হাড়োয়া, 19 জানুয়ারি : দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাড়োয়া ৷ চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ ৷ অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল ওই পুলিশ অফিসারকে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট ৷
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৷ কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এম সি এইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্র-যুব উৎসব পালন করা হচ্ছিল ৷ শুক্রবার ছিল শেষ দিন ৷ সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক ASI জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন ৷ সন্ধ্যার পর স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে যায় ৷ জানা যায়, তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চায় ৷ অভিযোগ, তখনই জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন ৷ স্কুলের দো'তলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যান ৷ তারপর তাদের শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ ৷
ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা ৷ তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিসে আটকে রাখেন ৷ তারপর মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার পুলিশ ৷ পৌঁছায় কমব্যাট ফোর্সও ৷ অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ৷ তবে, বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি ৷
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযুক্ত জাহাঙ্গির বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ গতকাল সকালে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার দেওয়া হয় ৷ হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় চলে অবরোধ ৷ অভিযুক্তকে মারধরের জন্য পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৷ ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা ৷ স্কুলের সামনে পুলিশের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷
মিনাখাঁর SDPO সুব্রত দেব ঘটনাস্থানে পৌঁছে অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ৷ পরে, গতকাল বিকেলে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গিরকে হাসপাতালেই গ্রেপ্তার করা হয় ৷