বনগাঁ, 1 মে: বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে 70% মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত । এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে শ্রমিকদের সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে । তার দায় কে নেবে ? প্রশ্ন তুলে পেট্রাপোল বর্ডার খুলে দেওয়ার বিরোধিতা করলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর তথা বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ ।
দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির কাজ । সিদ্ধান্ত হয়েছে যে পেট্রাপোল সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের ফাঁকা জায়গায় দু'পারের গাড়ির মালপত্র নামানো ও ওঠানো হবে । সেখানে মালপত্র ও গাড়ি স্যানিটাইজ় করা হবে । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছে উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদ । জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠ বলেন, "সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হলেও অধিকাংশ সংগঠনকে ধোঁয়াশায় রেখেই নির্দিষ্ট কয়েকজন আমদানি-রপ্তানিকারক ও প্রশাসন মিলে এক প্রকার সরকারকে ভুল বুঝিয়ে পেট্রাপোল বর্ডার খুলিয়েছে । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বেনাপোলে 70 শতাংশেরও বেশি মানুষ কোরোনা আক্রান্ত । কোন সাহসে ভারতীয় শ্রমিকদের দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে ? বাংলাদেশে শ্রমিকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে গিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তার দায় কে নেবে ?"
গোপালবাবুর সুরে সুর মিলিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও । তাঁদের বক্তব্য, "আমরা শ্রমজীবী মানুষ । আমরা আক্রান্ত হলে পরিবার শেষ হয়ে যাবে । আমাদের কোনওরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে ।" ।
গোপালবাবু বলেন, "আমরা বনগাঁ মহকুমার কোনও মানুষকে আমদানি-রপ্তানি করতে গিয়ে অসুস্থ হতে দেব না । আমি জেলাশাসককে আপত্তির কথা জানিয়েছি । প্রয়োজনে শ্রমজীবী পরিবারের সম্ভাব্য বিপদের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীকেও একথা জানাব ।"