ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূল-বিজেপি মতভেদ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলি মতুয়া ভক্তরা - Matua devotees lost their peace of mind

রাজনীতির খাঁড়ায় ভাগ হয়েছে মতুয়া পরিবার ৷ তৃণমূল ও বিজেপি- দুই পক্ষের মাঝে পড়ে শান্তি হারিয়েছেন বহু বহু মতুয়া ভক্ত ৷ এখন ঠাকুরবাড়ি থেকে ডাক এলে ভক্তরা সেখানে যান ৷ তবে আগের মতো ভক্তি, শান্তির পরিবেশ পান না ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগেও সেই পরিবেশ ৷ রাজনীতি দূর হোক ঠাকুরবাড়ি থেকে, চাইছেন মতুয়া ভক্তরা ৷

ETV Bharat
মতুয়ায় রাজনৈতিক তরজা
author img

By

Published : Jun 29, 2023, 2:14 PM IST

মতুয়া পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদে কষ্টে রয়েছেন মতুয়া ভক্তরা

গাইঘাটা, 29 জুন: ভোট এলে মতুয়া ভোট নিজেদের দিকে টানতে আসরে নামে ঠাকুরবাড়ির শাসক-বিরোধী দু'পক্ষই ৷ এদিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে মতুয়াদের মূলদাবি 'নাগরিকত্ব' বিশ বাঁও জলে ৷ এর মাঝে ঠাকুরবাড়িতে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে অতিষ্ঠ ভক্ত মতুয়ারা ৷ মতুয়া ভক্তদের প্রশ্ন, এর শেষ কোথায় ? তাঁরা রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভাগাভাগি চাইছেন না ৷

রাজ্যে মতুয়া ভোট নেহাত কম নয় ৷ সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে কয়েক কোটি ৷ সূত্রের খবর, 2015 সাল থেকে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবার বিভক্ত ৷ একদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর, অন্যদিকে তাঁর দেওরের দুই ছেলে বিজেপি মন্ত্রী-সাংসদ শান্তনু ও বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ৷ রাজনৈতিক মতপার্থক্য এতটাই চিড় ধরিয়েছে যে, মতুয়া পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করছেন ৷ পারিবারিক বিবাদ গড়িয়েছে থানা পর্যন্তও ৷

8 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ জুনের 11 তারিখে ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ঘিরে গণ্ডগোল বাধে ৷ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মতুয়া ভক্তরা ৷ তৃণমূলের মমতা ঠাকুর ও বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় । প্রতিটি ভোটের আগে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবারের এই দ্বন্দ্ব ভালো ভাবে নিচ্ছেন না সাধারণ মতুয়া ভক্তরা ৷ ঠাকুরবাড়িতে এই রাজনৈতিক পরিবেশ তাঁদের ভালো লাগছে না ৷

আরও পড়ুন: বিজেপি বলছে মন্দিরে যেতে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হবে, ঠাকুরবাড়ির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের

মতুয়া ভক্তরা জানিয়েছেন, ঠাকুরবাড়ির এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ঠাকুরবাড়িতে এসে তাঁরাও বিড়ম্বনায় পড়েন ৷ তৃণমূলের মমতা ঠাকুরের কাছে গেলে বা তাঁকে প্রণাম করলে বিরোধী শান্তনু পক্ষের কেউ দেখে নিতে পারে ৷ তারা মনে করবে, সেই ভক্ত মমতা ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ লোক ৷ ওদিকে শান্তনু ঠাকুরের কাছে গেলে বা তাঁকে প্রণাম করলে মমতা ঠাকুরের পক্ষের লোকজন ভাববে তারা বিজেপি সাংসদ শান্তনুর ঘনিষ্ঠ ৷ মতুয়া ভক্তদের অভিযোগ, একজনের কাছে গেলে আরেক জন ঠিকমতো কথা বলতে চান না, এতে তাঁদের কাছে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

তাঁদের মতে, মতুয়া ভক্তরা সবাই ভাই ভাই ৷ রাজনৈতিক স্বার্থে ভাইদের মধ্যে ফাটল ধরানো হচ্ছে ৷ ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা একে অপরকে যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তা ঠাকুরের আদর্শ নয় ৷ ভক্তরা এইসব চান না ৷ তাঁদের পক্ষে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যন্ত্রণাদায়ক ৷ মতুয়া গোঁসাই শম্ভু সরকার বলেন, "আমরা মতুয়ারা নিজেদের মধ্যে ভাগ হতে চাই না ৷ রাজনৈতিকভাবে আমাদের ভাগ করা ঠিক নয় ৷ আমারা ভোট দেব প্রার্থী বুঝে, যিনি জয়ী হয়ে গ্রামের উন্নতি করবেন ৷ তিনি যে কোনও দলের হতে পারে ৷"

আরও পড়ুন: কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিলেন মতুয়ারা, বিতর্ক চরমে

মতুয়া ভক্তরা চাইছেন, শান্তনু ও মমতা ঠাকুর যে যাঁর মতো করে রাজনীতি করুক ৷ ঠাকুরবাড়ি ঠাকুরবাড়ির মতো শান্ত, ভক্তের জায়গা থাকুক ৷ ঠাকুরবাড়িতে সেই ভক্তি, আরাধনার পরিবেশ ফিরে আসুক ৷ মতুয়াদের মধ্যে এই রাজনৈতিক বিভাজন বন্ধ হোক ৷

মতুয়া পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদে কষ্টে রয়েছেন মতুয়া ভক্তরা

গাইঘাটা, 29 জুন: ভোট এলে মতুয়া ভোট নিজেদের দিকে টানতে আসরে নামে ঠাকুরবাড়ির শাসক-বিরোধী দু'পক্ষই ৷ এদিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে মতুয়াদের মূলদাবি 'নাগরিকত্ব' বিশ বাঁও জলে ৷ এর মাঝে ঠাকুরবাড়িতে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে অতিষ্ঠ ভক্ত মতুয়ারা ৷ মতুয়া ভক্তদের প্রশ্ন, এর শেষ কোথায় ? তাঁরা রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভাগাভাগি চাইছেন না ৷

রাজ্যে মতুয়া ভোট নেহাত কম নয় ৷ সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে কয়েক কোটি ৷ সূত্রের খবর, 2015 সাল থেকে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবার বিভক্ত ৷ একদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর, অন্যদিকে তাঁর দেওরের দুই ছেলে বিজেপি মন্ত্রী-সাংসদ শান্তনু ও বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ৷ রাজনৈতিক মতপার্থক্য এতটাই চিড় ধরিয়েছে যে, মতুয়া পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করছেন ৷ পারিবারিক বিবাদ গড়িয়েছে থানা পর্যন্তও ৷

8 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ জুনের 11 তারিখে ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ঘিরে গণ্ডগোল বাধে ৷ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মতুয়া ভক্তরা ৷ তৃণমূলের মমতা ঠাকুর ও বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় । প্রতিটি ভোটের আগে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবারের এই দ্বন্দ্ব ভালো ভাবে নিচ্ছেন না সাধারণ মতুয়া ভক্তরা ৷ ঠাকুরবাড়িতে এই রাজনৈতিক পরিবেশ তাঁদের ভালো লাগছে না ৷

আরও পড়ুন: বিজেপি বলছে মন্দিরে যেতে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হবে, ঠাকুরবাড়ির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের

মতুয়া ভক্তরা জানিয়েছেন, ঠাকুরবাড়ির এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ঠাকুরবাড়িতে এসে তাঁরাও বিড়ম্বনায় পড়েন ৷ তৃণমূলের মমতা ঠাকুরের কাছে গেলে বা তাঁকে প্রণাম করলে বিরোধী শান্তনু পক্ষের কেউ দেখে নিতে পারে ৷ তারা মনে করবে, সেই ভক্ত মমতা ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ লোক ৷ ওদিকে শান্তনু ঠাকুরের কাছে গেলে বা তাঁকে প্রণাম করলে মমতা ঠাকুরের পক্ষের লোকজন ভাববে তারা বিজেপি সাংসদ শান্তনুর ঘনিষ্ঠ ৷ মতুয়া ভক্তদের অভিযোগ, একজনের কাছে গেলে আরেক জন ঠিকমতো কথা বলতে চান না, এতে তাঁদের কাছে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

তাঁদের মতে, মতুয়া ভক্তরা সবাই ভাই ভাই ৷ রাজনৈতিক স্বার্থে ভাইদের মধ্যে ফাটল ধরানো হচ্ছে ৷ ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা একে অপরকে যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তা ঠাকুরের আদর্শ নয় ৷ ভক্তরা এইসব চান না ৷ তাঁদের পক্ষে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যন্ত্রণাদায়ক ৷ মতুয়া গোঁসাই শম্ভু সরকার বলেন, "আমরা মতুয়ারা নিজেদের মধ্যে ভাগ হতে চাই না ৷ রাজনৈতিকভাবে আমাদের ভাগ করা ঠিক নয় ৷ আমারা ভোট দেব প্রার্থী বুঝে, যিনি জয়ী হয়ে গ্রামের উন্নতি করবেন ৷ তিনি যে কোনও দলের হতে পারে ৷"

আরও পড়ুন: কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিলেন মতুয়ারা, বিতর্ক চরমে

মতুয়া ভক্তরা চাইছেন, শান্তনু ও মমতা ঠাকুর যে যাঁর মতো করে রাজনীতি করুক ৷ ঠাকুরবাড়ি ঠাকুরবাড়ির মতো শান্ত, ভক্তের জায়গা থাকুক ৷ ঠাকুরবাড়িতে সেই ভক্তি, আরাধনার পরিবেশ ফিরে আসুক ৷ মতুয়াদের মধ্যে এই রাজনৈতিক বিভাজন বন্ধ হোক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.