ETV Bharat / state

উত্তর 24 পরগনা জেলায় দলের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি বৈঠক জ্যোতিপ্রিয়র - তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়তেই জরুরি বৈঠক করল উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষোভ সামলে কীভাবে দলের ভাঙন ঠেকানো যায় তা নিয়েই আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। বৈঠকের পর জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, দলত্যাগীদের জন্য তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।

north 24 parganas tmc president jyotipriyo mallick attend a emergency meeting of party
ক্ষোভ সামলে তৃণমূলের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি বৈঠক জ্যোতিপ্রিয়র
author img

By

Published : Dec 20, 2020, 2:57 PM IST

বারাসত, 20 ডিসেম্বর : বিধায়ক ও জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ দল ছাড়তেই ভাঙন ঠেকাতে এবার তৎপর হল উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার রাতে জেলা পরিষদের তিতুমীর সভাগৃহে হয় ওই বৈঠক ।

বৈঠকে হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের 19টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ ছাড়াও জেলায় শাসক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলে ভাঙন ঠেকানো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি কথা হয় দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে। এই নিয়ে একটি পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দলের ভাঙন ঠেকাতে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ও জেলা পরিষদের দলনেতা নারায়ণ গোস্বামীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে বিধানসভা, লোকসভা ও ব্লক ধরে ধরে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানার চেষ্টা করা হবে, কারও মধ্যে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ রয়েছে কি না। ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকলে তা দলীয় স্তরে আলোচনা করে মেটানোর চেষ্টা করা হবে। যাতে বিধানসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপানো যায়।

উল্লেখ্য, শনিবার মেদিনীপুরের একটি সভায় অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে পৌরসভা-পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, সমস্ত স্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন উত্তর 24 পরগনার তৃণমূল নেতা বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ ও ফিরোজ কালাম গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। দলত্যাগীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগারও করেছেন।

ফলে বিধানসভা ভোটের আগে বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসকদলের অভ্যন্তরে। দলত্যাগী এই সমস্ত তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের দেখানো পথে যাতে আগামিদিনে কেউ দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে না পারে তার জন্য তড়িঘড়ি এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। যদিও বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই শুধুমাত্র আলোচনা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের। এই ধরনের বৈঠক আগামিদিনেও আয়োজন করা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন: অমিতের পথসভার মাঝেই এক কিমি দূরে বঙ্গধ্বনি পদযাত্রা অনুব্রত-র

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,"হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের দলীয় বিধায়ক ও নেতারা বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবেই কাজ করতে চান তাঁরা। যাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন,তাঁদের কারণে দলের কোনও ক্ষতি কিংবা প্রভাব পড়বে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। এটাই আমাদের সংকল্প।"

বারাসত, 20 ডিসেম্বর : বিধায়ক ও জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ দল ছাড়তেই ভাঙন ঠেকাতে এবার তৎপর হল উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার রাতে জেলা পরিষদের তিতুমীর সভাগৃহে হয় ওই বৈঠক ।

বৈঠকে হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের 19টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ ছাড়াও জেলায় শাসক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলে ভাঙন ঠেকানো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি কথা হয় দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে। এই নিয়ে একটি পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দলের ভাঙন ঠেকাতে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ও জেলা পরিষদের দলনেতা নারায়ণ গোস্বামীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে বিধানসভা, লোকসভা ও ব্লক ধরে ধরে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানার চেষ্টা করা হবে, কারও মধ্যে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ রয়েছে কি না। ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকলে তা দলীয় স্তরে আলোচনা করে মেটানোর চেষ্টা করা হবে। যাতে বিধানসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপানো যায়।

উল্লেখ্য, শনিবার মেদিনীপুরের একটি সভায় অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে পৌরসভা-পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, সমস্ত স্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন উত্তর 24 পরগনার তৃণমূল নেতা বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ ও ফিরোজ কালাম গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। দলত্যাগীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগারও করেছেন।

ফলে বিধানসভা ভোটের আগে বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসকদলের অভ্যন্তরে। দলত্যাগী এই সমস্ত তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের দেখানো পথে যাতে আগামিদিনে কেউ দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে না পারে তার জন্য তড়িঘড়ি এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। যদিও বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই শুধুমাত্র আলোচনা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের। এই ধরনের বৈঠক আগামিদিনেও আয়োজন করা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন: অমিতের পথসভার মাঝেই এক কিমি দূরে বঙ্গধ্বনি পদযাত্রা অনুব্রত-র

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,"হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের দলীয় বিধায়ক ও নেতারা বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবেই কাজ করতে চান তাঁরা। যাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন,তাঁদের কারণে দলের কোনও ক্ষতি কিংবা প্রভাব পড়বে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। এটাই আমাদের সংকল্প।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.