আমডাঙা, 21 সেপ্টেম্বর : উত্তর 24 পরগনার আমডাঙায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা ৷ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি ৷ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ ৷ ধৃতের নাম আবদুল হামিদ ওরফে খোকন ৷
গতকাল রাতে আমডাঙার আদহাটা মোড়ের 34 নম্বর জাতীয় সড়কে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন দুয়েক আগে আদহাটা মোড়ে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ওপর হামলা চালায় খোকন ও তার দলবল ৷ সাদ্দামের পেটে ছুরি মারে ৷ গুরুতর জখম সাদ্দাম এখনও আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ ঘটনার পর সাদ্দামের কাকা ওদুদ আলি থানায় খোকনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ৷ গতকাল রাতে আদহাটা মোড়ের একটি চায়ের দোকানে কয়েকজনের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন ওদুদ ৷তখনই বাইকে করে খোকন ও তার দলবল এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ৷ খোকন ও তার দলের চালানো গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় রক্ষা পান চায়ের দোকানে থাকা সকলে ৷ ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাজুড়ে ৷ রাতে আবারও খোকনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ৷ আজ ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করে বিচারকের কাছে তার জেলা হেপাজতের আবেদন করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : স্বরূপনগর থেকে গ্রেপ্তার 13 অনুপ্রবেশকারী, এক সপ্তাহে পাকড়াও 59
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরোনো কোনও গন্ডগোলের জেরেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ৷ তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এই ঘটনার পর তৃণমূল ও BJP একে অপরকে দোষারোপ করছে । আমডাঙার ব্লক তৃণমূল সভাপতি জ্যোতির্ময় দত্ত আক্রান্ত সাদ্দামকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছেন ৷ বলেন, "এই ঘটনার পিছনে CPI(M) ও BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে ৷ পুলিশকে বলেছি ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে ৷" অন্যদিকে, BJP নেতা হেমন্ত সামন্ত এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন ৷
ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ৷