ETV Bharat / state

হাবড়ায় BDO-র বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার 4

author img

By

Published : Nov 11, 2019, 11:11 PM IST

হাবড়ায় BDO-র বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার দুষ্কৃতী । শনিবার রাতভর তল্লাশিত চালিয়ে হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে 4 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

ডাকাতির পরের ছবি

হাবড়া, 11 নভেম্বর : হাবড়া-1 ব্লকের BDO শুভ্র নন্দীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম মইদুল বিশ্বাস (32), শংকর সাহা (29), সুদীপ রায় (29) ও ফারুক আলি (28) । আরও 10 জন দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যকেই অশোকনগর ও হাবড়ার বাসিন্দা ।

গত শুক্রবার রাতে BDO-র আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে প্রথমে গ্রিলের তালা ভাঙে ডাকাতরা। তারপর ঘরে ঢুকে ডাকাতি চালায় । তখন আবাসনে ছিলেন BDO ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী বিশ্বাস নন্দী । তাঁদের হাত-মুখ বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ।

তদন্তে নেমে ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক আলি নারকেল গাছ "ঝাড়ার" কাজ করে । দুর্গাপুজোর সময় BDO-র আবাসনে নারকেল গাছ ঝেড়েছিল ফারুক । পুলিশের অনুমান, ফারুক দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মিলে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ওই চারজন ছাড়াও আরও 10 জন জড়িত এই ডাকাতির ঘটনায় ।

শুভ্রবাবু ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল । পুলিশের বলছে, BDO-র ঘরে যারা সেদিন রাতে ঢুকেছিল তারা অবাঙালি । আবাসনের বাইরে ছিল আরও নয় দুষ্কৃতী । দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাবড়া থানায় যান শুভ্রবাবু ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ওই দিন ডাকাত দলে মোট 14 জন ছিল । 4 জনকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছে পুলিশ । ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে বাকিদেরও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা । খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সামগ্রীও । গত 15 দিনে অশোকনগরে আরও দুটি বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । পুলিশের অনুমান, সেখানে এই দলটাই জড়িত ছিল । আপাতত ধৃত 4 জনকে হেপাজতে নিয়ে হাবড়া-অশোকনগরে পরপর ডাকাতির ঘটনার রহস্যভেদ করতে চাইছে পুলিশ ।

হাবড়া, 11 নভেম্বর : হাবড়া-1 ব্লকের BDO শুভ্র নন্দীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম মইদুল বিশ্বাস (32), শংকর সাহা (29), সুদীপ রায় (29) ও ফারুক আলি (28) । আরও 10 জন দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যকেই অশোকনগর ও হাবড়ার বাসিন্দা ।

গত শুক্রবার রাতে BDO-র আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে প্রথমে গ্রিলের তালা ভাঙে ডাকাতরা। তারপর ঘরে ঢুকে ডাকাতি চালায় । তখন আবাসনে ছিলেন BDO ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী বিশ্বাস নন্দী । তাঁদের হাত-মুখ বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ।

তদন্তে নেমে ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক আলি নারকেল গাছ "ঝাড়ার" কাজ করে । দুর্গাপুজোর সময় BDO-র আবাসনে নারকেল গাছ ঝেড়েছিল ফারুক । পুলিশের অনুমান, ফারুক দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মিলে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ওই চারজন ছাড়াও আরও 10 জন জড়িত এই ডাকাতির ঘটনায় ।

শুভ্রবাবু ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল । পুলিশের বলছে, BDO-র ঘরে যারা সেদিন রাতে ঢুকেছিল তারা অবাঙালি । আবাসনের বাইরে ছিল আরও নয় দুষ্কৃতী । দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাবড়া থানায় যান শুভ্রবাবু ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ওই দিন ডাকাত দলে মোট 14 জন ছিল । 4 জনকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছে পুলিশ । ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে বাকিদেরও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা । খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সামগ্রীও । গত 15 দিনে অশোকনগরে আরও দুটি বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । পুলিশের অনুমান, সেখানে এই দলটাই জড়িত ছিল । আপাতত ধৃত 4 জনকে হেপাজতে নিয়ে হাবড়া-অশোকনগরে পরপর ডাকাতির ঘটনার রহস্যভেদ করতে চাইছে পুলিশ ।

Intro:হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার দুষ্কৃতী।

হাবড়াঃ হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কুখ্যাত চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতভর তল্লাশিতে হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মইদুল বিশ্বাস (32), শংকর সাহা (29), সুদীপ রায়(29) ও ফারুক আলি (28)। ধৃতদের এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মইদুলের বাড়ি অশোকনগর থানার মল্লিকপাড়া এলাকায়। শংকর থাকে অশোকনগরের ৫ নম্বর সুভাষপল্লিতে। সুদীপ ৫ নম্বর তরুণপল্লির বাসিন্দা। ফারুকের বাড়ি হাবড়ার ছোট বামনিয়া এলাকায়। মইদুল, শংকর ও সুদীপ কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। হাবড়া-অশোকনগর-সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানা এলাকায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল। কয়েক বছর তারা জেলও খেটেছে।

শুক্রবার ভোররাতে হাবড়া-এক ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা বিডিওর আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। গ্রিলের দুটো তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে বিডিও ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী বিশ্বাস নন্দীকে হাত-মুখ বেঁধে লুঠপাট চালিয়েছিল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাসতালুকে বিডিওকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনায় চাপ বাড়ে পুলিশের উপরও। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতী দলের চার জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক নারকেল গাছ ঝোড়ার কাজ করে। দুর্গাপুজোর সময় বিডিওর আবাসনে সে নারকেল গাছ ঝুড়তে এসেছিল। দু'দিনের কাজ নানা টালবাহানায় সাত দিন ধরে করেছিল। পুলিশের অনুমান, ফারুকই ডাকাত দলকে সব পথ দেখিয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরে তারা সংখ্যায় ১৪ জন ছিল। বিডিও ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল। যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা হাবড়া-অশোকনগরের বাসিন্দা। পুলিশের ব্যাখ্যা, বিডিওর ঘরে যারা সেদিন রাতে ঢুকেছিল, তারা অবাঙালি। বাইরে ছিল আরও নয় জন। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাবড়া থানায় আসেন বিডিও শুভ্রবাবু। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাদ ঠাকুর বলেন, 'ডাকাতরা মোট ১৪ জন ছিল। চার জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে বাকিদেরও ধরা হবে। উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সামগ্রীও।' ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত ১৫ দিনে অশোকনগরে আরও দুটো বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এই দলটাই জড়িত ছিল। আপাতত ধৃত চার জনকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ হাবড়া-অশোকনগরে পরপর ডাকাতির ঘটনার রহস্যভেদ করতে চাইছে।Body:হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার দুষ্কৃতী।

হাবড়াঃ হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কুখ্যাত চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতভর তল্লাশিতে হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মইদুল বিশ্বাস (32), শংকর সাহা (29), সুদীপ রায়(29) ও ফারুক আলি (28)। ধৃতদের এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মইদুলের বাড়ি অশোকনগর থানার মল্লিকপাড়া এলাকায়। শংকর থাকে অশোকনগরের ৫ নম্বর সুভাষপল্লিতে। সুদীপ ৫ নম্বর তরুণপল্লির বাসিন্দা। ফারুকের বাড়ি হাবড়ার ছোট বামনিয়া এলাকায়। মইদুল, শংকর ও সুদীপ কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। হাবড়া-অশোকনগর-সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানা এলাকায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল। কয়েক বছর তারা জেলও খেটেছে।

শুক্রবার ভোররাতে হাবড়া-এক ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা বিডিওর আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। গ্রিলের দুটো তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে বিডিও ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী বিশ্বাস নন্দীকে হাত-মুখ বেঁধে লুঠপাট চালিয়েছিল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাসতালুকে বিডিওকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনায় চাপ বাড়ে পুলিশের উপরও। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতী দলের চার জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক নারকেল গাছ ঝোড়ার কাজ করে। দুর্গাপুজোর সময় বিডিওর আবাসনে সে নারকেল গাছ ঝুড়তে এসেছিল। দু'দিনের কাজ নানা টালবাহানায় সাত দিন ধরে করেছিল। পুলিশের অনুমান, ফারুকই ডাকাত দলকে সব পথ দেখিয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরে তারা সংখ্যায় ১৪ জন ছিল। বিডিও ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল। যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা হাবড়া-অশোকনগরের বাসিন্দা। পুলিশের ব্যাখ্যা, বিডিওর ঘরে যারা সেদিন রাতে ঢুকেছিল, তারা অবাঙালি। বাইরে ছিল আরও নয় জন। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাবড়া থানায় আসেন বিডিও শুভ্রবাবু। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাদ ঠাকুর বলেন, 'ডাকাতরা মোট ১৪ জন ছিল। চার জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে বাকিদেরও ধরা হবে। উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সামগ্রীও।' ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত ১৫ দিনে অশোকনগরে আরও দুটো বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এই দলটাই জড়িত ছিল। আপাতত ধৃত চার জনকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ হাবড়া-অশোকনগরে পরপর ডাকাতির ঘটনার রহস্যভেদ করতে চাইছে।Conclusion:হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার দুষ্কৃতী।

হাবড়াঃ হাবড়ায় বিডিওর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কুখ্যাত চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতভর তল্লাশিতে হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মইদুল বিশ্বাস (32), শংকর সাহা (29), সুদীপ রায়(29) ও ফারুক আলি (28)। ধৃতদের এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মইদুলের বাড়ি অশোকনগর থানার মল্লিকপাড়া এলাকায়। শংকর থাকে অশোকনগরের ৫ নম্বর সুভাষপল্লিতে। সুদীপ ৫ নম্বর তরুণপল্লির বাসিন্দা। ফারুকের বাড়ি হাবড়ার ছোট বামনিয়া এলাকায়। মইদুল, শংকর ও সুদীপ কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। হাবড়া-অশোকনগর-সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানা এলাকায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল। কয়েক বছর তারা জেলও খেটেছে।

শুক্রবার ভোররাতে হাবড়া-এক ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা বিডিওর আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। গ্রিলের দুটো তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে বিডিও ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী বিশ্বাস নন্দীকে হাত-মুখ বেঁধে লুঠপাট চালিয়েছিল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাসতালুকে বিডিওকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনায় চাপ বাড়ে পুলিশের উপরও। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতী দলের চার জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক নারকেল গাছ ঝোড়ার কাজ করে। দুর্গাপুজোর সময় বিডিওর আবাসনে সে নারকেল গাছ ঝুড়তে এসেছিল। দু'দিনের কাজ নানা টালবাহানায় সাত দিন ধরে করেছিল। পুলিশের অনুমান, ফারুকই ডাকাত দলকে সব পথ দেখিয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরে তারা সংখ্যায় ১৪ জন ছিল। বিডিও ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল। যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা হাবড়া-অশোকনগরের বাসিন্দা। পুলিশের ব্যাখ্যা, বিডিওর ঘরে যারা সেদিন রাতে ঢুকেছিল, তারা অবাঙালি। বাইরে ছিল আরও নয় জন। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে রবিবার সকালে হাবড়া থানায় আসেন বিডিও শুভ্রবাবু। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাদ ঠাকুর বলেন, 'ডাকাতরা মোট ১৪ জন ছিল। চার জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে বাকিদেরও ধরা হবে। উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সামগ্রীও।' ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত ১৫ দিনে অশোকনগরে আরও দুটো বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এই দলটাই জড়িত ছিল। আপাতত ধৃত চার জনকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ হাবড়া-অশোকনগরে পরপর ডাকাতির ঘটনার রহস্যভেদ করতে চাইছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.