বারাসত, 27ফেব্রুয়ারি : দেহ আগেই পাওয়া গেছিল ৷ আজ পাওয়া গেল ফরিদা খাতুনের কাটা মুণ্ড ৷ সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার ও বহু পুরুষে সম্পর্ক, সেই আক্রোশেই প্রেমিক আবদুল নইম মোল্লা ওরফে মিন্টু ফরিদাকে খুন করে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান বারাসত থানার পুলিশের । আজ সাংবাদিক বৈঠকে বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নইমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । খুনের পুনর্নির্মাণের সময়ই উদ্ধর হয় ওই যুবতির কাটামুণ্ড।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, হাড়োয়ার সায়েরবাজারের বাসিন্দা মৃত ফরিদা খাতুনের সঙ্গে পাশের গ্রামের আবদুল নইমের গত কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । পরস্পরের মধ্যে কয়েকবার সহবাসও হয়েছিল । কিন্তু নইম বিয়ে করতে চাইলে ফরিদা রাজি হননি । তখন দু'জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । ইতিমধ্যে নইম জানতে পারে, আরও কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে ফরিদার সম্পর্ক রয়েছে । তারপরই নইম ওই ফরিদাকে খুনের পরিকল্পনা করে । গত 31 জানুয়ারি নইম ফোন করে ফরিদাকে বাড়ি থেকে শাসনের ভেরি এলাকায় ডেকে আনে । যদিও ফরিদা ব্যাঙ্কে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন । তারপর তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । পয়লা ফেব্রুয়ারি শাসনের একটি মাছের ভেড়ি থেকে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় । সাতদিন পর পরিবারের লোকজন বারাসত জেলা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন । তারপর পুলিশ তদন্তে নেমে ফরিদার মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গতকাল হাওড়ার ডোমজুড় থেকে প্রেমিক নইমকে গ্রেপ্তার করে ।
আজ নইমকে নিয়ে পুলিশ খুনের পুনর্নির্মাণ করায় । তখন নইমের বর্ণনা মতো সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে অন্য একটা ভেরির জল থেকে ফরিদার কাটা মুণ্ড উদ্ধার হয় । পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গতকাল হাওড়ার ডোমজুড় থেকে নইমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারাসত আদালত থেকে 10 দিনের পুলিশ হেপাজত নিয়ে ফরিদা খুনের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদার চার বছরের একটি ছেলে আছে । স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না-হওয়ায় তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন । সেখান থেকেই তাঁর সঙ্গে নইমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।