দত্তপুকুর, 5 ফেব্রুয়ারি: "পচা আলু-কে দলে টেনে বিজেপি ভাবছে, তাই দিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করবে । সে গুড়ে বালি!" নাম না-করে একসময়ের সতীর্থ, বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ৷ একইসঙ্গে রবিবার তিনি সুর চড়িয়েছেন সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর বিরুদ্ধেও ৷
এদিন দত্তপুকুরের কদম্বগাছিতে দলীয় এক সভায় যোগ দেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে সেই সভা থেকেই নাম না-করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তিনি । সভার আগে এদিন তৃণমূলের তরফে একটি মিছিলও আয়োজিত হয় এলাকায় ।
দলীয় কর্মী, সমর্থকদের এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,"আপনারা রান্না করেন তো! সবজি কাটেন তো! রান্না করার সময় কোনও আলু যদি পচা বেরোয়, তাহলে আপনারা কি করেন! পচা আলুটা রান্নাঘরের জানলা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেন! তাই তো। সেরকমই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রান্না করার সময় রান্নাঘরে একটা পচা আলু দেখেছেন । কিছু না-ভেবেই জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে । তখন তো তিনি জানতেন না যে পচা আলু নেওয়ার জন্য জানলার ওপাশে বাটি হাতে বসে রয়েছে দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহের মতো বিজেপি নেতারা । কয়েকটা 'গদ্দার'কে দলে নিয়ে ভাবছে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে । সেটা ওদের স্বপ্নই থাকবে ।"
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে পদ্মের ঘর ভাঙল, তৃণমূলে যোগ আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের
এদিন কুণাল ঘোষের আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফও । কুণালের কথায়, "বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এই তিন রাজনৈতিক দল এখন জোটবদ্ধ হয়েছে । ভোট কাটার খেলায় নেমেছে । কারণ, বিজেপির লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে। ওরা জানে বিজেপির গলায় কাঁটা একমাত্র তৃণমূলই । তাই, বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ করতে হবে । সিপিএম বলছে কিছুটা করে দেব আমরা। কংগ্রেস বলছে আমরাও করে দেব কিছুটা। দুই দলের মধ্যে জোট হয়ে গেল! তাতে হাত মিলিয়েছে আবার আইএসএফও। এই তিন দলকে একটি ভোটও দেওয়া মানে বিজেপিকে খুশি করা। তাই সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফ হল ভোট কাটার যন্ত্র ৷"
আইএসএফ-এর সঙ্গে বিজেপি'র আগে থেকেই গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও সভামঞ্চ থেকে এদিন অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, "ভাঙড়কাণ্ডে যে সমস্ত আইএসএফ নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, 2021 সালের আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আইএসএফ-এর । বিজেপির সঙ্গে কিসের এত ভালোবাসা তাঁদের? কী এত আলোচনা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে? তাই, আমরা তদন্ত চেয়েছি ৷"