দেগঙ্গা, 24 সেপ্টেম্বর: 24 ঘণ্টা পর দেগঙ্গায় নাবালিকা গণধর্ষণ-কাণ্ডে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ (One Arrested on Minor Girl Gang Rape Case) । ধৃতের নাম আলাউদ্দিন। সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশি অভিযানে ওই অভিযুক্তের হদিশ মেলে দেগঙ্গার বাইরে গোপন একটি ডেরা থেকে। ধৃতকে জেরা করে পলাতক অপর অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তার হদিশ পেলে পুরো ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে 14 বছরের ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে বাইকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নাবালিকার হাবড়ার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে দেগঙ্গার একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তাঁর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে অপহরণকারী দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
কুকর্মের পর নির্যাতিতা নাবালিকাকে ক্ষেতের পাশে একটি ঝোপে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় তারা। দীর্ঘক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা নাবালিকা। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
এই ঘটনায় আবার পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং নির্যাতিতার বাবাকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যা ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর আইসি-র হস্তক্ষেপে দেগঙ্গা থানায় (IC of Deganga Police) অভিযোগ দায়ের হলেও ঘটনার পর থেকে হদিশ মিলছিল না গণধর্ষণে অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পরিবার
24 ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রথম সাফল্য পেল দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অপর অভিযুক্তের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্র মারফত। অন্যদিকে, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে রবিবার তাকে বারাসত আদালতে (Barasat Court) পেশ করবে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।