মিনাখাঁ, 24 মে : বেআইনিভাবে বিদ্যাধরী নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগে মঙ্গলবার মিনাখাঁর নেড়ুলি বৈদ্যবাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে (Minakhan Police arrested 3 people on Illigal Sand Smuggling) । ধৃতদের নাম সাইফুল মোল্লা, আবু হোসেন মোল্লা ও সাদ্দাম মোল্লা। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি হাসনাবাদের মুরারিশাহ এলাকায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি বালি ভর্তি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনার পিছনে আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যাধরী নদীর বালি কেটে তা পাচার করা হচ্ছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কখনও রাতের অন্ধকারে, আবার কখনও সেই বালি পাচার চলছিল প্রকাশ্যে ৷ বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্তে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন নেড়ুলি বৈদ্যবাটি-সহ মিনাখাঁর বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশ সবকিছু জেনেও বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছিল দিনদিন। শেষে, চাপে পড়ে মঙ্গলবার সকালে নেড়ুলি বৈদ্যবাটি এলাকায় বিদ্যাধরী নদীর ধারে অভিযান চালায় পুলিশের একটি টিম। পুলিশ দেখে বালি মাফিয়ারা পালানোর চেষ্টা করে সেখান থেকে। পুলিশ পিছনে ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলে। বাকিরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ৷ বর্তমানে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
আরও পড়ুন : শ্মশানের জমি দখলে করতে পাঁচিল ভাঙার অভিযোগ, বেনাচিতিতে উত্তেজনা
ঘটনাস্থল থেকে বালি ভর্তি একটি মিনি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, নদী থেকে বালি তুলে ওই মিনি ট্রাকে বোঝাই করে তা পাচারের ছক ছিল বালি মাফিয়াদের। সেই ছক ব্যর্থ হয়েছে পুলিশি তৎপরতায়। অন্যদিকে, পরিকল্পনা না করে যেখান-সেখান থেকে বালি কেটে তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যাধরী নদীর গতিপথ ক্রমশ বদলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ এর জেরে নোনা জলের চাপ বাড়ায় হয় নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর তা না হলে বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন বহুদিন ধরে।