গাইঘাটা, 17 মে: কন্ট্রোল রুমে ফোন করেও মিলছে না পরিষেবা । এই অভিযোগে সরব হলেন গাইঘাটার একটি কনটেনমেন্ট জ়োন এলাকার বাসিন্দারা ।
দু'সপ্তাহ আগে গাইঘাটা থানার একটি এলাকায় এক ব্যক্তি কোরোনায় আক্রান্ত হন । তারপরই প্রশাসনের তরফে ওই এলাকাটিকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল । বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল গ্রামের প্রতিটি রাস্তা । পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম । ঘরবন্দী মানুষের কাছে যাবতীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল । কিন্তু কনটেনমেন্ট জ়োনে থাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, কন্ট্রোল রুম থেকে কোনওরকম পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না । কিছু রেশন সামগ্রী পেলেও ওষুধপত্র-সহ অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা । তবে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতি ও ওই কনটেন্টমেন্ট জ়োনের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ।
অজয় সরকার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, "কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার প্রথম দিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এলাকার কোনও বাসিন্দা বাইরে বেরোতে পারবেন না । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ সব কিছুই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হবে । গ্রামবাসীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম । রেশনের চাল, আটা সহ কিছু জিনিস দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তার বাইরেও অনেক কিছু প্রয়োজন । সেগুলো কন্ট্রোল রুমে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না ।" গাইঘাটা থানার পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, একেবারেই মিথ্যে অভিযোগ । চাহিদা অনুযায়ী খাবার গ্রামের বাসিন্দাদের দেওয়া হচ্ছে । আসলে অকারণে তাঁরা গ্রামের বাইরে বের হতে চাইছেন । প্রশাসন সে ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে ।
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, "কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে গ্রামের বাসিন্দাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছে । তাতে কোনও ঘাটতি নেই । তবে ওষুধ নিয়ে একটু সমস্যা আছে । সব ওষুধ সব সময় না পাওয়ার জন্য একটু দেরি হচ্ছে । আসলে যখন তখন গ্রামের বাসিন্দারা আর বাইরে বের হতে পারছেন না বলেই এই অভিযোগ করছেন ।"