ঠাকুরনগর, 11 জুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরনগর যাওয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা তৈরি হল রবিবার ৷ এদিন সকাল থেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল মতুয়াদের একাংশ ৷ পালটা ঠাকুরবাড়ির অদূরে দাঁড়িয়ে 'গায়ের জোর'-এর হুমকি দেয় অভিষেকও ৷ আর বেলা গড়াতেই সেই উত্তেজনা এবং উত্তাপ কার্যত সীমা ছাড়িয়ে যায় ৷ বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্য়ে সংঘর্ষ হাসপাতালেও পৌঁছে যায় বলে অভিযেগ ৷ এমনকী ঘটনাস্থলে গেলে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷
এদিন অভিষেক বেরিয়ে যেতেই প্রথমে ঠাকুর বাড়িতে তৃণমূল এবং বিজেপি-সমর্থিত মতুয়া ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে ৷ ঘটনায় দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাদের হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল এবং বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল রণক্ষেত্রের চেহারা নয়। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার দাবি, তাঁদের কয়েকজন ভক্ত আহত হলে তিনি তাঁর গাড়িতে করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেই সময় হাসপাতালে থাকা তৃণমূলের লোকেরা তার গাড়ি থেকে মতুয়া ভক্তদের নামিয়ে মারধর করে। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিধায়k অশোক কীর্তনীয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত মতুয়ারা, মোদি-শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর
বিধায়কের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন হাসপাতালে মোতায়েন থাকা পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর নেতৃত্বে পালটা হাসপাতালে থাকা তৃণমূল সমর্থিতদের উপর চড়াও হয় শান্তনু অনুগামীরা। তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের পুলিশ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তি তো জড়িয়ে পড়েন শান্তনু ঠাকুরের নিরাপত্তা রক্ষীরা। শান্তনু ঠাকুরের দাবি, যারা মতুয়া ভক্তদের মারধর করেছে পুলিশ তাদের কিছু না-বলে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদেরই গ্রেফতার করেছে। তাঁর দাবি, তাঁকেও পুলিশ আটক করার চেষ্টা করেছিল। সম্পূর্ণ বিষয়টি তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।