ETV Bharat / state

বকেয়া সম্মানিক প্রদান ও বৃদ্ধির দাবিতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ - জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ

বকেয়া সাম্মানিক প্রদান, সম্মানিক বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের । পৌরসভাতেও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন তারা । যদিও সাম্মানিক বকেয়া আছে তা মানতে নারাজ পৌরসভার প্রশাসক ।

n24
n24
author img

By

Published : Aug 28, 2020, 5:29 PM IST

বারাসত, 28 অগাস্ট : বকেয়া সাম্মানিক প্রদান, সাম্মানিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আজ জেলাশাসকের বিভাহে বিক্ষোভ দেখায় মিড ডে মিলের রাঁধুনি, সহকারীরা । বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে বিভাগের মূল গেটের সামনে । পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয় জেলাশাসকের অফিসে । সব মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ মিনিট বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোক্ষকারীরা । তারপর সেখান থেকে পৌরসভায় গিয়েও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা । পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় । যদিও, রাঁধুনিদের সাম্মানিক বকেয়া থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ পৌরসভার প্রশাসকের । তবে, বিক্ষোভকারীদের অন্যান্য দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

কোরোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আনলক পর্বে অফিস-কাছারি সহ বিভিন্ন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি । সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার 20 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যার জেরে বিপাকে পড়েছেন বারাসত পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশো রাঁধুনি, সহকারীরা । অভিযোগ,দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় রুটিরুজিতে টান পড়েছে তাঁদের । মাসিক সাম্মানিকও পাচ্ছেন না তাঁরা। যার ফলে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই পেশার যুক্ত মহিলাদের ।

বর্তমানে দেড় হাজার টাকার মাসিক সাম্মানিক পান রাঁধুনিরা । আজ সেই টাকা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার দাবি জানান তাঁরা ৷ এবিষয়ে স্থানীয় পৌরসভা থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ । মিড ডে মিলের রাঁধুনি সরমা দাস বলেন,"এখন আপাতত যেটুকু পাওনা তা মিটিয়ে দিলে ভালো হয় । আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি । দেড় হাজার মাসিক সাম্মানিকে পেট ভরে না আমাদের । সংসারও চলে না তাতে । এখন পর্যন্ত আমরা দশ মাসের মাসিক সাম্মানিক পায় । যেটুকু টাকা দেওয়া হয়, তাও পেতে অনেক দেরি হয় । তাই আমরা চাইছি দশ মাসের জায়গায় বারো মাসের সাম্মানিক পেলে উপকার হয় ৷"

যদিও রাঁধুনিদের মাসিক সাম্মানিক বকেয়া থাকার অভিযোগ মানতে চাননি বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"লকডাউনের কারণে জুন ও আরও এক মাসের সাম্মানিক তাঁরা পাবেন না ৷"কেন পাবে না সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি । প্রশাসকের কথায়,"ওদের মাসিক সাম্মানিক বৃদ্ধি হোক সেটা আমিও চাই । দশ মাসের জায়গায় বারো মাসের সাম্মানিক পেলে তাতে আপত্তি নেই । সেটা সরকার ভাবনাচিন্তা করবে । আমি ওদের দাবি-দাওয়া নিশ্চয় সরকারের কাছে তুলে ধরব ।"

বারাসত, 28 অগাস্ট : বকেয়া সাম্মানিক প্রদান, সাম্মানিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আজ জেলাশাসকের বিভাহে বিক্ষোভ দেখায় মিড ডে মিলের রাঁধুনি, সহকারীরা । বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে বিভাগের মূল গেটের সামনে । পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয় জেলাশাসকের অফিসে । সব মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ মিনিট বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোক্ষকারীরা । তারপর সেখান থেকে পৌরসভায় গিয়েও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা । পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় । যদিও, রাঁধুনিদের সাম্মানিক বকেয়া থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ পৌরসভার প্রশাসকের । তবে, বিক্ষোভকারীদের অন্যান্য দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

কোরোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আনলক পর্বে অফিস-কাছারি সহ বিভিন্ন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি । সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার 20 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যার জেরে বিপাকে পড়েছেন বারাসত পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশো রাঁধুনি, সহকারীরা । অভিযোগ,দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় রুটিরুজিতে টান পড়েছে তাঁদের । মাসিক সাম্মানিকও পাচ্ছেন না তাঁরা। যার ফলে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই পেশার যুক্ত মহিলাদের ।

বর্তমানে দেড় হাজার টাকার মাসিক সাম্মানিক পান রাঁধুনিরা । আজ সেই টাকা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার দাবি জানান তাঁরা ৷ এবিষয়ে স্থানীয় পৌরসভা থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ । মিড ডে মিলের রাঁধুনি সরমা দাস বলেন,"এখন আপাতত যেটুকু পাওনা তা মিটিয়ে দিলে ভালো হয় । আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি । দেড় হাজার মাসিক সাম্মানিকে পেট ভরে না আমাদের । সংসারও চলে না তাতে । এখন পর্যন্ত আমরা দশ মাসের মাসিক সাম্মানিক পায় । যেটুকু টাকা দেওয়া হয়, তাও পেতে অনেক দেরি হয় । তাই আমরা চাইছি দশ মাসের জায়গায় বারো মাসের সাম্মানিক পেলে উপকার হয় ৷"

যদিও রাঁধুনিদের মাসিক সাম্মানিক বকেয়া থাকার অভিযোগ মানতে চাননি বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"লকডাউনের কারণে জুন ও আরও এক মাসের সাম্মানিক তাঁরা পাবেন না ৷"কেন পাবে না সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি । প্রশাসকের কথায়,"ওদের মাসিক সাম্মানিক বৃদ্ধি হোক সেটা আমিও চাই । দশ মাসের জায়গায় বারো মাসের সাম্মানিক পেলে তাতে আপত্তি নেই । সেটা সরকার ভাবনাচিন্তা করবে । আমি ওদের দাবি-দাওয়া নিশ্চয় সরকারের কাছে তুলে ধরব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.