ETV Bharat / state

High Tide : শিয়রে ভরা অমাবস্যার কোটাল, সুন্দরবনে সতর্কতা প্রচারে প্রশাসন - Sunderbans

শিয়রে অমাবস্যার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপ ৷ তার ধাক্কা সামলাতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন ৷ বৃহস্পতিবার যশ বিধ্বস্ত সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার চালানো হয় ৷ নদী তীরবর্তীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ হয় ৷

ভরা কোটালের আগে সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার পুলিশের ৷
ভরা কোটালের আগে সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার পুলিশের ৷
author img

By

Published : Jun 10, 2021, 7:45 PM IST

সন্দেশখালি, 10 জুন : শিয়রে অমাবস্যার কোটাল ৷ তার উপর আবার নিম্নচাপ‌ । তাই আগে ভাগে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজে নামল পুলিশ-প্রশাসন । বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালান পুলিশ কর্মীরা । নদী ও স্থল দু'পথেই চলে এই সতর্কতামূলক প্রচার । পুলিশের পাশাপাশি সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফেও । হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তুষার মণ্ডল পথে নেমে এবিষয়ে সতর্ক করেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের । লক্ষ্য একটাই, দুর্যোগ থেকে বিপদ এড়ানো ।

যশের দগদগে ক্ষত এখনও শুকোয়নি । তারই মধ্যে অমাবস্যার ভরা কোটাল ও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, যার ফলে এখন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা সুন্দরবনবাসীর । এমনিতেই যশের তাণ্ডবে সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের । তার উপর অমাবস্যার কোটাল এবং নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে দিশেহারা অবস্থা দুর্গত মানুষের । কী করবেন ? কোথায় যাবেন ? ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছেন না সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁর অসংখ্য বানভাসি মানুষ । যদিও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন । তা সত্ত্বেও প্লাবনের আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দুর্গতরা ৷ তাদের শঙ্কা, কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে । ফলে নতুন করে জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ আর এই জোড়া ফলায় রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর ।

ইতিমধ্যে আবহাওয়া অফিস 11 ও 26 জুন পরপর দু'টি ভরা কোটালের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে । সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের সম্ভবনার কথাও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিস থেকে । আর সেই সতর্কবাণীর পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন । যশ বিধ্বস্ত সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার চালানোর পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে । এমনকি বজ্রপাত সময় কী করণীয়, আর কী করণীয় নয়, সেবিষয়েও প্রচার চালানো হচ্ছে । সতর্ক করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের । স্থানীয় কালীতলা ও খুলনা পঞ্চায়েতের তরফেও এদিন সতর্ক করা হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ৷

এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের শিক্ষক নেতা তুষার মণ্ডল বলেন, "ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতি বৈঠক করে এই বিষয়ে সতর্কতামূলক যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই হাইটাইড নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন । আমরাও এদিন সতর্ক করলাম নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের । আমাদের একটাই লক্ষ্য, দুর্যোগ থেকে যে কোনও মূল্যে প্রাণহাণি ঠেকানো ৷"

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ইতিমধ্যে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।

আরও পড়ুন : Weather Forecast : আগামী কদিন প্রবল দুর্যোগ, বাড়বে বজ্রপাত; নির্দেশিকা নবান্নের

সন্দেশখালি, 10 জুন : শিয়রে অমাবস্যার কোটাল ৷ তার উপর আবার নিম্নচাপ‌ । তাই আগে ভাগে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজে নামল পুলিশ-প্রশাসন । বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালান পুলিশ কর্মীরা । নদী ও স্থল দু'পথেই চলে এই সতর্কতামূলক প্রচার । পুলিশের পাশাপাশি সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফেও । হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তুষার মণ্ডল পথে নেমে এবিষয়ে সতর্ক করেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের । লক্ষ্য একটাই, দুর্যোগ থেকে বিপদ এড়ানো ।

যশের দগদগে ক্ষত এখনও শুকোয়নি । তারই মধ্যে অমাবস্যার ভরা কোটাল ও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, যার ফলে এখন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা সুন্দরবনবাসীর । এমনিতেই যশের তাণ্ডবে সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের । তার উপর অমাবস্যার কোটাল এবং নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে দিশেহারা অবস্থা দুর্গত মানুষের । কী করবেন ? কোথায় যাবেন ? ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছেন না সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁর অসংখ্য বানভাসি মানুষ । যদিও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন । তা সত্ত্বেও প্লাবনের আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দুর্গতরা ৷ তাদের শঙ্কা, কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে । ফলে নতুন করে জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ আর এই জোড়া ফলায় রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর ।

ইতিমধ্যে আবহাওয়া অফিস 11 ও 26 জুন পরপর দু'টি ভরা কোটালের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে । সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের সম্ভবনার কথাও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিস থেকে । আর সেই সতর্কবাণীর পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন । যশ বিধ্বস্ত সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার চালানোর পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে । এমনকি বজ্রপাত সময় কী করণীয়, আর কী করণীয় নয়, সেবিষয়েও প্রচার চালানো হচ্ছে । সতর্ক করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের । স্থানীয় কালীতলা ও খুলনা পঞ্চায়েতের তরফেও এদিন সতর্ক করা হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ৷

এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের শিক্ষক নেতা তুষার মণ্ডল বলেন, "ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতি বৈঠক করে এই বিষয়ে সতর্কতামূলক যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই হাইটাইড নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন । আমরাও এদিন সতর্ক করলাম নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের । আমাদের একটাই লক্ষ্য, দুর্যোগ থেকে যে কোনও মূল্যে প্রাণহাণি ঠেকানো ৷"

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে ইতিমধ্যে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।

আরও পড়ুন : Weather Forecast : আগামী কদিন প্রবল দুর্যোগ, বাড়বে বজ্রপাত; নির্দেশিকা নবান্নের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.