বনগাঁ, 25 মে : আমফান আছড়ে পড়ার পর কেটে গেছে পাঁচদিন । এখনও উত্তর 24 পরগনার একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি । এখনও রাস্তায় গাছ পড়ে রয়েছে । পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি । বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে । অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে আজ জেলার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ও পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
বিদ্যুতের দাবিতে আজ বনগাঁ, বারাসত, দেগঙ্গা ও দত্তপুকুর-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা । পথ অবরোধের পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের সাব স্টেশন ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখানো হয় । পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
আজ দুপুরে বিদ্যুতের দাবিতে বনগাঁ শহরের জয়পুর-ফুলতলা কালীবাড়ি এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা । তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় জল পাওয়া যাচ্ছে না । এলাকার অসুস্থরা সমস্যায় পড়েছে । সর্বস্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । প্রায় 40 মিনিট বিক্ষোভ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায় ।
এদিকে, দত্তপুকুরের দেবীপুর-চন্দ্রপুর এলাকার দু'নম্বর রেলগেট লাগোয়া রাজীবপুর রোডের পাঁচমাথার মোড় অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । সকাল 11টা থেকে কোথাও গাছের গুঁড়ি, কোথাও বেঞ্চ ফেলে প্রায় দু'ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ চলে । তাঁদের অভিযোগ, 20 মে থেকে দত্তপুকুর-1, 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ আশপাশের এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে । বহুবার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি । পরে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা । স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকার ফলে চড়া দামে জেনারেটর ভাড়া করে ট্যাঙ্কে জল তুলতে হচ্ছে ।
বারাসতের হৃদয়পুর স্টেশন রোড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা একই দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান । দেগঙ্গার কার্তিকপুরে টাকি রোড অবরোধ করেন বাসিন্দারা । বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকা শ্রমিকদের গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখানো হয় । পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে ।