বারাসাত, 30 জুলাই: বৃষ্টি হলেই শহর যেন মৃত্য়ুফাঁদে পরিণত হয় ৷ কখনও লাইটপোস্টের খোলা বিদ্যুতের তার থেকে আবার কখনও বা জমা জলে পড়ে থাকা খোলা ইলেকট্রিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনা যেন শহরবাসীর ভবিতব্য হয়ে গিয়েছে ৷ দমদম, কলকাতার রাজাবাজার ও সম্প্রতি হুগলিতে খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে শহরবাসীর মনে ৷ তারপরেও প্রশাসনের টনক নড়েনি ৷ একই পরিস্থিতি বারাসতে ৷ এলাকার এই উড়ালপুল যেন সাক্ষাৎ 'মৃত্যুদূত' ৷ বিপজ্জনকভাবে পড়ে রয়েছে উড়ালপুলের উপর বাতিস্তম্ভের বিদ্যুতের বাক্স ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েছে ইলেকট্রিকের তার (Open Electric Wire Creat Panic) ৷ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষজন ৷ ভরা বর্ষার মরশুমে এই তার যে কতটা বিপদজ্জনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ঠেকাতে মেয়রকে আর্থ-মেগা যন্ত্র কেনার পরামর্শ নাগরিকের
উত্তর 24 পরগনা জেলার সদর দফতর বারাসতের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই উড়ালপুলের দু'ধারের বাতিস্তম্ভের বিদ্যুতের জয়েন্ট বাক্স খোলা অবস্থা পড়ে রয়েছে । তার থেকে বেরিয়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার ৷ একটা দু‘টো তার নয়, একগোছা তারের কুন্ডলী ৷ এই বাতিস্তম্ভের পাশ দিয়ে হাঁটছে মানুষজন ৷ বিপদ মাথায় করে চলছে যানবাহনও ৷ তবুও বাতিস্তম্ভের খোলা তারের জয়েন্ট বাক্স মেরামতে কোনও উদ্যোগ প্রশাসনের তরফে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । সর্বদাই আতঙ্কিত এলাকাবাসী, ব্যস্ত এই উড়ালপুলের যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা ৷
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন, মন্তব্য মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের
এই প্রসঙ্গেই বারাসত পৌরসভার পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "সরকারি আদেশনামা পাওয়ার পরে পৌরসভার তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । আশা করছি শীঘ্রই উড়ালপুলের বিপজ্জনক বিদ্যুতের তারের মেরামত করতে উদ্যোগী হবেন তাঁরা । জনগণের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে ।"