দত্তপুকুর, 28 অগস্ট: অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল ৷ দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই অভিযোগ উঠেছিল আশপাশের গোডাউনগুলিতেও প্রচুর বাজি মজুত করা রয়েছে। ঘটনার একদিন যেতে না-যেতেই সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল ৷ সোমবার রাতে স্থানীয়দের চাপে বিস্ফোরণস্থলের পাশের একটি গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ ৷ সেখানে টিনের চালার ভিতরে থরে থরে পেটি ভর্তি বাজি দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার অবস্থা ৷
সেইসব নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কোনওরকম দুর্ঘটনা যাতে না-ঘটে তার জন্য় দমকলের সহায়তায় প্রথমে বিপুল পরিমাণ এই শব্দবাজি জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করা হয় ৷ পরে বাজেয়াপ্ত হওয়া একের পর এক নিষিদ্ধ বেআইনি বাজির পেটি একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থল থেকে।
আরও পড়ুন : 15 দিন আগেই হয় গৃহপ্রবেশ, শখের বাড়ি আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত
এই ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, গোডাউনের ভিতরে পেঁয়াজের আড়ালে বেআইনি এই বাজি কারবার চলত । পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি । বিস্ফোরণের পর একপ্রকার পুলিশকে চাপ দিয়েই ওই গোডাউনে অভিযান চালানো হয় । এরপরই গোডাউনের ভিতর থেকে মেলে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি । এরকম বহু গোডাউনে আরও শব্দবাজি মজুত রয়েছে ৷
এই বিষয়ে দমকলের এক আধিকারিক বলেন, "গোডাউনে বাজি মজুত থাকার খবর পেয়েই আমরা এখানে এসেছি । আমাদের বলা হয়েছে জল ঢেলে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে । সেটাই করছি । বাকিটা পুলিশের ব্যাপার ৷" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি বাজি উদ্ধার করতে এরকম অভিযান চলবে ধারাবাহিকভাবে । তবে এলাকাবাসীদের একাংশ দাবি করেছেন, আশেপাশের এলাকাগুলিতে হানা দিলে এমন বিপুল পরিমাণ বাজি আরও উদ্ধার হবে ৷ এর আগে ঘটনার দিন রবিবার বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র 1 কিমি দূরে বোমা তৈরির ল্যাবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ৷ তারপর আজ ফের বিপুল পরিমাণ বোমা মজুত রাখার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী ৷ প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এই বিশাল পরিমাণ বেআইনি বাজি এখানে মজুত হল ৷
আরও পড়ুন : দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই বোমা তৈরির ল্যাব! দুর্ঘটনার পর ভাঙচুর করলেন স্থানীয়রা