আমডাঙা, 24 এপ্রিল : সরকার নির্ধারিত পরিমাণের থেকে খাদ্যসামগ্রী কম দিচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা । তাই প্রতিবাদ করে গ্রামবাসী ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা । গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযোগ স্বীকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার । নিজের সাফাই হিসেবে বলেন, "সরকারি নির্ধারিত দামে আলু পাওয়া যায়নি । চড়া দামে আলু কিনতে হয়েছে । তাই ওজনে কম দিতে হয়েছে আলু ।"
আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের গজবন্দ গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়ুয়াদের চাল ও আলু বিলি করা হচ্ছিল । কিন্তু তা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছিল না । শাকিলা বিবি নামে এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক কর্মীর বাড়ি থেকে বিলি করা হচ্ছিল । তখনই সন্দেহ হয় এক স্থানীয়র । কয়েকজনের আলু ওজন করে দেখেন তাতে 500 গ্রাম কম আছে । সরকারি নির্দেশ অনুসারে অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়াদের 2 কেজি করে চাল ও আলু দেওয়ার কথা । কিন্তু আলু দেওয়া হয় দেড় কিলো করে । এরপরই গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা মিলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা সোনালি ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে যায় । কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করে ওই কেন্দ্রের সহায়িকা । তখন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা । বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযোগ স্বীকার করেন সহায়িকা সোনালি ঘোষ ।
নিজের দোষের সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "যে সদস্যকে ডাকার ডাকুন । আমার কোনও অসুবিধে নেই । আমি কেন এরকম করলাম সেটা আপনাদের বুঝতে হবে । সরকারের নির্ধারিত দামে আলু পাওয়া যায়নি । চড়া দামে আলু কেনার জন্যই 100 গ্রাম থেকে 150 গ্রাম কম দিতে বাধ্য হয়েছি ।"
আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমানের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে । তারপরই এবিষয়ে কিছু বলতে পারব । সরকারের বরাদ্দ পরিমাণের থেকে কম মিড ডে মিল কিংবা রেশন সামগ্রী কোনওভাবেই দেওয়া চলবে না । যাঁরা এধরনের কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব ।"