ETV Bharat / state

বনগাঁয় পৌরসভায় নতুন করে আনতে হবে অনাস্থা, নির্দেশ হাইকোর্টের, নৈতিক জয়, দাবি BJP-র - Calcutta High Court's verdict on Bongaon Municipality

12 দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

বনগাঁয় পৌরসভায় নতুন করে আনতে হবে অনাস্থা, নির্দেশ হাইকোর্টের, নৈতিক জয়, দাবি BJP-র
author img

By

Published : Aug 27, 2019, 1:19 AM IST

Updated : Aug 27, 2019, 4:53 AM IST

বনগাঁ, 27 অগাস্ট : আগের অনাস্থা বাতিল হয়ে গিয়েছে । আনতে হবে নতুন অনাস্থা ৷ ফের হবে ভোটাভুটি ৷ আগামী 12 দিনের মধ্যে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, BJP-র দাবি, ''আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে ৷ ''

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পৌরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। 22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন 20 জন । বাম ও কংগ্রেসের একজন করে বিধায়ক ছিলেন। গত জুন মাসে 12 জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন। তাঁরা পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-BJP দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, 12 দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যার থেকে এক বেশি। উল্টো ছবি গেরুয়া শিবিরে। BJP নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাঁদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত 7।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে BJP-তে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।'

হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে BJP-র জেলা সহসভাপতি দেবদাস বলেন, ''এখনও আমাদের পক্ষে 7 জন কাউন্সিলর আছেন। হয়তো সংখ্যালঘু আমরা। তবে হাল ছাড়ছি না। দলের সকলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।রাজনীতিতে কখন কী হয়, সেটা সময়ই বলবে।''

অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, ''আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দলের জেলা সভাপতি ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব। আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।''

তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে গিয়েছিলেন বনগাঁ পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার। ফের ঘর ওয়াপসিতেও ছিলেন দিলীপ। তিনি বলেন, একসঙ্গে থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে দল বদল করেছিলেন ৷ তবে তা মিটে যাওয়ায় পুরোনো দলেই ফিরে এসেছেন ৷ গত দুই মাস ধরে বনগাঁর সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত । বনগাঁ পৌরসভাকে ফের আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷

১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অস্থির ৷ হয়েছিল ব্যাপক গন্ডগোল। পুলিশের ভূমিকাও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে অভিযোগ । হাইকোর্ট এবারও জেলাশাসকের দপ্তরেই অনাস্থা ভোট করতে বলেছে। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পেলে এ বিষয়ে বলতে পারবেন।

বনগাঁ, 27 অগাস্ট : আগের অনাস্থা বাতিল হয়ে গিয়েছে । আনতে হবে নতুন অনাস্থা ৷ ফের হবে ভোটাভুটি ৷ আগামী 12 দিনের মধ্যে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, BJP-র দাবি, ''আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে ৷ ''

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পৌরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। 22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন 20 জন । বাম ও কংগ্রেসের একজন করে বিধায়ক ছিলেন। গত জুন মাসে 12 জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন। তাঁরা পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-BJP দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, 12 দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যার থেকে এক বেশি। উল্টো ছবি গেরুয়া শিবিরে। BJP নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাঁদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত 7।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে BJP-তে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।'

হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে BJP-র জেলা সহসভাপতি দেবদাস বলেন, ''এখনও আমাদের পক্ষে 7 জন কাউন্সিলর আছেন। হয়তো সংখ্যালঘু আমরা। তবে হাল ছাড়ছি না। দলের সকলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।রাজনীতিতে কখন কী হয়, সেটা সময়ই বলবে।''

অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, ''আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দলের জেলা সভাপতি ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব। আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।''

তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে গিয়েছিলেন বনগাঁ পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার। ফের ঘর ওয়াপসিতেও ছিলেন দিলীপ। তিনি বলেন, একসঙ্গে থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে দল বদল করেছিলেন ৷ তবে তা মিটে যাওয়ায় পুরোনো দলেই ফিরে এসেছেন ৷ গত দুই মাস ধরে বনগাঁর সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত । বনগাঁ পৌরসভাকে ফের আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷

১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অস্থির ৷ হয়েছিল ব্যাপক গন্ডগোল। পুলিশের ভূমিকাও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে অভিযোগ । হাইকোর্ট এবারও জেলাশাসকের দপ্তরেই অনাস্থা ভোট করতে বলেছে। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পেলে এ বিষয়ে বলতে পারবেন।

Intro:বনগাঁঃ হাইকোর্টের ফের ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল, নৈতিক জয় বলছে বিজেপি

বনগাঁঃ আগামী ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে কনকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, দলে আসা-যাওয়ার গেরোয়া সংখ্যার বিচারে ব্যাকফুটে থাকা বিজেপি বলছে, আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পুরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় নির্দলকে দলে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ২০ জন। বাম ও কংগ্রেসের একজন করে। গত জুন মাসে ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁরা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-বিজেপি দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে যান। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যা থেকে এক বেশি। উলটো ছবি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।আর এই দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত ৭।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।' হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির জেলা সহসভাপতি দেবদাস বলেন, 'এখনও আমাদের দিকে ৭ জন কাউন্সিলর আছেন। অবশ্যই সংখ্যালঘু আমরা। তবে হাল ছাড়ছি না। দলের সকলের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।রাজনীতিতে কখন কী হয়, সেটা সময়েই বলবে।'

অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর অাঢ্য বলেন, আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দলের জেলা সভাপতি ও সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করব। আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার। ফের ঘর ওয়াপসিতেও ছিলেন দিলীপ। এদিনের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক সংসারে থাকতে গেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়।মিস গাইড হয়েছিলাম। সেটা মিটে যাওয়ায় পুরোনো দলেই ফিরে এসেছি। গত দুই মাস ধরে বনগাঁর সাধারন মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন। বনগাঁ পুরসভাকে ফের আমাদের আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।

১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। পুলিশের ভূমিকাও পক্ষপাতমূলক ছিল বলে অভিযোগ। হাইকোর্ট এবার জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোট করতে বলেছে। জেলাশাক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, 'হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পরে বলতে পারব।'Body:বনগাঁঃ হাইকোর্টের ফের ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল, নৈতিক জয় বলছে বিজেপি

বনগাঁঃ আগামী ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে কনকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, দলে আসা-যাওয়ার গেরোয়া সংখ্যার বিচারে ব্যাকফুটে থাকা বিজেপি বলছে, আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পুরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় নির্দলকে দলে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ২০ জন। বাম ও কংগ্রেসের একজন করে। গত জুন মাসে ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁরা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-বিজেপি দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে যান। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যা থেকে এক বেশি। উলটো ছবি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।আর এই দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত ৭।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।' হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির জেলা সহসভাপতি দেবদাস বলেন, 'এখনও আমাদের দিকে ৭ জন কাউন্সিলর আছেন। অবশ্যই সংখ্যালঘু আমরা। তবে হাল ছাড়ছি না। দলের সকলের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।রাজনীতিতে কখন কী হয়, সেটা সময়েই বলবে।'

অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর অাঢ্য বলেন, আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দলের জেলা সভাপতি ও সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করব। আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার। ফের ঘর ওয়াপসিতেও ছিলেন দিলীপ। এদিনের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক সংসারে থাকতে গেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়।মিস গাইড হয়েছিলাম। সেটা মিটে যাওয়ায় পুরোনো দলেই ফিরে এসেছি। গত দুই মাস ধরে বনগাঁর সাধারন মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন। বনগাঁ পুরসভাকে ফের আমাদের আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।

১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। পুলিশের ভূমিকাও পক্ষপাতমূলক ছিল বলে অভিযোগ। হাইকোর্ট এবার জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোট করতে বলেছে। জেলাশাক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, 'হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পরে বলতে পারব।'Conclusion:বনগাঁঃ হাইকোর্টের ফের ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল, নৈতিক জয় বলছে বিজেপি

বনগাঁঃ আগামী ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে কনকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, দলে আসা-যাওয়ার গেরোয়া সংখ্যার বিচারে ব্যাকফুটে থাকা বিজেপি বলছে, আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পুরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় নির্দলকে দলে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ২০ জন। বাম ও কংগ্রেসের একজন করে। গত জুন মাসে ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁরা পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-বিজেপি দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে যান। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ১২ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যা থেকে এক বেশি। উলটো ছবি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।আর এই দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত ৭।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।' হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির জেলা সহসভাপতি দেবদাস বলেন, 'এখনও আমাদের দিকে ৭ জন কাউন্সিলর আছেন। অবশ্যই সংখ্যালঘু আমরা। তবে হাল ছাড়ছি না। দলের সকলের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।রাজনীতিতে কখন কী হয়, সেটা সময়েই বলবে।'

অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর অাঢ্য বলেন, আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দলের জেলা সভাপতি ও সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করব। আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার। ফের ঘর ওয়াপসিতেও ছিলেন দিলীপ। এদিনের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক সংসারে থাকতে গেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়।মিস গাইড হয়েছিলাম। সেটা মিটে যাওয়ায় পুরোনো দলেই ফিরে এসেছি। গত দুই মাস ধরে বনগাঁর সাধারন মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন। বনগাঁ পুরসভাকে ফের আমাদের আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।

১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটের দিন ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। পুলিশের ভূমিকাও পক্ষপাতমূলক ছিল বলে অভিযোগ। হাইকোর্ট এবার জেলাশাসকের দপ্তরে অনাস্থা ভোট করতে বলেছে। জেলাশাক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, 'হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পরে বলতে পারব।'
Last Updated : Aug 27, 2019, 4:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.