "আমার এই বয়সে যতটা মনে পড়ে তিনি সবসময় চাইতেন উদবাস্তু আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রেখে মতুয়া সমাজকে এবং সমগ্র উদবাস্তু সম্প্রদায়কে ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দিতে। শেষ বয়সে আমাকে অনেকবার উনি বলেছিলেন বাংলাদেশ যাব। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।"

ঠাকুমা হিসাবে বড়মা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাকে উনি অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে পাঠিয়েছেন। তার জন্য আমি ওঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ঠাকুমার জীবিত থাকা উচিত ছিল। তাহলে মতুয়ারা আরও অনেক কিছু পেত। ঠাকুমা সবসময় আমাদের স্নেহ করতেন কিন্তু বুঝতে দিতেন না। যাতে আমি ঠিকভাবে মানুষ হই।"

undefined
ঠাকুমা বাবুইয়ের বাসা দেখাতে নিয়ে যেতঃ সিলভিয়া। ঠাকুরনগরঃ ঠাকুরবাড়ির উত্তরাধিকারী। প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় মেয়ে। কিন্তু সেই ছেলেবেলা থেকে তিনি থেকে গিয়েছেন কাব্য উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছেন। তিনি সিলভিয়া পোদ্দার ঠাকুর। বড়মার অন্তিমযাত্রার দিনে তাঁর মনে পড়ছে ঠাকুমার সঙ্গে বাবুইয়ের বাসা দেখার কথা। সিলভিয়া পোদ্দার ঠাকুর। বয়স-৫৪। পরিচয়-বড়মার বড় ছেলে প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের প্রথম পক্ষের মেয়ে। মা অমলা ঠাকুর বিদেশে থাকেন। তাই ছেলেবেলা থেকে বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের ছায়াতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তাঁর স্কুলে ভর্তি থেকে গৃহশিক্ষক ঠিক করা সবই করতেন বীণাপাণিদেবী। মা কাছে থাকতেন। তাই, সিলভিয়া বড়মাকেই মা বলে ডাকতেন। বড়মার মৃত্যুর খবরে শ্বশুরবাড়ি থেকে সকালেই তিনি চলে এসেছেন ঠাকুরবাড়িতে। বড়মার মরদেহে মালা দিয়েছেন। ইটিভি ভারতকে এক্সক্লসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন ঠাকুমাকে ঘিরে তাঁর নানা স্মৃতিকথা। সিলভিয়া বলেন, 'নিজের মা কাছে ছিল না। ছোটবেলায় আমার যখন অসুখ হয়েছিল, বড়মা তুলোয় করে আমাকে মিছরির জল খাওয়াত। বাবুইয়ের বাসা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগত। বড়মা রোজ বিকেলে আমাকে বাবুইয়ের বাসা দেখাতে নিয়ে যেত। সেই বড়মা আর নেই।' সিলভিয়ার অভিযোগ, মমতাবালা আসার পর তিনি ঠাকুরবাড়ির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঠাকুরবাড়ির এত বৈভবেও তিনি কাব্যে উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছেন। তবু নাড়ির টানে বড়মার অন্তিমযাত্রায় সামিল সিলভিয়া।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.