ETV Bharat / state

দত্তপুকুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবি, পোস্টার পড়ল বারাসত আদালত চত্বরে - Murder

বারাসতের দত্তপুকুরে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে পোস্টার পড়ে আজ । 14 সেপ্টেম্বর খুন হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি ।

Aa
Ww
author img

By

Published : Sep 28, 2020, 8:53 PM IST

Updated : Sep 28, 2020, 9:00 PM IST

বারাসত, 28 সেপ্টেম্বর: দত্তপুকুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এবার পোস্টার পড়ল বারাসত আদালত চত্বরে । আদালতে প্রবেশের মূলগেট থেকে শুরু করে আইনজীবীদের সেরেস্তাঁর দেওয়াল ছেয়ে গেছে গৌতম দে, তার প্রেমিকা বৃহস্পতি মণ্ডল ও বৃহস্পতির ছেলে সৌমেনের ফাঁসির দাবিতে পোস্টার । এর আগে নৃশংস এই খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মৃত দেবানন্দ মণ্ডলের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা । প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছিল বারাসত আদালত চত্বর । তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তিনজনের ফাঁসির দাবিতে পোস্টার পড়ল সেই আদালত চত্বরেই । তবে, পোস্টারের নিচে কারও কিংবা কোনও সংগঠনের নাম লেখা ছিল না । এদিকে, পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজত কাটিয়ে আজ ফের ওই তিনজনকে তোলা হয় বারাসত আদালতে । বিচারক তাদের ফের দু'দিনের পুলিশি হেপাজতের আদেশ দেন।

15 সেপ্টেম্বর দত্তপুকুরের বেরো নারায়ণপুর এলাকা থেকে দেবানন্দ মণ্ডল(42) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । তাঁর গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল । তা দেখে পুলিশের অনুমান, ধারালো কিছু দিয়ে ওই ব্যাক্তিকে খুন করা হয়েছে । একই সন্দেহ করেছিল নিহতের ছেলে সৌমেন মণ্ডলও । এরপরই পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, খুনের ঘটনার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে । নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল দেবানন্দের বন্ধু গৌতম দে-র । সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন দেবানন্দ । এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত । পথের কাঁটা স্বামীকে সরাতে এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুনের ছক কষে স্ত্রী । তাতে শামিল হয় ছেলে সৌমেনও ।

এরপর 14 সেপ্টেম্বর বিকালে বাড়ি থেকে দেবানন্দকে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধু গৌতম । তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল তাঁর । পরের দিন সকালে বারাসত শহর সংলগ্ন দত্তপুকুরের বেরো নারায়ণপুর এলাকার একটি নালা থেকে দেবানন্দের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । দেহটি কাদার মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল । গলায় ছিল গভীর ক্ষতচিহ্ন । 12 ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । প্রথমে নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক গৌতমকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । এরপর আটক করা হয় মৃতের স্ত্রী বৃহস্পতি ও ছেলে সৌমেনকে । তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই খুনের কথা কবুল করে অভিযুক্তরা । গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে ।

এদিকে, খুনের ঘটনার কারণ প্রকাশ্যে আসতেই গৌতম দে, বৃহস্পতি মণ্ডল ও সৌমেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে মৃত দেবানন্দের পরিবারের লোকজন । সকলেই এই খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হন ।

বারাসত, 28 সেপ্টেম্বর: দত্তপুকুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এবার পোস্টার পড়ল বারাসত আদালত চত্বরে । আদালতে প্রবেশের মূলগেট থেকে শুরু করে আইনজীবীদের সেরেস্তাঁর দেওয়াল ছেয়ে গেছে গৌতম দে, তার প্রেমিকা বৃহস্পতি মণ্ডল ও বৃহস্পতির ছেলে সৌমেনের ফাঁসির দাবিতে পোস্টার । এর আগে নৃশংস এই খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মৃত দেবানন্দ মণ্ডলের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা । প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছিল বারাসত আদালত চত্বর । তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তিনজনের ফাঁসির দাবিতে পোস্টার পড়ল সেই আদালত চত্বরেই । তবে, পোস্টারের নিচে কারও কিংবা কোনও সংগঠনের নাম লেখা ছিল না । এদিকে, পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজত কাটিয়ে আজ ফের ওই তিনজনকে তোলা হয় বারাসত আদালতে । বিচারক তাদের ফের দু'দিনের পুলিশি হেপাজতের আদেশ দেন।

15 সেপ্টেম্বর দত্তপুকুরের বেরো নারায়ণপুর এলাকা থেকে দেবানন্দ মণ্ডল(42) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । তাঁর গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল । তা দেখে পুলিশের অনুমান, ধারালো কিছু দিয়ে ওই ব্যাক্তিকে খুন করা হয়েছে । একই সন্দেহ করেছিল নিহতের ছেলে সৌমেন মণ্ডলও । এরপরই পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, খুনের ঘটনার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে । নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল দেবানন্দের বন্ধু গৌতম দে-র । সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন দেবানন্দ । এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত । পথের কাঁটা স্বামীকে সরাতে এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুনের ছক কষে স্ত্রী । তাতে শামিল হয় ছেলে সৌমেনও ।

এরপর 14 সেপ্টেম্বর বিকালে বাড়ি থেকে দেবানন্দকে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধু গৌতম । তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল তাঁর । পরের দিন সকালে বারাসত শহর সংলগ্ন দত্তপুকুরের বেরো নারায়ণপুর এলাকার একটি নালা থেকে দেবানন্দের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । দেহটি কাদার মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল । গলায় ছিল গভীর ক্ষতচিহ্ন । 12 ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ । প্রথমে নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক গৌতমকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । এরপর আটক করা হয় মৃতের স্ত্রী বৃহস্পতি ও ছেলে সৌমেনকে । তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই খুনের কথা কবুল করে অভিযুক্তরা । গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে ।

এদিকে, খুনের ঘটনার কারণ প্রকাশ্যে আসতেই গৌতম দে, বৃহস্পতি মণ্ডল ও সৌমেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে মৃত দেবানন্দের পরিবারের লোকজন । সকলেই এই খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হন ।

Last Updated : Sep 28, 2020, 9:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.