ETV Bharat / state

বাড়ি গিয়ে অভিযোগ শুনতে বসিরহাট জেলা পুলিশের ভ্রাম্যমান পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র

author img

By

Published : Jul 13, 2021, 10:54 PM IST

আর নদী পেরিয়ে থানায় পৌঁছাতে হবে না ৷ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না ডায়েরি লেখাতে ৷ থানার লোকজনই এবার বাড়ি আসবে, সরাসরি শুনবে অভিযোগ ৷ ভ্রাম্যমান পুলিশি ব্যবস্থা চালু করল বসিরহাট জেলা পুলিশ ৷

ভ্রাম্যমান পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র
ভ্রাম্যমান পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র

বসিরহাট, 13 জুলাই : নদী পার হয়ে থানায় আসতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়, তাই অনেক সময় অভিযোগ জানাতে দেরি হয়ে যায়, সমস্যায় পড়েন বসিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা ৷ এবার তাদের সুবিধের কথা ভেবে ভ্রাম্যমান থানার সূচনা হল এলাকায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে এই ভ্রাম্যমান পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র সূচনা করা হয়েছে । সকাল 8টা থেকে বিকাল 4টে পর্যন্ত খোলা থাকবে ।

বসিরহাটের মধ্যে দিয়ে অনেকগুলি নদী বয়ে গিয়েছে ৷ এই অঞ্চলে অনেকের বাড়ি থেকে থানা 20, 30 কিলোমিটার দূরে । নদী পার হয়ে থানায় আসতে অনেক সময় লেগে যায় । সময়মতো যানবাহন ও ফেরি পেতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । তাই বহু এলাকাবাসী নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে থানায় আসতে চান না । অনেক ক্ষেত্রে বাসিন্দারা থানায় এসে পৌঁছলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে । এই পুলিশি ব্যবস্থায় এবার সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা । তাঁরা বলছেন, "প্রশাসন পাড়ায় আসায় এলাকা অনেকটা শান্ত থাকবে । থানায় যাওয়ার সময় ও অর্থ দুই বাঁচবে । থানায় গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত ৷ বাড়িতে পুলিশ এলে কথাগুলো নির্ভয়ে বলতে পারব ৷ আমরা চাই প্রশাসনের এই উদ্যোগ যেন চালু থাকে ।"

আরও পড়ুন : Digha tourism : দিঘায় যাবেন ? থাকতে হবে টিকাকরণের শংসাপত্র কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট

রবিবার হাড়োয়া থানায় গোপালপুর এক নম্বর ব্লকে ভ্রাম্যমান পুলিশি সহযোগিতা কেন্দ্রের সূচনা করেন পুলিশ সুপার জোবি থমাস কে । বসিরহাটের দশটি ব্লকের ন'টি থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে মিলবে পরিষেবা । প্রতিটি থানার পক্ষ থেকে সপ্তাহে একদিন এই ভ্রাম্যমান কার্যালয় এলাকার মানুষের কাছে যাবে অভিযোগ শুনতে । রবিবার বসিরহাটের হাড়োয়া থানার গোপালপুরের পর সোমবার মাটিয়া থানা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযোগের কথা শুনলেন পুলিশ আধিকারিকরা । পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম বলেন, "আমরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করি ৷ থানা আমাদের বাড়ি থেকে বহু বহু দূরে ৷ এতে যাতায়াতের খুব অসুবিধে হত ৷ " তাঁর মতে এই প্রজেক্ট দীর্ঘস্থায়ী হলে উপকার হবে অঞ্চলের ৷ গ্রামে পুলিশ ঘন ঘন এলে অপরাধ কমবে বলে আশা করছেন তিনি ৷ এমনকি পুলিশের কাছে যাওয়া নিয়ে একটা ভয় থাকে সাধারণ মানুষের মনে, সেটা কাটবে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম ৷ এতে সমাজের সুবিধে হবে বলে মনে করছেন তিনি ৷ বাড়ির মহিলাদের মনেও থানা সম্পর্কে একটা বাজে ধারণা আছে, সেটা দূর হবে ৷

বসিরহাট, 13 জুলাই : নদী পার হয়ে থানায় আসতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়, তাই অনেক সময় অভিযোগ জানাতে দেরি হয়ে যায়, সমস্যায় পড়েন বসিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা ৷ এবার তাদের সুবিধের কথা ভেবে ভ্রাম্যমান থানার সূচনা হল এলাকায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে এই ভ্রাম্যমান পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র সূচনা করা হয়েছে । সকাল 8টা থেকে বিকাল 4টে পর্যন্ত খোলা থাকবে ।

বসিরহাটের মধ্যে দিয়ে অনেকগুলি নদী বয়ে গিয়েছে ৷ এই অঞ্চলে অনেকের বাড়ি থেকে থানা 20, 30 কিলোমিটার দূরে । নদী পার হয়ে থানায় আসতে অনেক সময় লেগে যায় । সময়মতো যানবাহন ও ফেরি পেতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । তাই বহু এলাকাবাসী নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে থানায় আসতে চান না । অনেক ক্ষেত্রে বাসিন্দারা থানায় এসে পৌঁছলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে । এই পুলিশি ব্যবস্থায় এবার সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা । তাঁরা বলছেন, "প্রশাসন পাড়ায় আসায় এলাকা অনেকটা শান্ত থাকবে । থানায় যাওয়ার সময় ও অর্থ দুই বাঁচবে । থানায় গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত ৷ বাড়িতে পুলিশ এলে কথাগুলো নির্ভয়ে বলতে পারব ৷ আমরা চাই প্রশাসনের এই উদ্যোগ যেন চালু থাকে ।"

আরও পড়ুন : Digha tourism : দিঘায় যাবেন ? থাকতে হবে টিকাকরণের শংসাপত্র কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট

রবিবার হাড়োয়া থানায় গোপালপুর এক নম্বর ব্লকে ভ্রাম্যমান পুলিশি সহযোগিতা কেন্দ্রের সূচনা করেন পুলিশ সুপার জোবি থমাস কে । বসিরহাটের দশটি ব্লকের ন'টি থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে মিলবে পরিষেবা । প্রতিটি থানার পক্ষ থেকে সপ্তাহে একদিন এই ভ্রাম্যমান কার্যালয় এলাকার মানুষের কাছে যাবে অভিযোগ শুনতে । রবিবার বসিরহাটের হাড়োয়া থানার গোপালপুরের পর সোমবার মাটিয়া থানা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযোগের কথা শুনলেন পুলিশ আধিকারিকরা । পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম বলেন, "আমরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করি ৷ থানা আমাদের বাড়ি থেকে বহু বহু দূরে ৷ এতে যাতায়াতের খুব অসুবিধে হত ৷ " তাঁর মতে এই প্রজেক্ট দীর্ঘস্থায়ী হলে উপকার হবে অঞ্চলের ৷ গ্রামে পুলিশ ঘন ঘন এলে অপরাধ কমবে বলে আশা করছেন তিনি ৷ এমনকি পুলিশের কাছে যাওয়া নিয়ে একটা ভয় থাকে সাধারণ মানুষের মনে, সেটা কাটবে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম ৷ এতে সমাজের সুবিধে হবে বলে মনে করছেন তিনি ৷ বাড়ির মহিলাদের মনেও থানা সম্পর্কে একটা বাজে ধারণা আছে, সেটা দূর হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.