ETV Bharat / state

Hingalganj cremation ground: নজরদারি ছাড়াই দেহ সৎকার হিঙ্গলগঞ্জের শ্মশানে, হাঁসখালির পর সরব বাসিন্দারা

নেই কোনও নজরদারি । উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই হিঙ্গলগঞ্জের শ্মশানে দিনের পর দিন চলছে দেহ সৎকার (Hingalganj cremation ground)। তবে ভ্রুক্ষেপ নেই স্থানীয় প্রশাসনের ।

no records are taken of dead bodies at hingalganj cremation ground
নজরদারি ছাড়াই দেহ সৎকার হিঙ্গলগঞ্জের শ্মশানে, হাঁসখালির পর সরব বাসিন্দারা
author img

By

Published : Apr 14, 2022, 4:13 PM IST

হিঙ্গলগঞ্জ, 14 এপ্রিল: শ্মশান বলতে রয়েছে চারটি লোহার খুঁটি (Hingalganj cremation ground)। এ ছাড়া পরিকাঠামোর আর কিছুই নেই হিঙ্গলগঞ্জের গৌড়েশ্বর নদীর চরের শ্মশানে। চারদিকে শুধু নিস্তব্ধতা । নেই সেখানে কোনও নজরদারিও । কার্যত নজরদারির ফাঁক গলে দিনের পর দিন এই শ্মশানে উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই চলছে মৃতদেহ সৎকার । নথিভুক্ত করার লোক নেই শ্মশানে (North 24 parganas news)। তাই কে কখন মৃতদেহ নিয়ে সেখানে যাচ্ছে, দাহকার্য করে চলে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার প্রশ্নই আসে না ! চিকিৎসকের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা তো দূর অস্ত । ফলে কেউ কোনও অপরাধ করে দেহ শ্মশানে পুড়িয়ে দিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে । বিশেষ করে নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডের পর সেই আশঙ্কা আরও বেশি করে দানা বেঁধেছে (no records are taken of dead bodies at hingalganj cremation ground)৷

হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পঞ্চায়েত এলাকার গৌড়েশ্বর নদীর চরে গড়ে ওঠা এই শ্মশানটি দীর্ঘদিনের । বহুদিন ধরেই এই নিয়মে সেখানে দাহকার্য চলে আসছে বলে অভিযোগ । পঞ্চায়েত এলাকায় কারও মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের লোকজনই শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে সৎকারের সমস্ত বন্দোবস্ত করেন । কোনও মৃত্যু নিয়ে যদি রহস্য দানা বাঁধে, কেবলমাত্র তখনই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । তার আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পুলিশ প্রশাসন আগ বাড়িয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে । ফলে শ্মশানে কার দেহ আসছে, তাঁর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে না দেখেই পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মৃতদেহ । যা নিয়ে নজরদারির ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে ।

আরও পড়ুন: Hanskhali Rape : শোকে খাওয়া বন্ধ, হাসপাতালে হাঁসখালি ধর্ষণে মৃত নাবালিকার বাবা-মা

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, "মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে তখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেটা খতিয়ে দেখা পুলিশ প্রশাসনের কাজ । নজরদারির অভাবে সেটাই যদি ফাঁক থেকে যায়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব‍্যাঘাত ঘটতে পারে । তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণও সামনে আসবে না । কেউ অপরাধ করে থাকলে সহজেই পার পেয়ে যাতে পারে । সে ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণের অভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ন‍্যায়বিচার ৷"

শুধু বিশপুর পঞ্চায়েত নয়, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার শ্মশানগুলিরও একই ছবি। পরিকাঠামো এবং নজরদারির অভাবে সেই সমস্ত শ্মশানেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও শংসাপত্র ছাড়াই দাহকার্য চলছে দিনের পর দিন । কোথাও আবার শ্মশানের ব্যবস্থাটুকুও নেই বলে অভিযোগ । সেখানে তো আবার ফাঁকা কোনও জমি দেখলেই মৃতের পরিবারের লোকেরা দেহ সৎকার করে চলে যাচ্ছেন । যার ফলে নিয়মের ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে । নিয়মে রয়েছে, কোনও দেহ সৎকার করতে হলে মৃতের পরিবারকে শ্মশানে নথিপত্র দেখাতে হয় । দেহ সৎকার হয়ে গেলে পরবর্তীকালে নিয়ম মেনে স্থানীয় পঞ্চায়েত, পৌরসভা কিংবা পৌরনিগম থেকে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে পরিবারের লোকেদের । কিন্তু এখানে সে সবের কোনও বালাই নেই ।

আরও পড়ুন : Hanskhali Rape : ধর্ষণে নাবালিকার মৃত্য়ু, প্রমাণ লোপাটে তড়িঘড়ি পোড়ানো হল দেহ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

এ দিকে, হাঁসখালিকাণ্ডের পরই হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ শ্মশানগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা । এর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা ।

অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লকের শ্মশানঘাটগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে । শ্মশানগুলিতে নজরদারির ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এই বিষয়ে কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না ৷

হিঙ্গলগঞ্জ, 14 এপ্রিল: শ্মশান বলতে রয়েছে চারটি লোহার খুঁটি (Hingalganj cremation ground)। এ ছাড়া পরিকাঠামোর আর কিছুই নেই হিঙ্গলগঞ্জের গৌড়েশ্বর নদীর চরের শ্মশানে। চারদিকে শুধু নিস্তব্ধতা । নেই সেখানে কোনও নজরদারিও । কার্যত নজরদারির ফাঁক গলে দিনের পর দিন এই শ্মশানে উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই চলছে মৃতদেহ সৎকার । নথিভুক্ত করার লোক নেই শ্মশানে (North 24 parganas news)। তাই কে কখন মৃতদেহ নিয়ে সেখানে যাচ্ছে, দাহকার্য করে চলে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার প্রশ্নই আসে না ! চিকিৎসকের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা তো দূর অস্ত । ফলে কেউ কোনও অপরাধ করে দেহ শ্মশানে পুড়িয়ে দিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে । বিশেষ করে নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডের পর সেই আশঙ্কা আরও বেশি করে দানা বেঁধেছে (no records are taken of dead bodies at hingalganj cremation ground)৷

হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পঞ্চায়েত এলাকার গৌড়েশ্বর নদীর চরে গড়ে ওঠা এই শ্মশানটি দীর্ঘদিনের । বহুদিন ধরেই এই নিয়মে সেখানে দাহকার্য চলে আসছে বলে অভিযোগ । পঞ্চায়েত এলাকায় কারও মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের লোকজনই শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে সৎকারের সমস্ত বন্দোবস্ত করেন । কোনও মৃত্যু নিয়ে যদি রহস্য দানা বাঁধে, কেবলমাত্র তখনই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । তার আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পুলিশ প্রশাসন আগ বাড়িয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে । ফলে শ্মশানে কার দেহ আসছে, তাঁর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে না দেখেই পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মৃতদেহ । যা নিয়ে নজরদারির ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে ।

আরও পড়ুন: Hanskhali Rape : শোকে খাওয়া বন্ধ, হাসপাতালে হাঁসখালি ধর্ষণে মৃত নাবালিকার বাবা-মা

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, "মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে তখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেটা খতিয়ে দেখা পুলিশ প্রশাসনের কাজ । নজরদারির অভাবে সেটাই যদি ফাঁক থেকে যায়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব‍্যাঘাত ঘটতে পারে । তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণও সামনে আসবে না । কেউ অপরাধ করে থাকলে সহজেই পার পেয়ে যাতে পারে । সে ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণের অভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ন‍্যায়বিচার ৷"

শুধু বিশপুর পঞ্চায়েত নয়, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার শ্মশানগুলিরও একই ছবি। পরিকাঠামো এবং নজরদারির অভাবে সেই সমস্ত শ্মশানেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও শংসাপত্র ছাড়াই দাহকার্য চলছে দিনের পর দিন । কোথাও আবার শ্মশানের ব্যবস্থাটুকুও নেই বলে অভিযোগ । সেখানে তো আবার ফাঁকা কোনও জমি দেখলেই মৃতের পরিবারের লোকেরা দেহ সৎকার করে চলে যাচ্ছেন । যার ফলে নিয়মের ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে । নিয়মে রয়েছে, কোনও দেহ সৎকার করতে হলে মৃতের পরিবারকে শ্মশানে নথিপত্র দেখাতে হয় । দেহ সৎকার হয়ে গেলে পরবর্তীকালে নিয়ম মেনে স্থানীয় পঞ্চায়েত, পৌরসভা কিংবা পৌরনিগম থেকে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে পরিবারের লোকেদের । কিন্তু এখানে সে সবের কোনও বালাই নেই ।

আরও পড়ুন : Hanskhali Rape : ধর্ষণে নাবালিকার মৃত্য়ু, প্রমাণ লোপাটে তড়িঘড়ি পোড়ানো হল দেহ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

এ দিকে, হাঁসখালিকাণ্ডের পরই হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গ্রামীণ শ্মশানগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা । এর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা ।

অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লকের শ্মশানঘাটগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে । শ্মশানগুলিতে নজরদারির ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এই বিষয়ে কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.