সন্দেশখালি, 19 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কটাক্ষ BJP নেতা সায়ন্তন বসুর ৷ তিনি বলেন, "সামনে পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসে যারা টিকিট পাবে না, তারা প্রশান্ত কিশোরকে বেদম মার মারবে । রাস্তায় যেখানে সেখানে মারধর করবে । তাই তাকে বাঁচানোর জন্য দিদির রাজ্য সরকার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে ।" গতকাল সন্দেশখালিতে নিঁখোজ BJP নেতার বাড়িতে দেখা করতে যান সায়ন্তনবাবু ৷ সেখানে সাংবাদিকরা প্রশান্ত কিশোরের কথা উত্থাপন করলে একথা বলেন তিনি ৷
গতবছর জুন মাসের চার তারিখ সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ভাঙিপাড়ায় রাজনৈতিক সভা করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-BJP-র মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয় । বোমাবাজি ও গুলি চলে । প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল নামে দুই BJP কর্মী খুন হয় । মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীরও । সেদিন থেকে নিখোঁজ ছিল BJP কর্মী দেবদাস মণ্ডল । তাঁর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি । চলতি মাসের 15 তারিখ শনিবার সন্দেশখালির ডাঁসা নদীর টোঙতলার চর থেকে একটি মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করেছিল CID ৷ সেই হাড়গোড় ও মাথার খুলি নিখোঁজ BJP কর্মী দেবদাস মণ্ডলের কি ? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন ৷ BJP নেতৃত্বের দাবি, ওই মাথার খুলি ও হাড়গোড় কার তা জানতে CBI তদন্ত হোক । সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল দেবদাসের বাড়িতে যান সায়ন্তন বসু ৷ তিনি ছাড়াও ছিলেন রাজ্য ও জেলার আরও কয়েকজন BJP-র প্রতিনিধি ৷ সেখানে দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেন সায়ন্তন ।
সায়ন্তনবাবু বলেন, "নরকঙ্কালগুলো রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও DNA পরীক্ষার জন্য । নিখোঁজের পরিবার হাইকোর্টে মামলা করেছিল ৷ আমরা আদালতে যাব যাতে CBI তদন্ত হয় । রাজ্য CID তদন্ত করছে এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য । আমরা চাই, দেবদাসের পরিবার সঠিক বিচার পাক । এদিন সায়ন্তনের সঙ্গে ভাঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত ছিলেন BJP-র রাজ্য মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায, BJP-র বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তারক ঘোষ ও BJP নেতা শান্তনু চক্রবর্তী-সহ একাধিক BJP নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ । সায়ন্তনবাবুরা কালীনগর বাজার থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত মিছিল করেন । সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে ওই পদযাত্রায় যোগ দেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা । সায়ন্তনবাবু আরও বলেন, "আমাদের একজন নিখোঁজ BJP কর্মী দেবদাস মণ্ডলকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে । যে মূল আসামি সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আদালত যদি গ্রেপ্তারের নির্দেশ না দেয় আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব । দেখব কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বাঁচান ।"