ভাটপাড়া, 19 জুন : কোরোনা রোগীর মৃতদেহ পোড়ানো নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর 24 পরগনার ভাটপাড়া । গতরাতে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মৃতদেহ নিয়ে ভাটপাড়া শ্মশানে এলে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা । মৃতদেহ পোড়াতে বাধা দেন তাঁরা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার পর শেষমেশ মৃতদেহের সৎকার করা হয় । ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত একটা নাগাদ ভাটপাড়ার মোক্তারপুর শ্মশানে একটি মৃতদেহ সৎকারে নিয়ে আসে পুলিশ । বাসিন্দারা টের পেয়ে একজোট হন । তাঁদের দাবি, লোকালয়ের মধ্যে এই শ্মশান । তাই কোরোনা রোগী পোড়ানো যাবে না । কিন্তু পুলিশ সেকথা মানেনি । এরপর পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে বচসা শুরু হয় । বাসিন্দাদের শ্মশান চত্বর থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ । কিন্তু বাসিন্দারা এককাট্টা হয়ে দাঁড়ান । পরে পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ শুরু করা হয়। লাঠিচার্জ শুরু হতেই ছত্রভঙ্গ হন জনতা । শেষমেশ মৃতদেহ সৎকার করা হয় । ঘটনায় এলাকার প্রায় 10 জন জখম হয়েছেন ।
পুলিশের লাঠিতে জখম মহুয়া পাল বলেন, "রাত একটার সময় পুলিশ একটি মৃতদেহ পোড়াতে নিয়ে এসেছিল । আমরা জানতে পারি জগদ্দল থেকে দেহটি আনা হয়েছে । এটি কোরোনা রোগীর দেহ । আমাদের এই শ্মশান জনবহুল এলাকার মধ্যে । তাই আমরা আপত্তি করেছিলাম । পুলিশ আমাদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে । বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন ।" অসীম পাল নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা নিশ্চিত, দেহটি কোরোনা রোগীর ছিল । নাহলে মৃতের বাড়ির লোক থাকত । পুলিশও রাত একটার সময় আসত না । আমরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয় । মহিলা পুলিশ ছিল । কিন্তু পুরুষ পুলিশকর্মীরাই মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে ।"
এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । কিন্তু কেউ কিছু বলতে চাননি ।