ETV Bharat / state

যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনায় বসিরহাটে বৈঠক সেচমন্ত্রীর - সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র

যশের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতের কাজ কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, বাঁধ মেরামতের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । বৈঠক শেষে নদীপথে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধও সরেজমিনে চাক্ষুষ করেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ।

meeting of irrigation minister soumen mohapatra over situation after yaas
যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনায় বসিরহাটে বৈঠক সেচ মন্ত্রীর
author img

By

Published : Jun 4, 2021, 10:05 PM IST

বসিরহাট, 4 জুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র । শুক্রবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে চলে এই প্রশাসনিক বৈঠক । বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাটের এসডিও মৌসম মুখোপাধ্যায়সহ ব্লক স্তরের আধিকারিকরা ।

যশের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতের কাজ কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, বাঁধ মেরামতের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । বৈঠকে মন্ত্রী সুন্দরবনকে রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভ লাগানোর উপর জোর দিতে বলেন প্রশাসনের আধিকারিকদের । বৈঠক শেষে নদীপথে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধও সরেজমিনে চাক্ষুষ করেন সেচমন্ত্রী ।

যশ ও ভরা কোটালে বিপর্যস্ত সুন্দরবন অঞ্চল । প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বসিরহাট মহকুমার প্রায় সবকটি কাচাঁ নদীবাঁধই ভেঙে গিয়েছে । জলে ভাসিয়েছে একের পর এক গ্রাম । ক্ষতি হয়েছে কৃষিজমি এবং বিঘার পর বিঘা মাছের ভেড়ি । ঘরবাড়ি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন লাগোয়া সন্দেশখালি 1 ও 2, হিঙ্গলগঞ্জ এবং মিনাখাঁ ব্লক । প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমায় সবমিলিয়ে 276 কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে । এর বেশিরভাগই পরে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের মধ্যে । ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর মাত্র 153 কিলোমিটার‌ কংক্রিটের পাকা বাঁধ হয়েছে । বাকি 130 কিলোমিটার নদীবাঁধ এখনও কাঁচা রয়েছে । তার মধ্যে যশের তাণ্ডবে 40 থেকে 45 কিলোমিটার নদীবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।

যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনায় বসিরহাটে বৈঠক সেচ মন্ত্রীর

ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ দ্রুত মেরামত করতে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন । 28 মে হিঙ্গলগঞ্জ সফরে এসে এই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে তৎপর হতে বলেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । সেই সঙ্গে ত্রাণ নিয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন ।

বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "ঘূর্ণিঝড় যশ চোখ খুলে দিয়েছে আমাদের । আগামী 12 ও 26 জুন পরপর দু‘টি ভরা কোটাল আছে । ফলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে । মানুষের যাতে কোনওরকম অসুবিধার মুখে না পড়তে হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : ত্রাণ নয়, কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ সুন্দরবনবাসীর

তিনি আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত যতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেছি প্রায় সমস্ত জায়গাতেই কংক্রিটের বাঁধের দাবি তুলেছেন মানুষ । মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এব্যাপারে স্থায়ী সমাধান চাইছেন । আজকের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে । সমস্ত দফতরকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে ।"

বসিরহাট, 4 জুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র । শুক্রবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে চলে এই প্রশাসনিক বৈঠক । বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাটের এসডিও মৌসম মুখোপাধ্যায়সহ ব্লক স্তরের আধিকারিকরা ।

যশের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতের কাজ কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, বাঁধ মেরামতের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । বৈঠকে মন্ত্রী সুন্দরবনকে রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভ লাগানোর উপর জোর দিতে বলেন প্রশাসনের আধিকারিকদের । বৈঠক শেষে নদীপথে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধও সরেজমিনে চাক্ষুষ করেন সেচমন্ত্রী ।

যশ ও ভরা কোটালে বিপর্যস্ত সুন্দরবন অঞ্চল । প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বসিরহাট মহকুমার প্রায় সবকটি কাচাঁ নদীবাঁধই ভেঙে গিয়েছে । জলে ভাসিয়েছে একের পর এক গ্রাম । ক্ষতি হয়েছে কৃষিজমি এবং বিঘার পর বিঘা মাছের ভেড়ি । ঘরবাড়ি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন লাগোয়া সন্দেশখালি 1 ও 2, হিঙ্গলগঞ্জ এবং মিনাখাঁ ব্লক । প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমায় সবমিলিয়ে 276 কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে । এর বেশিরভাগই পরে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের মধ্যে । ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর মাত্র 153 কিলোমিটার‌ কংক্রিটের পাকা বাঁধ হয়েছে । বাকি 130 কিলোমিটার নদীবাঁধ এখনও কাঁচা রয়েছে । তার মধ্যে যশের তাণ্ডবে 40 থেকে 45 কিলোমিটার নদীবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।

যশ পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনায় বসিরহাটে বৈঠক সেচ মন্ত্রীর

ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ দ্রুত মেরামত করতে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন । 28 মে হিঙ্গলগঞ্জ সফরে এসে এই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে তৎপর হতে বলেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । সেই সঙ্গে ত্রাণ নিয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন ।

বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "ঘূর্ণিঝড় যশ চোখ খুলে দিয়েছে আমাদের । আগামী 12 ও 26 জুন পরপর দু‘টি ভরা কোটাল আছে । ফলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে । মানুষের যাতে কোনওরকম অসুবিধার মুখে না পড়তে হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : ত্রাণ নয়, কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ সুন্দরবনবাসীর

তিনি আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত যতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেছি প্রায় সমস্ত জায়গাতেই কংক্রিটের বাঁধের দাবি তুলেছেন মানুষ । মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এব্যাপারে স্থায়ী সমাধান চাইছেন । আজকের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে । সমস্ত দফতরকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.