বসিরহাট, 4 জানুয়ারি: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Cylinder Blast) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম সুদীপ ঘরামি। আহত হয়েছেন আরও দু'জন। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে (Basirhat District Hospital) । আহত ওই দু'জনের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাতে ৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভবানীপুর-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারচক এলাকা। তখনও ঘুম ভাঙেনি এলাকার সকলের। বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। লক্ষ্য করেন, বিস্ফোরণের জেরে প্রতিবেশী সুদীপ ঘরামির বাড়িতে আগুন জ্বলছে। সেই দৃশ্য দেখে দেরি না-করে আগুন নেভাতে তৎপর হয়ে ওঠেন পাড়া প্রতিবেশীরা। জল দিয়ে কোনওরকমে আগুন নেভানো গেলেও তার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বছর পঞ্চান্ন'র ওই প্রৌঢ়কে ৷
বিস্ফোরণের পর আগুনে কার্যত ঝলসে গিয়েছে তাঁর শরীর। ফলে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘরের মধ্যেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। ঘটনায় পরিবারের আরও দু'জন জখম হয়েছেন গুরুতরভাবে। তাঁদেরও শরীরের অধিকাংশ ঝলসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে, ঘরের ভিতর থেকে আহত ওই দু'জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আহত দু'জনকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত্যু বাবা-ছেলের
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, "শর্ট সার্কিট (Short Circuit) থেকে প্রথমে আগুন লেগে যায় প্রৌঢ়ের বাড়িতে। তা থেকেই কোনওভাবে ঘটে থাকতে পারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। বাকিটা পুলিশের তদন্তের ব্যাপার। তাঁরাই খতিয়ে দেখুক, এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে কি না।" অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘরে মজুত থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।