নামখানা, 27 অগস্ট: একের পর এক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে উপকূল তীরবর্তী এলাকায়। কখনও পূর্ণিমার ভরা কোটাল, আবার কখনও অমাবস্যার কোটাল ৷ নিন্মচাপের ভ্রুকুটিও বাদ যায় না ৷ ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ ও ভরা কটালে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমি। সেই ক্ষতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও উপকূলের মানুষের সামনে নতুন দুর্যোগ। অমাবস্যার কোটালে আতঙ্কিত এলাকাবাসী ৷ যা "ষাঁড়া ষাঁড়ি কোটাল" নামে পরিচিত। সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রের জলস্ফীতি বৃদ্ধি পায় এই কোটালে (New Fear For Residents of Sundarbans) ৷
অমাবস্যার এই কোটাল মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার নামখানা ব্লকে ফ্রেজারগঞ্জে দাস কর্নার ও হাতি কর্নার এবং পাতিবুনিয়া বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শনে এলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । এই পরিদর্শনে এসেই তিনি জানান, কোটাল মোকাবিলায় ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতি কাজ চলছে । একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ দাস কর্নার এলাকাতেই 400 মিটারের মতো নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে আরও 200 মিটার কাজ বাকি আছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেচ দফতর নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চালাচ্ছে। এবারের কোটালে এলাকাবাসী সাহসের সঙ্গে লড়তে পারবে আশ্বাস মন্ত্রীর ৷
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ-পূর্ণিমার ভরা কোটাল, জোড়া আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী
এছাড়াও সুন্দরবনের একাধিক বেহাল নদীবাদের ওপর নজর রেখেছে জেলা সেচ দফতর ও পূর্ত দফতর। কোটাল মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে।