ETV Bharat / state

Bad Road Condition: রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় বিয়ে হচ্ছে না এলাকার ছেলেদের, 'দিদির দূত'কে ঘিরে ক্ষোভ - রাস্তার অবস্থা বেহাল

দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য (Bad Road Condition)। ফলে ওই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইছে না পাত্রী পক্ষ। 'দিদির দূত'কে ঘিরে এমনই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের। রবিবার উত্তর 24 পরগণার বাগদার কনিয়াড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলনি গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।

Etv Bharat
বেহাল রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না, অদ্ভুত অভিযোগ
author img

By

Published : Mar 26, 2023, 11:06 PM IST

বনগাঁ, 26 মার্চ: দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য (Bad Road Condition)। ফলে ওই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইছে না পাত্রী পক্ষ। 'দিদির দূত'কে ঘিরে এমনই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের। রবিবার উত্তর 24 পরগণার বাগদার কনিয়াড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলনি গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ।

জানা গিয়েছে, বাম জমানা থেকেই ধুলনি গ্রামের রাস্তা খারাপ। বিভিন্ন দফতরে বারবার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি ৷ আবার অনেক সময় মিলেছে প্রতিশ্রুতি, তবে মেলেনি রাস্তা । রবিবার ধুলনি গ্রামে 'দিদির দূত' হয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগ জানতে আসেন বিধায়ক বিশ্বজিত। এলাকায় ঢুকতেই স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানান । রাস্তা খারাপের পাশাপাশি গ্রামবাসীরা তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানাতে থাকেন বিশ্বজিতের কাছে । তখন গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, "স্যার আমাদের টাকা পয়সা কিছুই লাগবে না। শুধু মাত্র রাস্তাটা করে দিন। রাস্তা খারাপের কারণে গ্রামের ছেলেদের বিয়ে হচ্ছে না । মেয়ের পরিবার এই গ্রামের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায় না।" বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করছে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোমাদের এই রাস্তা করে দেবেন।"

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী যুবকের নাম শেখর বালা। তিনি ধুলনি গ্রামের বাসিন্দা। সে নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে জানান। শেখর বলেন, "রাস্তা খারাপের কারণে কেউ এই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে চায় না। কিছুদিন আগে এলাকার এক যুবকের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে । পাত্রী পক্ষ ভাগারে মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে চলে গিয়েছে।" শেখর কার্যত হুশিয়ারির সুরে বলেন, "বাম আমল থেকে রাস্তা খারাপ। এই পঞ্চায়েতের আগে রাস্তা না হলে আমরাই ব্যবস্থা করে নেব।" এবিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "নিশ্চিত ভাবে রাস্তার প্রয়োজন। আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি । কিন্তু বিভিন্ন ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বঞ্চনা করেছে । তথাপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তার অনুমোদন দিয়েছেন । আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এলাকার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।"

আরও পড়ুন: নদী দখল করে চাষবাস, রয়েছে বৈধ নথিও; আজব ছবি রায়গঞ্জে

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, "এই সরকার সর্বগ্রাসী সরকার। শুধু বাগদার ঘটনা নয়, রাজ্য জুড়ে একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে । যুবক ছেলেরা চাকরি করে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে কিন্তু চাকরি না হওয়ার কারণে তাদের প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর যারা চাকরি বিক্রি করছে, যাদের প্রেমিকা থাকার কথা না, তাদের বুড়ো বয়সে প্রেমিকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের কালচার।" রাজ্যকে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "বঞ্চনার কথা মানে কুমিরের কান্না। ইডি-সিবিআই থেকে মানুষের মুখ ঘুরানোর জন্য বঞ্চনার কথা বলছে, ধর্ণায় বসছে। কেন্দ্রের পাঠানো কোনও টাকার হিসাব দেয় না। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়।" এই টাকা কোথা থেকে এসেছে বলে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা প্রবীর রায় ৷

বনগাঁ, 26 মার্চ: দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য (Bad Road Condition)। ফলে ওই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইছে না পাত্রী পক্ষ। 'দিদির দূত'কে ঘিরে এমনই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের। রবিবার উত্তর 24 পরগণার বাগদার কনিয়াড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলনি গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ।

জানা গিয়েছে, বাম জমানা থেকেই ধুলনি গ্রামের রাস্তা খারাপ। বিভিন্ন দফতরে বারবার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি ৷ আবার অনেক সময় মিলেছে প্রতিশ্রুতি, তবে মেলেনি রাস্তা । রবিবার ধুলনি গ্রামে 'দিদির দূত' হয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগ জানতে আসেন বিধায়ক বিশ্বজিত। এলাকায় ঢুকতেই স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানান । রাস্তা খারাপের পাশাপাশি গ্রামবাসীরা তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানাতে থাকেন বিশ্বজিতের কাছে । তখন গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, "স্যার আমাদের টাকা পয়সা কিছুই লাগবে না। শুধু মাত্র রাস্তাটা করে দিন। রাস্তা খারাপের কারণে গ্রামের ছেলেদের বিয়ে হচ্ছে না । মেয়ের পরিবার এই গ্রামের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায় না।" বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করছে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোমাদের এই রাস্তা করে দেবেন।"

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী যুবকের নাম শেখর বালা। তিনি ধুলনি গ্রামের বাসিন্দা। সে নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে জানান। শেখর বলেন, "রাস্তা খারাপের কারণে কেউ এই গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে চায় না। কিছুদিন আগে এলাকার এক যুবকের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে । পাত্রী পক্ষ ভাগারে মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে চলে গিয়েছে।" শেখর কার্যত হুশিয়ারির সুরে বলেন, "বাম আমল থেকে রাস্তা খারাপ। এই পঞ্চায়েতের আগে রাস্তা না হলে আমরাই ব্যবস্থা করে নেব।" এবিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "নিশ্চিত ভাবে রাস্তার প্রয়োজন। আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি । কিন্তু বিভিন্ন ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বঞ্চনা করেছে । তথাপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তার অনুমোদন দিয়েছেন । আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এলাকার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।"

আরও পড়ুন: নদী দখল করে চাষবাস, রয়েছে বৈধ নথিও; আজব ছবি রায়গঞ্জে

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, "এই সরকার সর্বগ্রাসী সরকার। শুধু বাগদার ঘটনা নয়, রাজ্য জুড়ে একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে । যুবক ছেলেরা চাকরি করে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে কিন্তু চাকরি না হওয়ার কারণে তাদের প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর যারা চাকরি বিক্রি করছে, যাদের প্রেমিকা থাকার কথা না, তাদের বুড়ো বয়সে প্রেমিকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের কালচার।" রাজ্যকে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "বঞ্চনার কথা মানে কুমিরের কান্না। ইডি-সিবিআই থেকে মানুষের মুখ ঘুরানোর জন্য বঞ্চনার কথা বলছে, ধর্ণায় বসছে। কেন্দ্রের পাঠানো কোনও টাকার হিসাব দেয় না। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়।" এই টাকা কোথা থেকে এসেছে বলে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা প্রবীর রায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.