ETV Bharat / state

চালু হওয়ার 13 দিনেই সাবওয়ে থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ! - allegation against rail

বারাসত 12 নম্বর রেলগেটের উপর তৈরি হয়েছে নতুন সাবওয়ে ৷ কিন্তু চালু হওয়ার 13 দিনের মধ্যেই ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে জল । একাংশের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্যই এই দশা ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 10:05 AM IST

Updated : Jul 30, 2019, 11:23 AM IST

বারাসত, 30 জুলাই : সাব‌ওয়ে চালু হয়েছে মাত্র 13 দিন আগে । তার‌ মধ্যেই একপশলা বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে জল । অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে এই সাবওয়ে ৷ তাই এই অবস্থা ৷ এরপর আরও বৃষ্টি বাড়লে কী হবে ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ তারা জানিয়েছে, কিছু সমস্যা থাকতে পারে ৷ দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে ৷

দীর্ঘদিন ধরেই বারাসত 12 নম্বর রেলগেটের উপর সাবওয়ে তৈরির জন্য দাবি করে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ চালু হ‌ওয়ার আগে সাব‌ওয়ের শিলান্যাস‌ও হয়েছিল দু-দু'বার । একবার রেলের তরফে । আর একবার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর উদ্বোধন করেন ৷ ঘটা করে পৃথক শিলান্যাস হলেও সাব‌‌ওয়ে তৈরি হয়নি । ফলে, একপ্রকার প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই লাইন পার হতে হত এলাকাবাসীকে । তা ছাড়া, সাব‌ওয়ে তৈরিতে রেলের বড় সমস্যা ছিল অবৈধ দখলদারদের হটানো । বেশ কয়েকবার চেষ্টা‌ও করা হয়েছিল । কিন্তু, তা বাস্তবায়িত হয়নি । এরপর, নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে রেলের তরফে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, 12 নম্বর রেলগেটের কাছে রেলের দখল করা জমি থেকে সরে যেতে হবে দোকানদারদের । এজন্য,বারাসত পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতাও চাওয়া হয় । মাস পাঁচেক আগে রেল, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মিলিতভাবে পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে বলে । সেইমতো সরে যেতে বাধ্য হয় অবৈধ দখলদাররা । শেষে বহু টালবাহানার পর সাব‌ওয়ের ছাড়পত্র মেলে রেলের তরফে ৷ ঠিক হয়, রেলের ট্রাক সরিয়ে কাজ শুরু করা হবে । সেইমতো মাস চারেক আগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বারাসত থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে সাব‌ওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয় । বাকি কাজ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস । 16 জুলাই খুলে দেওয়া হয় ওই সাবওয়ে । আর 13 দিনের মধ্যে সাব‌ওয়ে থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাব‌ওয়ের একদিকের অ্যাপ্রোচ রোডের । একদিকে, টাইলস দিয়ে পাকা করা হলেও অন্যদিকে তা করা হয়নি ৷ ফলে, বৃষ্টির জল ও কাদা মাড়িয়েই সাব‌ওয়ের ভিতরে ঢুকছেন নিত্য যাত্রীরা ৷

এই বিষয়ে রাজীব দাস নামে এক যাত্রী বলেন, "কয়েকদিন হল এই সাবওয়েটা উদ্বোধন করা হয়েছে ৷ এই তো বৃষ্টি হয়েছে ৷ দেখি চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ছে ৷ যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ৷ এটা রেল কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত ৷ যদি ভালো মানের জিনিস দিয়ে তৈরি হত ,তাহলে এই অবস্থা হত না ৷ নতুন তৈরি হয়েছে আর তারমধ্যেই ফাটল ধরা পড়ল৷"

দেখুন ভিডিয়ো

এবিষয়ে স্টেশন মাস্টার পঙ্কজ বিশ্বাস বলেন, "এই বিষয়ে বলত পারব না ৷ এটা হায়ার অথোরিটি জানেন এবং যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা জানেন ৷ কিছু কাজ বাকি আছে, দু-এক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে ৷ লিকেজের সমস্যা কি হতে পারে না ? তবে গাফিলতি বা খামতি নয় ৷ হয়তো কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে তা ঠিক হয়ে যাবে ৷" এরপর আর কিছু বলতে চাননি তিনি ৷ বলেন, "এরপর যা জিজ্ঞাসা করার তা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে করুন ৷ আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না৷"

image
নতুন সাবওয়ের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল

অন্যদিকে, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

বারাসত, 30 জুলাই : সাব‌ওয়ে চালু হয়েছে মাত্র 13 দিন আগে । তার‌ মধ্যেই একপশলা বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে জল । অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে এই সাবওয়ে ৷ তাই এই অবস্থা ৷ এরপর আরও বৃষ্টি বাড়লে কী হবে ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ তারা জানিয়েছে, কিছু সমস্যা থাকতে পারে ৷ দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে ৷

দীর্ঘদিন ধরেই বারাসত 12 নম্বর রেলগেটের উপর সাবওয়ে তৈরির জন্য দাবি করে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ চালু হ‌ওয়ার আগে সাব‌ওয়ের শিলান্যাস‌ও হয়েছিল দু-দু'বার । একবার রেলের তরফে । আর একবার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর উদ্বোধন করেন ৷ ঘটা করে পৃথক শিলান্যাস হলেও সাব‌‌ওয়ে তৈরি হয়নি । ফলে, একপ্রকার প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই লাইন পার হতে হত এলাকাবাসীকে । তা ছাড়া, সাব‌ওয়ে তৈরিতে রেলের বড় সমস্যা ছিল অবৈধ দখলদারদের হটানো । বেশ কয়েকবার চেষ্টা‌ও করা হয়েছিল । কিন্তু, তা বাস্তবায়িত হয়নি । এরপর, নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে রেলের তরফে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, 12 নম্বর রেলগেটের কাছে রেলের দখল করা জমি থেকে সরে যেতে হবে দোকানদারদের । এজন্য,বারাসত পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতাও চাওয়া হয় । মাস পাঁচেক আগে রেল, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মিলিতভাবে পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে বলে । সেইমতো সরে যেতে বাধ্য হয় অবৈধ দখলদাররা । শেষে বহু টালবাহানার পর সাব‌ওয়ের ছাড়পত্র মেলে রেলের তরফে ৷ ঠিক হয়, রেলের ট্রাক সরিয়ে কাজ শুরু করা হবে । সেইমতো মাস চারেক আগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বারাসত থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে সাব‌ওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয় । বাকি কাজ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস । 16 জুলাই খুলে দেওয়া হয় ওই সাবওয়ে । আর 13 দিনের মধ্যে সাব‌ওয়ে থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাব‌ওয়ের একদিকের অ্যাপ্রোচ রোডের । একদিকে, টাইলস দিয়ে পাকা করা হলেও অন্যদিকে তা করা হয়নি ৷ ফলে, বৃষ্টির জল ও কাদা মাড়িয়েই সাব‌ওয়ের ভিতরে ঢুকছেন নিত্য যাত্রীরা ৷

এই বিষয়ে রাজীব দাস নামে এক যাত্রী বলেন, "কয়েকদিন হল এই সাবওয়েটা উদ্বোধন করা হয়েছে ৷ এই তো বৃষ্টি হয়েছে ৷ দেখি চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ছে ৷ যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ৷ এটা রেল কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত ৷ যদি ভালো মানের জিনিস দিয়ে তৈরি হত ,তাহলে এই অবস্থা হত না ৷ নতুন তৈরি হয়েছে আর তারমধ্যেই ফাটল ধরা পড়ল৷"

দেখুন ভিডিয়ো

এবিষয়ে স্টেশন মাস্টার পঙ্কজ বিশ্বাস বলেন, "এই বিষয়ে বলত পারব না ৷ এটা হায়ার অথোরিটি জানেন এবং যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা জানেন ৷ কিছু কাজ বাকি আছে, দু-এক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে ৷ লিকেজের সমস্যা কি হতে পারে না ? তবে গাফিলতি বা খামতি নয় ৷ হয়তো কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে তা ঠিক হয়ে যাবে ৷" এরপর আর কিছু বলতে চাননি তিনি ৷ বলেন, "এরপর যা জিজ্ঞাসা করার তা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে করুন ৷ আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না৷"

image
নতুন সাবওয়ের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল

অন্যদিকে, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

Intro:নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সাব‌ওয়ে নির্মানের অভিযোগ উঠল বারাসতে। একপশলা বৃষ্টিতেই সাব‌ওয়ে দিয়ে জল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে।চালু হ‌ওয়ার ১২ দিন‌ও কাটল না।তার‌ই মধ্যে বারাসত সাব‌ওয়ের বেহাল দশা সামনে চলে এল।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-সাব‌ওয়ে চালু হয়েছে মাত্র ১২ দিন আগে।তার‌ই মধ্যে কোটি টাকার সাব‌ওয়ে দিয়ে জল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে। একপশলা বৃষ্টিতেই সাব‌ওয়ের বেহাল দশা প্রকট হয়ে উঠেছে।যা দেখে, অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, কাটমানি খেয়ে আবার সাব‌ওয়ে নির্মান করা হয়নি তো?কারন, যেভাবে একপশলা বৃষ্টিতেই সাব‌ওয়ে দিয়ে জল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে, তাতে অঝোরে বৃষ্টি হলে কি দশা হবে,তা ভেবেই অস্থির আমজনতা। অভিযোগ উঠেছে, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি সাব‌ওয়ে চালু করার ফলেই বেহাল দশা সামনে চলে এসেছে! যদিও, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সাব‌ওয়ে নির্মানের অভিযোগ মানতে চাননি রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি,"কিছু সমস্যা থাকতে পারে।সেটা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে"।বারাসত ১২ নম্বর রেল গেটের ওপর এই সাব‌ওয়ের দাবি দীর্ঘদিনের ছিল শহরবাসীর।চালু হ‌ওয়ার আগে সাব‌ওয়ের শিলান্যাস‌ও হয়েছিল দু-দুবার।একবার রেলের তরফে।অন‍্যবার স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উদ‍্যেগে।তবে,ঘটা করে পৃথক শিলান্যাস হলেও সাব‌‌ওয়ের মুখ দেখেনি বারাসতবাসী। ফলে, একপ্রকার প্রানের ঝুঁকি নিয়েই লাইন টপকে এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে হচ্ছিল শহরবাসীকে। তাছাড়া,সাব‌ওয়ে নির্মানে রেলের বড় সমস্যা ছিল অবৈধ দখলদারদের হটানো।বেশ কয়েকবার চেষ্টা‌ও করা হয়েছিল। কিন্তু,তা বাস্তবায়িত হয়নি।এরপর, নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে রেলের তরফে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়,১২ নম্বর রেলগেটের কাছে রেলের দখল করা জমি থেকে সরে যেতে হবে অবৈধ দোকানদারদের। এজন্য,বারাসত পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতাও চাওয়া হয়।মাস পাঁচেক আগে রেল, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মিলিতভাবে পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে বলে। সেইমতো সরে যেতে বাধ্য হয় অবৈধ দখলদাররা। শেষে বহু টালবাহানার পর সাব‌ওয়ের ছাড়পত্র মেলে রেলের তরফ থেকে। ঠিক হয়, রেলের ট্রাক সরিয়ে কাজ শুরু করা হবে। সেইমতো মাস চারেক আগে প্রায় ২৪ ঘন্টা বারাসত থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাব‌ওয়ে নির্মানের কাজ শুরু হয়।পরে, বাকি আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস।এ মাসের ১৬ তারিখে বারাসত ভূগর্ভস্থ পথ খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে। সেই হিসাবে সাব‌ওয়ে চালু হয়েছে আজ থেকে ১২ দিন আগে।তার‌ই মধ্যে সাব‌ওয়ের বেহাল দশা চলে এল সামনে। একপশলা বৃষ্টিতেই সাব‌ওয়ের কোথাও থেকে জল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে,আবার কোথাও বৃষ্টির জল পড়ে সাব‌ওয়ের দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে! সেই বৃষ্টির জল মারিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের! সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাব‌ওয়ের একদিকের অ‍্যাপ্রোচ রোডের।একদিকে,টাইস দিয়ে পাকা করা হলেও অপরদিকে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে,বৃষ্টির জল ও কাঁদা পাড়িয়েই সাব‌ওয়ের ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে পথচারীদের।যার ফলে সাব‌ওয়ের সিঁড়ি পিছল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে রাজীব দাস নামে এক পথচারী বলেন,"১৫ দিন‌ও হয়নি এই সাব‌ওয়েটা চালু হয়েছে।এর‌ই মধ্যে সাব‌ওয়ে দিয়ে জল চুইয়ে চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে।এটা রেল কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দেখা উচিত। জানিনা ওনারাও বিষয়টি দেখেছেন কিনা! এভাবে জল পড়লে যে কোনও সময় তো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।তখন কে দায় নেবে"! তাঁর অভিযোগ,"আমাদের ধারনা নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করার ফলেই সাব‌ওয়ের এই দশা।যদি,ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে সাব‌ওয়ে তৈরি করা হত, তাহলে এভাবে জল চুইয়ে পড়ত না বলেই মনে করেন রাজীব বাবু। এদিকে,বিষয়টি নিয়ে"ইটিভি ভারতের" তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বারাসতের স্টেশন মাস্টার পঙ্কজ বিশ্বাসের সঙ্গে।তিনি বলেন,"বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।আমি আমার হায়ার অথিরিটিকে বিষয়টি জানাব।যারা সাব‌ওয়ের তত্ত্বাবধানে ছিল,তাদেরকেও জানাব বিষয়টি"। নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সাব‌ওয়ে তৈরির অভিযোগ খন্ডন করে স্টেশন মাস্টার বলেন,এই অভিযোগ ঠিক নয়। কোনও এক জায়গায় হয়তো সমস্যা দেখা দিয়েছে।দু-এক দিনের মধ্যেই তা মিটে যাবে"।জল চুইয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন,"লিকেজের সমস্যা কি হতে পারেনা!সাব‌ওয়ের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে!তাঁর মধ্যেই আশা করা যায় সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু,চালু হয়ে যাওয়ার পর ত্রুটি,বিচ‍্যুতি ধরা পড়লে তো সমস্যা আরও বাড়বে!এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে স্টেশন মাস্টার বল ঠেলেন হায়ার অথিরিটির ওপর!বলেন,এরপর যা জিজ্ঞাসা করার তা হায়ার অথিরিটিকে জিজ্ঞাসা করবেন!আমি আর এর বেশি কিছু বলতে পারবনা"।অন‍্যদিকে, পূর্ব রেলের মুখ‍্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে"।Conclusion:সাব‌ওয়ে থেকে জল চুইয়ে পড়ার বিষয়টি জানেন‌ই না বারাসতের স্টেশন মাস্টার পঙ্কজ বিশ্বাস। তিনি বলেন,আপনার থেকে বিষয়টি জানলাম।এরপর,যা করনীয় তাই করা হবে। কিছু সমস্যা থাকতে পারে।সেই সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
Last Updated : Jul 30, 2019, 11:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.