হাড়োয়া, 4 এপ্রিল : শতাধিক গ্রাহকের কাছে প্রায় 15 লাখ টাকা তুলেছিল তারা। সময় মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মূল শাখায় সেই টাকা জমা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল । কিন্তু জমানো টাকা ব্যাঙ্কে না দিয়ে হঠাৎই বেপাত্তা এজেন্ট দম্পতি । উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়ার ঘোষপুরের ঘটনা । ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মনোয়ারা বিবি ও তার শওহর আবদুল্লাহ শেখের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ।
ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নাম করে গত কয়েকমাস ধরে মনোয়ারা ও আবদুল্লাহ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় 15 লাখ টাকা তোলে । কিন্তু আজ ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকরা জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই জমা পড়েনি । খোঁজ শুরু হয় ওই দম্পত্তির । তখনই স্থানীয়দের একাংশের তরফে জানা যায়, গতরাতে সমস্ত টাকা নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে তারা ।
লকডাউনের জেরে এমনিতেই সমস্যায় রয়েছেন গ্রামের মানুষ। রুজি-রোজগার হারিয়েছেন বহু দিনমজুর। এই পরিস্থিতিতে জমানো টাকা তুলে চাল-ডাল কিনবেন বলে ব্যাঙ্কে পৌঁছেছিলেন তাঁরা । কিন্তু জানতে পারেন তাঁদের জমানো টাকা এতদিন ব্যাঙ্কেই পৌঁছায়নি । কোনও টাকা জমা পড়েনি অ্যাকাউন্টে । এদিকে, টাকা লোপাটের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাঙ্কের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। শেষমেশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা ।
খবরটি জানার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইব্রাহিম গাজি প্রতারিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লকডাউন যতদিন চলবে তিনি তাঁদের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। পাশাপাশি, ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ।