ETV Bharat / state

নিমতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ, ধৃত 2

নিমতায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার 2 ৷ CID-র একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় নিমতা শ্রী দুর্গা পল্লিতে ৷ উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর মেশিন

Dulal Sarkar
ধৃত দুলাল সরকার
author img

By

Published : Feb 27, 2020, 1:56 PM IST

Updated : Feb 27, 2020, 2:35 PM IST

কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি : এবার নিমতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল CID । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতরাতে সেখানে হানা দেয় গোয়েন্দাদের দল । উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর মেশিন । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু'জনকে ৷

CID সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অস্ত্র কারবারিকে জেরা করে CID-র গোয়েন্দারা জানতে পারেন, নিমতা এলাকায় তৈরি হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র । সেইমতো কাল গভীররাতে নিমতা শ্রী দুর্গা পল্লিতে হানা দেয় CID-র একটি বড় দল । সেখানে দুলাল সরকার নিজের বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল । সে সময় অবশ্য অস্ত্র তৈরির “ইঞ্জিনিয়র"রা সেখানে ছিল না । কিন্তু অস্ত্র কিনতে আসে দমদমের বাসিন্দা প্রকাশ নামে এক দুষ্কৃতী । দুলাল এবং প্রকাশকে গ্রেপ্তার করেছেপুলিশ ৷

গোয়েন্দাদের ধারণা এখানেও কাজ করছিল মুঙ্গেরের অস্ত্র তৈরির ইঞ্জিনিয়ররা । প্রশ্ন হল, এই ইঞ্জিনিয়র কারা?

আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল । সেখানে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । এমনকী তা যেত বাংলাদেশেও । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঢাকায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র । হাত কাটা নাসিরুল্লাহ সেই অস্ত্র নানাভাবে ঢুকিয়েছিল বাংলাদেশে । সাধারণ লেদ মেশিনে অসাধারণ এক বেআইনি কারবার চলত মুঙ্গেরে । দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যারা নিখুঁত দক্ষতায় অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাদের বলা হয় ইঞ্জিনিয়র । অস্ত্র কারবারিদের কোড নেম । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বিদেশি নাইন এমএম পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা । সেখানে মুঙ্গের ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজার টাকায় । স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডনের" কাছে কদর রয়েছে মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের হাতের কাজের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় ওইসব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে । গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা প্রথম সামনে আসে কাঁকিনাড় অস্ত্র কারখানার পরদা ফাঁসের পর । 2018 সালের 30 জুলাই সুকু শেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জালনোটের কারবারিকে STF পাকড়াও করে। তার সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আব্দুল্লাহ নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । তাদের কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ টাকার জালনোট এবং 40 টি সেমি ফিনিসড নাইন এমএম পিস্তল । তাদের জেরা করেই জানা যায় কাঁকিনাড়ার লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার কথা । পরে আগরপাড়া উষুমপুর এবং রাজারহাটে একই কায়দায় অস্ত্র কারখানা গজিয়ে ওঠার খবর মেলে ।

গতবছরের 10 সেপ্টেম্বর উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁয় শফিকুল গাজির অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় পুলিশ । সেখানেও অস্ত্র বানাচ্ছিল দু'জন ইঞ্জিনিয়র । তাদের নাম শামসের আলম এবং মহম্মদ ফিরোজ । নিমতায় ইঞ্জিনিয়র কাজ করছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।

কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি : এবার নিমতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল CID । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতরাতে সেখানে হানা দেয় গোয়েন্দাদের দল । উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর মেশিন । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু'জনকে ৷

CID সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অস্ত্র কারবারিকে জেরা করে CID-র গোয়েন্দারা জানতে পারেন, নিমতা এলাকায় তৈরি হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র । সেইমতো কাল গভীররাতে নিমতা শ্রী দুর্গা পল্লিতে হানা দেয় CID-র একটি বড় দল । সেখানে দুলাল সরকার নিজের বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল । সে সময় অবশ্য অস্ত্র তৈরির “ইঞ্জিনিয়র"রা সেখানে ছিল না । কিন্তু অস্ত্র কিনতে আসে দমদমের বাসিন্দা প্রকাশ নামে এক দুষ্কৃতী । দুলাল এবং প্রকাশকে গ্রেপ্তার করেছেপুলিশ ৷

গোয়েন্দাদের ধারণা এখানেও কাজ করছিল মুঙ্গেরের অস্ত্র তৈরির ইঞ্জিনিয়ররা । প্রশ্ন হল, এই ইঞ্জিনিয়র কারা?

আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল । সেখানে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । এমনকী তা যেত বাংলাদেশেও । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঢাকায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র । হাত কাটা নাসিরুল্লাহ সেই অস্ত্র নানাভাবে ঢুকিয়েছিল বাংলাদেশে । সাধারণ লেদ মেশিনে অসাধারণ এক বেআইনি কারবার চলত মুঙ্গেরে । দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যারা নিখুঁত দক্ষতায় অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাদের বলা হয় ইঞ্জিনিয়র । অস্ত্র কারবারিদের কোড নেম । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বিদেশি নাইন এমএম পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা । সেখানে মুঙ্গের ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজার টাকায় । স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডনের" কাছে কদর রয়েছে মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের হাতের কাজের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় ওইসব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে । গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা প্রথম সামনে আসে কাঁকিনাড় অস্ত্র কারখানার পরদা ফাঁসের পর । 2018 সালের 30 জুলাই সুকু শেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জালনোটের কারবারিকে STF পাকড়াও করে। তার সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আব্দুল্লাহ নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । তাদের কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ টাকার জালনোট এবং 40 টি সেমি ফিনিসড নাইন এমএম পিস্তল । তাদের জেরা করেই জানা যায় কাঁকিনাড়ার লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার কথা । পরে আগরপাড়া উষুমপুর এবং রাজারহাটে একই কায়দায় অস্ত্র কারখানা গজিয়ে ওঠার খবর মেলে ।

গতবছরের 10 সেপ্টেম্বর উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁয় শফিকুল গাজির অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় পুলিশ । সেখানেও অস্ত্র বানাচ্ছিল দু'জন ইঞ্জিনিয়র । তাদের নাম শামসের আলম এবং মহম্মদ ফিরোজ । নিমতায় ইঞ্জিনিয়র কাজ করছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।

Last Updated : Feb 27, 2020, 2:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.