গোবরডাঙা, 23 জানুয়ারি : দল কাকে শো-কজ করবে না করবে দল বলতে পারবে। আমার সঙ্গে যাঁরা আসবেন আমি সকলের সঙ্গে বৈঠক করব। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ নেতারা বৈঠক করবেন আমার সঙ্গে। তাদেরও কি দল বাদ দিয়ে দেবে ? এটা কি সম্ভব ? জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শো-কজের পাল্টা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এভাবেই কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur reacts on Jayprakash Majumder and Ritesh Tiwari show cause) ৷
রবিবার দুপুরে গোবরডাঙ্গার গৈপুর এলাকায় অনুগামীদের বনভোজনে যোগদান করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ৷ সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বকে বিঁধলেন শান্তনু ঠাকুর ৷ বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে দলবিরোধী মন্তব্যের পাশাপাশি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ 5 বিধায়ক ৷ নবনির্বাচিত কমিটি থেকে বাদ পড়েন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো প্রথমসারির নেতারা ৷ কমিটিতে মতুয়াদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগে পরবর্তীতে একই পথে হেঁটেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও।
রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব পরবর্তীতে বনগাঁর সাংসদের নেতৃত্বে কলকাতায় গোপন বৈঠকও করে। গত সোমবার উত্তর 24 পরগনার গোপালনগর থানার নহাটায় শান্তনু ঠাকুরের বনভোজনে যোগাদান করেছিলেন জয়প্রকাশ, রীতেশ, সায়ন্তন বসু। তারপর থেকেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে জল্পনা চলছিল জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তেওয়ারিকে শো-কজ করা হতে পারে। জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে রবিবার দলবিরোধী কাজের জন্য শো-কজ করা হয় (Show cause letter to Jaiprakash Mazumdar and Ritesh Tiwari)।
আরও পড়ুন : Show Cause Letter to BJP Leaders : কড়া হাতে বিদ্রোহ দমনের ইঙ্গিত, জয়প্রকাশ-রীতেশকে শো-কজ বিজেপি'র
দুই নেতাকে পাঠানো দলীয় চিঠিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে তাঁরা যে দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন, তা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল ৷ তাই দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সুপারিশে এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে তাঁদের এই শো-কজ করা হল ৷