ETV Bharat / state

লকডাউন অমান্য, বারাসত বাজার বন্ধ করে দিলেন পুলিশ সুপার

বার বার বলা হলেও পুলিশের নির্দেশে কান দিচ্ছিলেন না কেউ । উলটে সেসবের জন্য পুলিশকেই দায়ি করা হচ্ছিল । তাই আজ লকডাউনের নিয়মবিধি না মানায় অভিযান চালিয়ে বারাসত বাজার বন্ধ করে দিলেন পুলিশ সুপার ।

author img

By

Published : Apr 20, 2020, 2:15 PM IST

Barasat
বন্ধ দোকান

বারাসত, 20 এপ্রিল : প্রশাসনের নির্দেশ সত্ত্বেও বারাসতের হেলাবটতলা সংলগ্ন বাজার ও মুদি দোকানে ভিড় করছিলেন মানুষজন । সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছিল জিনিস কেনা-বেচা । আর এইসবের জন্য পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবকেই দায়ি করা হচ্ছিল । তাই এই সমস্যা সমাধানে আজ আসরে নামেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে বারাসত বাজার-সহ একাধিক মুদি দোকান বন্ধ করে দেন ।

কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যের চার জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনাও রয়েছে । ইতিমধ্যে মধ্যমগ্রাম পৌর এলাকায় চারজনের শরীরে কোরোনার হদিস মিলেছে । জেলা সদর বারাসতেও কয়েকজনকে কোরোনা সন্দেহে কোয়ারানটাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাই স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার । খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গেছে উদ্বেগের সুর । সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে কড়া হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । কিন্তু তারপরও হেলাবটতলা সংলগ্ন মুদি দোকান ও বাজারে ভিড় সামলানো যাচ্ছিল না । আর তার জন্য পুলিশকেই দায়ি করা হচ্ছিল ।

আজ সকালেও হেলবটতলা সংলগ্ন মুদি দোকান ও বাজারে মানুষের ভিড় করার খবর যায় পুলিশের কাছে । সেই খবর পেতেই হেলাবটতলায় বিশেষ বাহিনী নিয়ে পৌঁছান বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুরও । লকডাউনের নিয়মবিধি না মানায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই বাজার ও মুদি দোকান ।

Barasat
লকডাউনে রাস্তায় বেরোতে দেখলে এভাবেই জিজ্ঞাসবাদ করছে বারাসত পুলিশ

স্থানীয়দের মতে, "কোরোনা মোকাবিলায় যখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তখন কিছু মানুষ বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছেন । তাঁরা কোনও নিয়মবিধি মানছেন না । যার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অন্যদেরও । প্রত্যেক মানুষেরই উচিত সরকার নির্দেশিত নিয়মকানুন মেনে চলা । তাহলেই আমরা কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে পারব ।"

বারাসত, 20 এপ্রিল : প্রশাসনের নির্দেশ সত্ত্বেও বারাসতের হেলাবটতলা সংলগ্ন বাজার ও মুদি দোকানে ভিড় করছিলেন মানুষজন । সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছিল জিনিস কেনা-বেচা । আর এইসবের জন্য পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবকেই দায়ি করা হচ্ছিল । তাই এই সমস্যা সমাধানে আজ আসরে নামেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে বারাসত বাজার-সহ একাধিক মুদি দোকান বন্ধ করে দেন ।

কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যের চার জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনাও রয়েছে । ইতিমধ্যে মধ্যমগ্রাম পৌর এলাকায় চারজনের শরীরে কোরোনার হদিস মিলেছে । জেলা সদর বারাসতেও কয়েকজনকে কোরোনা সন্দেহে কোয়ারানটাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাই স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার । খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গেছে উদ্বেগের সুর । সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে কড়া হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । কিন্তু তারপরও হেলাবটতলা সংলগ্ন মুদি দোকান ও বাজারে ভিড় সামলানো যাচ্ছিল না । আর তার জন্য পুলিশকেই দায়ি করা হচ্ছিল ।

আজ সকালেও হেলবটতলা সংলগ্ন মুদি দোকান ও বাজারে মানুষের ভিড় করার খবর যায় পুলিশের কাছে । সেই খবর পেতেই হেলাবটতলায় বিশেষ বাহিনী নিয়ে পৌঁছান বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুরও । লকডাউনের নিয়মবিধি না মানায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই বাজার ও মুদি দোকান ।

Barasat
লকডাউনে রাস্তায় বেরোতে দেখলে এভাবেই জিজ্ঞাসবাদ করছে বারাসত পুলিশ

স্থানীয়দের মতে, "কোরোনা মোকাবিলায় যখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তখন কিছু মানুষ বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছেন । তাঁরা কোনও নিয়মবিধি মানছেন না । যার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অন্যদেরও । প্রত্যেক মানুষেরই উচিত সরকার নির্দেশিত নিয়মকানুন মেনে চলা । তাহলেই আমরা কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে পারব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.