গোপালনগর, 26 জুন : আমফান সাহায্যের তালিকা থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম বাদ যাওয়া নতুন করে নাম নেওয়া, ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্টনে দলবাজি না-করা সহ আট দফা দাবিতে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর । আজ গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া-এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি । সমস্ত দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বনানী নন্দী ।
প্রসঙ্গত, গত 20 মে ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা । তার মধ্যে রয়েছে গোপালনগরও । আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার 20 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে । অভিযোগ, সেই ক্ষতিপূরণের তালিকায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই বাদ পড়েছেন । আবার কোনও ক্ষতিই হয়নি এমন ব্যক্তির নামও ওই ক্ষতিপূরণের তালিকায় রয়েছে । BJP-র অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি স্বজন-পোষণ ও দলবাজি করছে ।
আজ এই অভিযোগে BJP-র পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয় । তারপর প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয় । কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও । স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, "আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত দুর্নীতি করেছে । প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেরই নাম বাদ পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা থেকে । আবার কোনও ক্ষতিই হয়নি এমন অনেকের নাম রয়েছে ওই তালিকায় । আমরা চাই, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের যেন কেউ বাদ না পড়েন । আর যাঁদের ক্ষতি হয়নি তাঁদের নাম ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক ।" যদিও BJP-র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বনানী নন্দী ৷ তিনি বলেন, "প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তাঁর নাম সংযোজন করা হবে । আমাদের পঞ্চায়েতে এখনও কেউ টাকা পাননি । দলবাজি ও স্বজন-পোষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন ।"