নিউ ব্যারাকপুর, 9 সেপ্টেম্বর : চন্দ্রযান 2 নিয়ে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন । তাও অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর । কিন্তু, তার আগে সেই মমতা ব্যানার্জির মুখ থেকে শোনা গেছিল কেন্দ্রের সমালোচনা । চন্দ্রযান 2 অভিযান নিয়ে গোটা দেশ আবেগে ভাসছিল । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মমতা আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে । বলেছিলেন, "অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান নিয়ে মাতামাতি ।" যা নিয়ে শুরু হয় BJP-তৃণমূল তরজা । এবার এই ইশুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিলেন রাজ্য BJP-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ।
শুক্রবার রাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছোনোর কথা ছিল চন্দ্রযান 2-এর । আগাম শুভেচ্ছা ভেসে আসছিল চতুর্দিক থেকে । কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সেদিন সকালেই মমতা আক্রমণ শানান কেন্দ্রকে । প্রশ্ন করেন, "এর আগেও দেশের বিজ্ঞানীরা সাফল্য এনেছেন, তাহলে এক্ষেত্রে এত প্রচার কেন ?" এর জবাবে গতকাল নিউ ব্যারাকপুরে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের কৈলাস বলেন, "NASA-র বিজ্ঞানীরা ISRO-র বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন । তাঁরা বলেছেন যে, চাঁদে যাওয়া ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অনেক বড় সাফল্য । বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ না জানিয়ে, তাঁদের প্রশংসা না করে রাজনৈতিক মন্তব্য করা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় । এর যত নিন্দা করা যায় ততই কম । এটা মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য । এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না । কোনও মুখ্যমন্ত্রীর এরকম মূর্খতাপূর্ণ মন্তব্য লজ্জার বিষয় ।"
শুক্রবার (6 সেপ্টেম্বর) একাধিক ইশুতে তপ্ত হয়েছিল বিধানসভা । যার মধ্যে একটি ইশু ছিল কাশ্মীরে 370 ধারার প্রত্যাহার । মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাতে 370 ধারা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের আপত্তি জানান । এ প্রসঙ্গে কৈলাস বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য যিনি সর্বপ্রথম দেশে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তিনি একজন বাঙালি । তাঁর নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি । উনি বলেছিলেন, একই দেশে দুই বিধান, দুই প্রধান ও দুই নিশান চলবে না । এরপর তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের জেলে ভরে দেওয়া হয় । 44 দিন পর শ্রীনগরে খারাপ পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় তাঁর । এই দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য যিনি বলিদান দিয়েছেন তিনি একজন বাঙালিই । তাই প্রত্যেক বাঙালির গর্ব করা উচিত । কারণ যে 370 ধারা প্রত্যাহারের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আন্দোলন করেছিলেন মোদিজি ও অমিত শাহ-র নেতৃত্বে সেই ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে ।"
কৈলাস আরও বলেন, "কাশ্মীরে এত দিন পাকিস্তান জ়িন্দাবাদের স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল । তেরঙ্গা পোড়ানো হচ্ছিল । ভারতমাতাকে ডাইনি বলা হচ্ছিল । সেই সমস্ত কিছু এখন বন্ধ হয়ে গেছে । এখন শুধু ভারত মাতা কি জয় স্লোগান শোনা যায় । আমি বুঝতে পারছি না ভারত মাতা কি জয় বলাতে মমতার কী অসুবিধা হচ্ছে ? মমতা ও পাকিস্তানের নেতাদের মন্তব্য একরকমের । মমতা ব্যানার্জির জন্য বাংলার মানুষের অপমান হয়েছে । কারণ এই ধারা প্রত্যাহারের জন্য একজন বাঙালি আন্দোলন করেছিলেন ।"