ETV Bharat / state

চন্দ্রযান 2 নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য মূর্খতাপূর্ণ, মমতাকে আক্রমণ কৈলাসের - Mamata Banerjee

চন্দ্রযান 2 নিয়ে মমতা ব্যানার্জির মন্তব্যের পালটা দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় । বললেন, "এ ধরনের মন্তব্য সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়, মূর্খতাপূর্ণ ।"

কৈলাস বিজয়বর্গীয়
author img

By

Published : Sep 9, 2019, 2:21 AM IST

Updated : Sep 9, 2019, 7:45 AM IST

নিউ ব্যারাকপুর, 9 সেপ্টেম্বর : চন্দ্রযান 2 নিয়ে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন । তাও অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর । কিন্তু, তার আগে সেই মমতা ব্যানার্জির মুখ থেকে শোনা গেছিল কেন্দ্রের সমালোচনা । চন্দ্রযান 2 অভিযান নিয়ে গোটা দেশ আবেগে ভাসছিল । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মমতা আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে । বলেছিলেন, "অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান নিয়ে মাতামাতি ।" যা নিয়ে শুরু হয় BJP-তৃণমূল তরজা । এবার এই ইশুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিলেন রাজ্য BJP-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ।

শুক্রবার রাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছোনোর কথা ছিল চন্দ্রযান 2-এর । আগাম শুভেচ্ছা ভেসে আসছিল চতুর্দিক থেকে । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সেদিন সকালেই মমতা আক্রমণ শানান কেন্দ্রকে । প্রশ্ন করেন, "এর আগেও দেশের বিজ্ঞানীরা সাফল্য এনেছেন, তাহলে এক্ষেত্রে এত প্রচার কেন ?" এর জবাবে গতকাল নিউ ব্যারাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের কৈলাস বলেন, "NASA-র বিজ্ঞানীরা ISRO-র বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন । তাঁরা বলেছেন যে, চাঁদে যাওয়া ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অনেক বড় সাফল্য । বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ না জানিয়ে, তাঁদের প্রশংসা না করে রাজনৈতিক মন্তব্য করা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় । এর যত নিন্দা করা যায় ততই কম । এটা মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য । এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না । কোনও মুখ্যমন্ত্রীর এরকম মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য লজ্জার বিষয় ।"

কী বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

শুক্রবার (6 সেপ্টেম্বর) একাধিক ইশুতে তপ্ত হয়েছিল বিধানসভা । যার মধ্যে একটি ইশু ছিল কাশ্মীরে 370 ধারার প্রত্যাহার । মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাতে 370 ধারা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের আপত্তি জানান । এ প্রসঙ্গে কৈলাস বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য যিনি সর্বপ্রথম দেশে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তিনি একজন বাঙালি । তাঁর নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি । উনি বলেছিলেন, একই দেশে দুই বিধান, দুই প্রধান ও দুই নিশান চলবে না । এরপর তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের জেলে ভরে দেওয়া হয় । 44 দিন পর শ্রীনগরে খারাপ পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় তাঁর । এই দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য যিনি বলিদান দিয়েছেন তিনি একজন বাঙালিই । তাই প্রত্যেক বাঙালির গর্ব করা উচিত । কারণ যে 370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আন্দোলন করেছিলেন মোদিজি ও অমিত শাহ-র নেতৃত্বে সেই ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে ।"

কৈলাস আরও বলেন, "কাশ্মীরে এত দিন পাকিস্তান জ়িন্দাবাদের স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল । তেরঙ্গা পোড়ানো হচ্ছিল । ভারতমাতাকে ডাইনি বলা হচ্ছিল । সেই সমস্ত কিছু এখন বন্ধ হয়ে গেছে । এখন শুধু ভারত মাতা কি জয় স্লোগান শোনা যায় । আমি বুঝতে পারছি না ভারত মাতা কি জয় বলাতে মমতার কী অসুবিধা হচ্ছে ? মমতা ও পাকিস্তানের নেতাদের মন্তব্য একরকমের । মমতা ব্যানার্জির জন্য বাংলার মানুষের অপমান হয়েছে । কারণ এই ধারা প্রত্যাহারের জন্য একজন বাঙালি আন্দোলন করেছিলেন ।"

নিউ ব্যারাকপুর, 9 সেপ্টেম্বর : চন্দ্রযান 2 নিয়ে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন । তাও অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর । কিন্তু, তার আগে সেই মমতা ব্যানার্জির মুখ থেকে শোনা গেছিল কেন্দ্রের সমালোচনা । চন্দ্রযান 2 অভিযান নিয়ে গোটা দেশ আবেগে ভাসছিল । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মমতা আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে । বলেছিলেন, "অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান নিয়ে মাতামাতি ।" যা নিয়ে শুরু হয় BJP-তৃণমূল তরজা । এবার এই ইশুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিলেন রাজ্য BJP-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ।

শুক্রবার রাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছোনোর কথা ছিল চন্দ্রযান 2-এর । আগাম শুভেচ্ছা ভেসে আসছিল চতুর্দিক থেকে । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সেদিন সকালেই মমতা আক্রমণ শানান কেন্দ্রকে । প্রশ্ন করেন, "এর আগেও দেশের বিজ্ঞানীরা সাফল্য এনেছেন, তাহলে এক্ষেত্রে এত প্রচার কেন ?" এর জবাবে গতকাল নিউ ব্যারাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের কৈলাস বলেন, "NASA-র বিজ্ঞানীরা ISRO-র বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন । তাঁরা বলেছেন যে, চাঁদে যাওয়া ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অনেক বড় সাফল্য । বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ না জানিয়ে, তাঁদের প্রশংসা না করে রাজনৈতিক মন্তব্য করা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় । এর যত নিন্দা করা যায় ততই কম । এটা মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য । এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না । কোনও মুখ্যমন্ত্রীর এরকম মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য লজ্জার বিষয় ।"

কী বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

শুক্রবার (6 সেপ্টেম্বর) একাধিক ইশুতে তপ্ত হয়েছিল বিধানসভা । যার মধ্যে একটি ইশু ছিল কাশ্মীরে 370 ধারার প্রত্যাহার । মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাতে 370 ধারা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের আপত্তি জানান । এ প্রসঙ্গে কৈলাস বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য যিনি সর্বপ্রথম দেশে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তিনি একজন বাঙালি । তাঁর নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি । উনি বলেছিলেন, একই দেশে দুই বিধান, দুই প্রধান ও দুই নিশান চলবে না । এরপর তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের জেলে ভরে দেওয়া হয় । 44 দিন পর শ্রীনগরে খারাপ পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় তাঁর । এই দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য যিনি বলিদান দিয়েছেন তিনি একজন বাঙালিই । তাই প্রত্যেক বাঙালির গর্ব করা উচিত । কারণ যে 370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আন্দোলন করেছিলেন মোদিজি ও অমিত শাহ-র নেতৃত্বে সেই ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে ।"

কৈলাস আরও বলেন, "কাশ্মীরে এত দিন পাকিস্তান জ়িন্দাবাদের স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল । তেরঙ্গা পোড়ানো হচ্ছিল । ভারতমাতাকে ডাইনি বলা হচ্ছিল । সেই সমস্ত কিছু এখন বন্ধ হয়ে গেছে । এখন শুধু ভারত মাতা কি জয় স্লোগান শোনা যায় । আমি বুঝতে পারছি না ভারত মাতা কি জয় বলাতে মমতার কী অসুবিধা হচ্ছে ? মমতা ও পাকিস্তানের নেতাদের মন্তব্য একরকমের । মমতা ব্যানার্জির জন্য বাংলার মানুষের অপমান হয়েছে । কারণ এই ধারা প্রত্যাহারের জন্য একজন বাঙালি আন্দোলন করেছিলেন ।"

Intro:মুখ্যমন্ত্রীকে মূর্খ বলে কটাক্ষ কৈলাসের



নিউ ব্যারাকপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মূর্খ। তাই চন্দ্রযান নিয়ে ভুল মন্তব্য করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যরাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “মনে হচ্ছে প্রথমবার চন্দ্রযান পাঠানো হল। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে যেন এই ধরনের অভিযান হত না। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। বিজেপি নেতারা চাঁদে গিয়ে জায়গা রাখুন। ওখানে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুন।” মমতার এই মন্তব্যের নড়েচড়ে বসেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাতে সুর মেলালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এদিন তিনি বলেন, 'চন্দ্রযান নিয়ে যখন নাসার বিজ্ঞানীরা ভারতের প্রশংসা করছেন, তখন বৈজ্ঞানিকদের প্রশংসা না করে এই বিষয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা সংকোচিত ও খারাপ মানসিকতার পরিচয়। মুখ্যমন্ত্রীর যত নিন্দা করা যায় তত কম। এটা মুখ্যমন্ত্রীর মূর্খতাপূর্ণ বয়ান।'

৩৭০ ধারা বাতিল নিয়েও এদিন কৈলাস মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ায় প্রত্যেকে বাঙালির গর্ব হওয়া উচিত। কারণ সর্বপ্রথম এনিয়ে আন্দোলন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। সেই ধারা মোদিজি ও অমিতজির জন্য দেশ থেকে হটানো গিয়েছে। এখন কাশ্মীরে আর জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয় না। সকলেই সেখানে সুরক্ষিত। ভারত মাতার জয় বললে মমতাজির কী সমস্যা তা আমার জানা নেই। মমতার বক্তব্য ও পাকিস্তানের নেতাদের বক্তব্য একই রকম। আমার মনে হয় এতে বাঙালি নাগরিকদের অপমান হচ্ছে।'
কৈলাসের আরও সংযোজন, '৩৭০ ধারার মতো বাংলার মানুষও ঠিক করে নিয়েছে, মমতাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বাংলার সব যায়গায় থেকে সিন্ডিকেট, ভ্রষ্টাচার, অরাজকতা দূর হোক। রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এখানে মাফিয়াদের সুরক্ষা দেওয়া হয়, কারণ সে তৃণমূল করে বলে।'Body:মুখ্যমন্ত্রীকে মূর্খ বলে কটাক্ষ কৈলাসের



নিউ ব্যারাকপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মূর্খ। তাই চন্দ্রযান নিয়ে ভুল মন্তব্য করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যরাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “মনে হচ্ছে প্রথমবার চন্দ্রযান পাঠানো হল। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে যেন এই ধরনের অভিযান হত না। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। বিজেপি নেতারা চাঁদে গিয়ে জায়গা রাখুন। ওখানে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুন।” মমতার এই মন্তব্যের নড়েচড়ে বসেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাতে সুর মেলালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এদিন তিনি বলেন, 'চন্দ্রযান নিয়ে যখন নাসার বিজ্ঞানীরা ভারতের প্রশংসা করছেন, তখন বৈজ্ঞানিকদের প্রশংসা না করে এই বিষয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা সংকোচিত ও খারাপ মানসিকতার পরিচয়। মুখ্যমন্ত্রীর যত নিন্দা করা যায় তত কম। এটা মুখ্যমন্ত্রীর মূর্খতাপূর্ণ বয়ান।'

৩৭০ ধারা বাতিল নিয়েও এদিন কৈলাস মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ায় প্রত্যেকে বাঙালির গর্ব হওয়া উচিত। কারণ সর্বপ্রথম এনিয়ে আন্দোলন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। সেই ধারা মোদিজি ও অমিতজির জন্য দেশ থেকে হটানো গিয়েছে। এখন কাশ্মীরে আর জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয় না। সকলেই সেখানে সুরক্ষিত। ভারত মাতার জয় বললে মমতাজির কী সমস্যা তা আমার জানা নেই। মমতার বক্তব্য ও পাকিস্তানের নেতাদের বক্তব্য একই রকম। আমার মনে হয় এতে বাঙালি নাগরিকদের অপমান হচ্ছে।'
কৈলাসের আরও সংযোজন, '৩৭০ ধারার মতো বাংলার মানুষও ঠিক করে নিয়েছে, মমতাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বাংলার সব যায়গায় থেকে সিন্ডিকেট, ভ্রষ্টাচার, অরাজকতা দূর হোক। রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এখানে মাফিয়াদের সুরক্ষা দেওয়া হয়, কারণ সে তৃণমূল করে বলে।'Conclusion:মুখ্যমন্ত্রীকে মূর্খ বলে কটাক্ষ কৈলাসের



নিউ ব্যারাকপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মূর্খ। তাই চন্দ্রযান নিয়ে ভুল মন্তব্য করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যরাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “মনে হচ্ছে প্রথমবার চন্দ্রযান পাঠানো হল। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে যেন এই ধরনের অভিযান হত না। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। বিজেপি নেতারা চাঁদে গিয়ে জায়গা রাখুন। ওখানে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুন।” মমতার এই মন্তব্যের নড়েচড়ে বসেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাতে সুর মেলালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এদিন তিনি বলেন, 'চন্দ্রযান নিয়ে যখন নাসার বিজ্ঞানীরা ভারতের প্রশংসা করছেন, তখন বৈজ্ঞানিকদের প্রশংসা না করে এই বিষয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা সংকোচিত ও খারাপ মানসিকতার পরিচয়। মুখ্যমন্ত্রীর যত নিন্দা করা যায় তত কম। এটা মুখ্যমন্ত্রীর মূর্খতাপূর্ণ বয়ান।'

৩৭০ ধারা বাতিল নিয়েও এদিন কৈলাস মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ায় প্রত্যেকে বাঙালির গর্ব হওয়া উচিত। কারণ সর্বপ্রথম এনিয়ে আন্দোলন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। সেই ধারা মোদিজি ও অমিতজির জন্য দেশ থেকে হটানো গিয়েছে। এখন কাশ্মীরে আর জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয় না। সকলেই সেখানে সুরক্ষিত। ভারত মাতার জয় বললে মমতাজির কী সমস্যা তা আমার জানা নেই। মমতার বক্তব্য ও পাকিস্তানের নেতাদের বক্তব্য একই রকম। আমার মনে হয় এতে বাঙালি নাগরিকদের অপমান হচ্ছে।'
কৈলাসের আরও সংযোজন, '৩৭০ ধারার মতো বাংলার মানুষও ঠিক করে নিয়েছে, মমতাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বাংলার সব যায়গায় থেকে সিন্ডিকেট, ভ্রষ্টাচার, অরাজকতা দূর হোক। রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এখানে মাফিয়াদের সুরক্ষা দেওয়া হয়, কারণ সে তৃণমূল করে বলে।'
Last Updated : Sep 9, 2019, 7:45 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.