ETV Bharat / state

হাড়োয়ায় শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার গ্রেপ্তার

হাড়োয়ায় দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে হাসপাতালেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷ গতকাল ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাড়োয়া ৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ ৷ পুলিশের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা ৷ অবশেষে হাসপাতালেই গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তকে ৷

অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার
অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার
author img

By

Published : Jan 19, 2020, 12:41 AM IST

হাড়োয়া, 19 জানুয়ারি : দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাড়োয়া ৷ চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ ৷ অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল ওই পুলিশ অফিসারকে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট ৷

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৷ কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এম সি এইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্র-যুব উৎসব পালন করা হচ্ছিল ৷ শুক্রবার ছিল শেষ দিন ৷ সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক ASI জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন ৷ সন্ধ্যার পর স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে যায় ৷ জানা যায়, তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চায় ৷ অভিযোগ, তখনই জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন ৷ স্কুলের দো'তলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যান ৷ তারপর তাদের শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ ৷

ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা ৷ তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিসে আটকে রাখেন ৷ তারপর মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার পুলিশ ৷ পৌঁছায় কমব্যাট ফোর্সও ৷ অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ৷ তবে, বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি ৷

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে বিক্ষোভ

শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযুক্ত জাহাঙ্গির বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ গতকাল সকালে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার দেওয়া হয় ৷ হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় চলে অবরোধ ৷ অভিযুক্তকে মারধরের জন্য পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৷ ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা ৷ স্কুলের সামনে পুলিশের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷

মিনাখাঁর SDPO সুব্রত দেব ঘটনাস্থানে পৌঁছে অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ৷ পরে, গতকাল বিকেলে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গিরকে হাসপাতালেই গ্রেপ্তার করা হয় ৷

হাড়োয়া, 19 জানুয়ারি : দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাড়োয়া ৷ চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ ৷ অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল ওই পুলিশ অফিসারকে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট ৷

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৷ কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এম সি এইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্র-যুব উৎসব পালন করা হচ্ছিল ৷ শুক্রবার ছিল শেষ দিন ৷ সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক ASI জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন ৷ সন্ধ্যার পর স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে যায় ৷ জানা যায়, তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চায় ৷ অভিযোগ, তখনই জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন ৷ স্কুলের দো'তলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যান ৷ তারপর তাদের শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ ৷

ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা ৷ তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিসে আটকে রাখেন ৷ তারপর মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার পুলিশ ৷ পৌঁছায় কমব্যাট ফোর্সও ৷ অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ৷ তবে, বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি ৷

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে বিক্ষোভ

শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযুক্ত জাহাঙ্গির বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ গতকাল সকালে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার দেওয়া হয় ৷ হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় চলে অবরোধ ৷ অভিযুক্তকে মারধরের জন্য পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৷ ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা ৷ স্কুলের সামনে পুলিশের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷

মিনাখাঁর SDPO সুব্রত দেব ঘটনাস্থানে পৌঁছে অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ৷ পরে, গতকাল বিকেলে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গিরকে হাসপাতালেই গ্রেপ্তার করা হয় ৷

Intro:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Body:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Conclusion:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.