খড়দা, 8 জানুয়ারি: মোমিনপুর কাণ্ডে (Mominpur Incident) প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলে "ফিরহাদ হাকিম পুলিশের ঠ্য়াং ভেঙে দিতেন !" রবিবার উত্তর 24 পরগনায় খড়দায় এসে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) ৷ এদিন খড়দা বিধানসভা এলাকার পাতুলিয়া মোড়ে আয়োজিত একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন সজল ৷ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি ৷ সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখ খোলেন মোমিনপুর কাণ্ড নিয়েও ৷ সেই ঘটনার নিরিখে সরাসরি কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) নিশানা করেন সজল ৷
উল্লেখ্য, কলকাতার মোমিনপুর কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ (National Investigation Agency) ৷ আর তারপরই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভূমিকা নিয়েও ৷ সম্প্রতি মোমিনপুরে একটি অশান্তির ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে 20 জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ অথচ, এনআইএর জমা দেওয়া চার্জশিটে এই 20 জনের নাম নেই ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, এই 20 জনের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যাতে এঁদের অভিযুক্তদের তালিকায় রাখা যায় ৷ বরং এনআইএর চার্জশিটে অন্য 16 জনের নাম রয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এখনও পলাতক ৷
আরও পড়ুন: মোমিনপুর কাণ্ডে জেএমবি-র ছায়া দেখছে এনআইএ, উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা
এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই সজল বলেন, "এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত যে পশ্চিমবঙ্গের সবটাই আদতে ভুয়ো মামলা দিয়ে চলছে ৷" এরপরই সজল বলেন, আসলে পুলিশ যদি ওই 20 জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করত, তাহলে ফিরহাদ হাকিম পুলিশের ঠ্যাং ভেঙে দিতেন ! সজলের আরও দাবি, "এই রাজ্য়ে শুধুমাত্র বিজেপিকেই ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয় না ৷ সাধারণ মানুষকেও ভুয়ো মামলা দেওয়া হয় ৷ ভাগ্যিস এনআইএ এসে তদন্ত শুরু করেছিল ৷ তাই আজ সত্যিটা সামনে এল এবং এই মানুষগুলি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ৷ না হলে সারা জীবন বিনা দোষে তাঁদের এই কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হত ৷"